শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাঁশখালীর শীলকুপে অগ্নিকান্ডে তিন বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশিত হয়েছে-

,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পশ্চিম শীলকূপ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম পাড়া তৈয়ার বাপের বাড়ী এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন বসতঘরের ছয় পরিবারের নগদ টাকাসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন বসতঘরের ছয় পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। বাড়ির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সহ ভিসার জন্য রেখে দেওয়া নগদ টাকাসহ পুড়ে যায় বলে জানান তারা।

তিন বসতঘরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হল- মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র আহমদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মু. জহির। কালু মিয়ার পুত্র মু. ইউনুছ, মু. ইদ্রিস ও সিদ্দিক আহমদের পুত্র আবু আহমদ।

তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, আহমদ হোসেন এর বসতঘর থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে একচালা তিন বসতঘরের ছয়টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। এতে তাদের ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানান তারা।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্স এর টিম লিডার নুরুল বাশার কুতুবী জানান, ‘অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই। অভ্যন্তরিণ সড়কের বেহাল দশার কারণে ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের পরিবারের লোকজন এ ঘটনায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। তবে এ ঘটনায় কোন লোকজন হতাহত হয়নি।

আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, ‘বাঁশখালীর লোকজনের কাছে ফায়ার সার্ভিসের জরুরী ফোন নম্বর সংগ্রহে নেই। অনেকেই আবার অগ্নিকান্ডের খবর দিলেও সঠিক লোকেশন দিতে পারেনা। আবার অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীও যথাসময়ে পৌছাতে পারেনা।’

এ দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শীলকূপ ইউপির সদস্য নুসরাত আলম, লাকী আক্তার। তারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের কে পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।