মঙ্গলবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

 

ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপর দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও ৬ জন তাউহিদী জনতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের পরিচালক, ইসলামী আইন বাস্তাবায়ন কমিটি ফটিকছড়ি’র পৃষ্ঠপোষক,আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন,

আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আজ ৪ জানোয়ারি রোববার দুপুরে ঘটনাপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এ কথা বলেন।

ফটিকছড়িতে মাজারপন্থীদের দ্বারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোকে বেরলবী ও মাজার পূজারিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও রুসূমাতের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর হয়নি।কোন হামলা, হত্যা ও হানাহানি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বেদাতী মাজার পূজারীরা বিনা উসকানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিশেষ করে আহলে হক তথা হাজারো আওলিয়া আর আলেমদের পদভারে পূণ্যভূমিতে খ্যাত ফটিকছড়ির মাঠিতে দারুচচ্ছালাম মাদ্রাসায় গুটিকয়েক ভন্ডরা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি তাউহিদী জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

সুতরাং মাননীয় সরকার বিশেষ করে ফটিকছড়ির এমপি মহোদয়, ইউনো স্যার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত সময়ে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যাতায় ফটিকছড়িতে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনই দায়ী থাকবে৷