‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।
Leave a Reply