বাঁশখালী পাইরাং জামিয়া হাফসা (রাঃ) মাদ্রাসা থেকে হিফজ বিভাগের ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রেজাউল আজিম (চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রতিনিধি)

বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পাইরাং এ অবস্থিত জামিয়া হাফসা (রাঃ) বালক-বালিকা মাদ্রাসা ও হেফজখানার দাউর বিভাগের ছাত্র মোঃ আবরারুল হক আবিদ (১২) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ কর্মকর্তা।

গতকাল ৬ জুন (সোমবার) মাগরিবের পর মাদ্রাসায় গিয়ে সরাসরি হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মোঃ আলমগীরের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ছেলেটার মা মাদ্রাসার মহিলা কিতাব বিভাগের শিক্ষিকা হিসেবে আছেন প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস যাবত। রবিবার রাতে তার মা বাড়িতে চলে যায়, সোমবার সকালে ৮ টার সময় তার মা বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় আসে, মাদ্রাসায় সোমবার সকাল ৭ টার সময় নাস্তার ছুটিতে নাস্তা করে নাই, হিফজের ছাত্রদের ঘুমের ছুটির সময় সকাল ১০ টায় হুজুর আলমগীর তাকে তার মায়ের কাছে নাস্তা করার জন্য পাঠান, নাস্তা করে আসার পর হাফেজ সাহেব হিফজের সকল ছাত্রদের ঘুমাইয়া প্রিন্সিপাল থেকে ছুটি নিয়ে বাহিরে যায়, হাফেজ সাহেব বাহির থেকে প্রায়১২ টার সময় এসে ছাত্রদের ঘুম থেকে ডেকে দেওয়ার পর আবিদ কে না দেখলে চারিদিক খুঁজাখুঁজি করেন। হুজুর তার সঙ্গিদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তার পাশের ছেলে বলেন, আবিদ ১১টার সময় পস্রাব করতে বাথরুমে ঢুকতে দেখি তারপর আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি, এরপর প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার এর সাথে আলাপ করলে জানতে পারি :- আমি ১১ টার সময় অফিসে ক্লাসরত অবস্থায় আবিদকে অফিস ক্রস করে যেতে দেখলে আমি তাকে ডাক দিয়েছি তবে সে বলেছে আমার ভালো লাগেনা তাই হাটতেছি বলে চলে যায় অফিসের পূর্ব পাশের রুমে ঢুকে যায় তবে অফিসে আর আসে নাই বলে কিছু বলা হয়নাই। ১২ টার সময় যখন চারিদিক খুঁজাখুঁজি হয় এক ফাঁকে তার ছোট ভাই ঐ রুমে উকি দিয়ে আবিদকে দেখলে তার মা ফারভিন আক্তার কে বললে, মা এসে দেখে ছেলে ঝুলন্ত অবস্থায়। সবাই জানা জানি হয়েগেলে প্রশাসনের উপস্থিতে প্রিন্সিপাল মাওঃ আনোয়ার ছাত্র আবিদের ঝুলন্ত লাশ নামায়। প্রশাসন লাশ থানায় নিয়ে গেলে বাঁশখালী থানা তদন্ত অফিসারকে ঘটনা স্থলে পাঠালে উপরের উল্লেখিত তথ্য ব্যতিত কোন তথ্য পায় নাই বলে জানান তদন্ত অফিসার। তদন্ত অফিসার আরও জানান আবিদের মায়ের সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করলে মা ফারভিন বার বার বেহুশ হওয়ার কারণে কথা বলা হয় নাই।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন এর সাথে মামলার বিষয়ে আলাপ হলে জানান, মা বাবার সম্মতিতে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে আরও বলেন ইউ ডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *