বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে হাজতে থাকা এক হাজতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উক্ত ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ ( ১৪ নভেম্বর ) শনিবার ভোররাতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশালের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আত্মহত্যাকারী ঐ হাজতির নাম মো. হানিফ খলিফা।
ডেপুটি জেলার আরও জানান, ঐ হাজতি বাথরুমে যাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় পরও বাথরুম থেকে ফিরে না আসার কারণে কারা রক্ষীরা তাকে খুঁজতে গিয়ে বাথরুমের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতে পান। এরপর তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য এখন মর্গে রাখা হয়েছে।
জেলখানার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন হাজতী হানিফ খলিফা। হাসপাতালের কোয়ারেইন্টাইনের মশারী কেটে তা দিয়ে রশির মত বানিয়ে বাথরুমের পানির পাইপের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এই ঘটনায় ঐ সময়ে কারারক্ষী আনসার মণ্ডল ও মো. কাওছার কর্তব্যরত ছিল। তাদেরকে কর্তব্যে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হাজতি মোঃ হানিফ খলিফার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধুকাঠি গ্রামে।
নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ১ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
Leave a Reply