আমি স্থানীয় পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি। ব্যক্তিজীবনে বিএনপিই ছিল ভালোবাসা। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। চরম দুঃসময়ে ও আমি বিএনপিকে ছেড়ে যাইনি।
বিএনপি’র সুসময়ে যারা হালুয়া রুটি খেয়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তারা সবাই পালিয়ে গেল। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত কোন বিএনপি নেতা পাওয়া গেল না। দলীয় সিদ্ধান্তে সেই বোঝা আমার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হল। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে আমি নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত করলাম। আমার তথা বিএনপি’র বিজয় সুনিশ্চিত বুঝতে পেরে চারদলীয় ঐক্যজোটের অংশীদার কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করানো হলো। ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেয়া হলো। এর পরের ইতিহাস আপনাদের জানা। আমি সব হারিয়েছি।
২০১৫ সালের উপজেলা নির্বাচনে ও একই ঘটনা ঘটলো। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও কথিত বিএনপি দের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির জীবনবাজ কর্মীরাই টেকনাফে বিএনপির সংগঠনটি টিকিয়ে রেখেছিল। তারা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ তাদেরকে বাদ দিয়ে পলাতকদের কে নিয়ে বিএনপি’র এক একটি কমিটি গঠন হতে লাগলো। বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়েছে। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেউই এগিয়ে আসেনি। তারা আমার দুঃসময়ের বন্ধু, আমার সহকর্মী আমার রাজনৈতিক সতীর্থ। স্বভাবতই আমি তাদের পক্ষে। কিন্তু আমি বিশৃঙ্খলা সমর্থন করি না। দুঃসময়ে পলাতকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা তাদের নিজনিজ এলাকায় ও লাঞ্চিত হয়ছে। এটি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। অথচ তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধেই নানান অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ কে কেন্দ্র করে তারা একটি মিথ্যা কাহিনী তৈরি করেছে। সেখানে আমার নাম ও আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ও জড়িত করেছে। আমি সবেমাত্র রোগমুক্ত হয়েছি। একান্ত প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারাই। কাউকে আক্রমণ করার, মারধোর করার মত শক্তি সামর্থ্য আমার নেই। তা আমি সমর্থন ও করি না। কাউকে আক্রমণ করার জন্য আমার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করার মত বোকা আমি নই। আপনারা আমাকে সরকারি দলের এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন। আমি সবিনয়ে জানতে চাই ২০০৮ , ২০০৯, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনাদের ভূমিকা কি ছিল? আমার সাথে থাকা বিএনপি’র লড়াকু সৈনিক দের বিরুদ্ধে এতগুলো মিথ্যা মামলা হল, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা না হওয়ার হেকমত টা জানাবেন। আপনারা কোন ঘটনার শিকার হয়ে থাকলে তা দলীয় হাইকমান্ড কে না জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কার স্বার্থে?
সত্য উদ্ভাসিত হবেই এবং মিথ্যা দূরীভূত। এটা মহান আল্লাহ তায়ালার চ্যালেঞ্জ। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার বিনীত অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী:-
আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ-কক্সবাজার জেলা বিএনপি।
Leave a Reply