বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাঁশখালীর বহু মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কারি চকরিয়ার আলী আকবর নামে লা পাত্তা

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল মানুষকে চাকরি দেয়া ও বিদেশ নেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর লা পাত্তা চকরিয়ার আলী আকবর নামে এক প্রতারক। কাউকে বিদেশ নেয়ার নামে আবার কাউকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রতারক নিরীহ সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। তার প্রতারণার হাত থেকে রেহায় পায়নি শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যাংকারসহ দরিদ্র কৃষক শ্রমিক দিনমজুরও।

চকরিয়ায় তার বাড়ি হলেও এই প্রতারক নিজেকে বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিতেন। বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে পরিচয় দিতেন নিজের ভাগিনা বলে। উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নে ২য় বিবাহ করে বেশ কিছু দিন সেখানেও আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকার গোলাম সোবহানের পুত্র আলী আকবরের খপ্পরে পড়ে বহু মানুষ আজ পথে বসেছে। মানুষের টাকা আত্মসাতের পর বেশ কয়েক বছর দুবাইতে এবং কিছুদিন চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন এলাকায় পরিচয় গোপন করে বসবাস করলেও বর্তমানে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকেও পালিয়ে গেছে। তার হাতে প্রতারনার শিকার হয়েছে ছনুয়ার এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শালাকে চাকরি দেয়ার নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নেন প্রতারক আকবর আলি। বর্তমানে তার ফোন পযর্ন্ত রিসিভ করছেনা আকবর। বাঁশখালী পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলিং রুজিনা আক্তার রুজির ভাইকে বিদেশ নেয়ার নামে আত্মসাৎ করেন কয়েক লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদরাসা শিক্ষককে দুবাই ভিজিট ভিসা দেয়ার নামে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে পরবর্তিতে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তিতে বেশ কয়েক লোকের জিম্মায় ৩০ হাজার টাকার একটি চেক দেয়া হলেও ওই চেক আর পাস হয়নি।

চকরিয়া ঈদমনি এলাকার লোকজন জানান, ঈদমনি এলাকার এক ব্যক্তির ৩ লাখ টাকার গরু বিক্রি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করলে গরুর মালিক আত্মহত্যা করে মারা যান। আলী আকবররা ৪ ভাই। এলাকাবাসী তাদের ৪ ভাইয়ের সবাইকে চিটিং এবং টাউট হিসেবেই চিনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তার প্রথম স্ত্রীর বাপের বাড়ি থেকেও সে অসংখ্য টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে স্ত্রীর ভাইকেও বিদেশ নেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, প্রতারক আলী আকবরের বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছবি ক্যাপশন, (১), বাঁশখালীর বহু মানুষকে নিঃস্ব করা চকরিয়ার প্রতারক আলী আকবর।