পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনে। ভাঙা ও তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে আজ মধ্যবিত্তের দেশ বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বন্দুক দিয়ে নয়, আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়। পাহাড়ে কেউ শান্তিতে ও নিরাপত্তায় ছিলনা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই যুগের বেশি সময় ধরে বয়ে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাধান করেছেন বৈঠকের মাধ্যমে। বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা বান্দরবানের থানচির মত পশ্চাৎপদ এলাকা আজ উন্নয়নের মূলধারায় সংযুক্ত হয়েছে। উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা। ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা চেয়ে যোগ্য কোন নেতা নাই’।
রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং সকাল ১১টায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে এইসব কথা বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বেলা সাড়ে ১১ থেকে হারাগাজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। পার্বত্য মন্ত্রীর আগমনে লামা ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা হতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মতবিনিময় সভায়।
বীর বাহাদুর বলেন, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৩৫ বছর যাবৎ বিএনপির চেয়ারম্যান ছিল। তাই এই ইউনিয়নে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। এমপি একা নয় চেয়ারম্যানরাও কাজ করতে হবে। সবাইকে একসাথে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। চেয়ারম্যান মেম্বাররা কাজ করলে অভিনন্দন না করলে সালাম। যারা উন্নয়ন করে জনগণ তাদের পক্ষে। বর্তমানে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজ চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে। সামান্য একটি ভবনে হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয় চলবেনা। আমি স্কুলটি পুর্নাঙ্গ ভবন করে দিব। আওয়ামী লীগের মত কোন রাজনীতি দল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবেনি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তফাৎ আমরা উন্নয়ন করি, তারা করেনা। এই ইউনিয়নের এলজিইডি’র তত্ত¡াবধানে আরো ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা উন্নয়ন কাঝ চলমান। শীঘ্রই ৪টি সড়কের কাজ শুরু হবে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে ১০৯ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা কাজ শুরু হবে। উন্নয়ন করতে না পারলে বীর বাহাদুর আর এই এলাকায় আসবেনা। আমরা সবাই মিলে বান্দরবানকে ৬৪ জেলার মধ্যেএক নম্বর জেলা করবো।
তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের এখন ১৪টি কলেজ রয়েছে। বান্দরবানে প্রতিটি করে বিদ্যুৎ যাবে। যেখানে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব না সেখানে সোলার দেয়া হবে। আপনারা (বিএনপি) কি করেছেন মানুষ খুন করেছেন, শেখ হাসিনাকেও অসংখ্যবার খুন করতে চেয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে খাদ্য, বিদ্যুৎতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। আমরা উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ধানের জমি থাকলে সেচ ড্রেন, ধানের মেশিন, পাওয়ার টিলার ও কৃষি সরঞ্জাম দেয়া হবে। প্রতিটি মানুষকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। সবাইকে পরিশ্রমী হয়ে কাজ করতে হবে।
শিক্ষকদের উপর আমাদের দেশের ভবিষ্যত। আপনারা যতœবান না হলে আমাদের জাতি অন্ধকারে। এলাকায় কোন ভূমিদস্যুতা মেনে নিবনা। কাউকে ছাড় দিবনা। আওয়ামী লীগ নেতারা ভূমিদস্যুর পক্ষে কথা বলবেন না, তাহলে ছাড় দেয়া হবেনা। থানা গুলোতে কোন দালাল থাকবেনা। ইউএনও ওসিকে ক্ষমতাধররা প্রবাহিত করবেন না। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন। সবাই টিকা নিবেন।
মতবিনিময় সভায় ও উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, এলজিইডি বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, ছাচিংপ্রæ মার্মা, মোঃ জসিম উদ্দিন সহ আরও অনেকেই।
Leave a Reply