ফটিকছড়িতে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

তালহা চৌধুরি রুদ্র,

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় অন্য সময়ের তুলনায় দুই থেকে তিনগুন চোখের রোগী বেড়েছে।

সরজমিনে ফটিকছড়ি কয়েকটি চক্ষু চিকিৎসক এর চেম্বারের ঘুরে দেখা যায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগির মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ জনই ছিলেন চোখ ওঠার রোগী।

ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউপির বেড়াজালীর একটি স্থানীয় মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্র তাসিন হঠাৎ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিলে চোখের ড্রপ দে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও এর পর দিনই তার ছোট ভাই তামিম’র ও একি রোগে আক্রান্ত হয়।

ফটিকছড়ির কয়েকটি ফার্মেসীর মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত কয়েকদিনে আগের তুলনায় চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ।

ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরী বলেন, ‘চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই সচেতন হতে হবে আর আক্রান্তরা উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে। চোখের রোগের জন্য আমদের আলাদা সেবা কর্ণার আছে। আমরা সেখান থেকে পর্যন্ত সেবা দিচ্ছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *