বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাঁশখালীতে মাদরাসা পরিচালকের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, শফকত হোসাইন চাটগামী

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

মাওলানা হারুনুর রশিদ সাহেব। বাঁশখালীর প্রচার বিমুখ এক বুজুর্গ আলেম। বলা যায় একজন নিরীহ মানুষ।
আজ (০৩ ফেব্রুয়ারী২২) বৃহস্পতিবার বাঁশখালীর আলেম ওলামার প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিটির উপর হামলার ঘটনা ঘটে। মাদরাসায় ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে। মাওলানা হারুন সাহেবের তত্বাবধানে ৩/৪ বছর বাঁশখালীর সাধনপুর আল ফারুক মাদরাসায় খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে খেদমত করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন আমার প্রিয় উস্তাদ বাহরাইন প্রবাসী মাওলানা মুফতি ইব্রাহিম কাসেমী সাহেব। বাঁশখালী প্রধান সড়কের পাশে সাধনপুর পাহাড়ের কোল ঘেষে আল ফারুক মাদরাসার অবস্থান। মাদরাসার বর্তমান এরিয়া সম্প্রসারণে একজন নগন্য দ্বীনের খাদেম হিসেবে আমিও ভুমিকা রাখি। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা প্রশাসনিক দফতর, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দফতর দৌড়াদৌড়ি করি মাদরাসার জন্য। প্রায় ৮ বছর হল আমি আল ফারুক মাদরাসা ছেড়ে আসি। কিন্তু মাদরাসার বিভিন্ন কাজে কর্মে আয়োজনে অনুষ্ঠানে এখনো আমি শরীক থাকার চেষ্টা করি।

আজ ৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসার মসজিদ সংলগ্ন একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ইউনুস ও তার ছেলে আজিজ প্রথমে গালিগালাজ ও পরে মাদরাসায় ঢুকে নির্বাহী পরিচালক মাওলানা হারুন সাহেবকে মারধর করে। এসময় ছাত্র শিক্ষকরা ইউনুস ও তার পুত্রের হাত থেকে মাওলানা হারুনকে উদ্ধার করলেও কোন ধরণের প্রতিরোধ কিংবা পাল্টা হামলা থেকে মাওলানা হারুনই সবাইকে শান্ত রাখেন। না হয় আজ ঘটনা হয়তো ভিন্ন রকম হত। মাওলানা হারুন ছাত্র শিক্ষকদের নিবৃত না করলে ইউনুস এবং তার সন্ত্রাসী পুত্র আজিজের পিটের চামড়া থাকতো না।

মসজিদ সংলগ্ন যে গাছটি কাটা হয়েছে সেটি মাদরাসার জায়গার উপর। পাশে ইউনুসদের ৫ গন্ডা জায়গা রয়েছে। কিন্তু মিমাংশিত বিষয় হওয়ার পরও ইউনুস আরো ৩ গন্ডা জায়গা মাদরাসার কাছ থেকে পাওয়ার মিথ্যা দাবী করে আসছে। বিষয়টি আগেই মিমাংশিত। চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ চৌধুরী থাকার সময়েই এটি চুড়ান্ত মিমাংসা এবং সামাধান হয়ে যায়। তবুও সময়ে সময়ে ইউনুস ও তার পুত্ররা মাদরাসা থেকে জায়গা পাওয়ার দাবী করে।
আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা ভাইয়ের প্রতি। তিনি বিষয়টি সামাধান করার আশ্বাস দিয়ে মামলা মোকদ্দমা থেকে আপাতত বিরত রেখেছেন। আশা করি দ্রুতই তিনি বিষয়টি সামাধানে উদ্যোগী হবেন এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবেন। অন্যথায় আলেম ওলামা তৌহিদী জনতার ক্ষোভে আগুন প্রশমিত হবে না।

এদিকে আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে বাঁশখালীর সাধনপুরে আল ফারুক মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন আহবান করা হয়েছে। আমি নিজে ওই মানববন্ধনে অংশ নেব ইনশাআল্লাহ এবং আশপাশের সবাইকে প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ নিতে আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ আওয়াজ তুলি “মাদরাসায় ঢুকে মাওলানা হারুন সাহেবের উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই”