বিরামপুরে কাঁচা মরিচ কিনতে আশা গ্রাহকের মাথায় হাত

বিরামপুরে কাঁচা মরিচ কিনতে আশা গ্রাহকের মাথায় হাত

এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কাঁচামরিচের আবাদ হলেও সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কাঁচা মরিচের ফলন তেমনটা ভালো হয়নি। বর্তমানে ক্ষেতের গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তেমন উত্তোলন হচ্ছে না।

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সাধারণ গ্রাহকেরা দুচিন্তার মধ্যে পড়েছে৷ বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমান কাঁচামরিচের যে দাম বাজারে তা সঠিক রয়েছে, আরও দাম বেশি হওয়া উচিত৷ এছাড়াও তিনি সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে কথা বলেন, সয়াবিনের তেল ২০০ টাকা লিটার মানুষ ক্রয় করছে , এতে কোন সমস্যা নেই ৷ কৃষকরা এই মরিচ বাজারে ১৮০ থেকে ২০০টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।

সোমবার (২৫ জুলাই ) বিরামপুর নতুন বাজারে গিয়ে কথা হয় কাঁচা মরিচ কিনতে আসা সাধারণ গ্রাহক হালিমের সাথে, সে বলে আমি নিম্নমধ্যে পরিবার, আমার পক্ষে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কেনা সম্ভব নয় যেখানে আমার সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ লাগতো .সেখানে আমি ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনলাম ৷ নতুন বাজারের আড়ৎ দার মজনুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচ মজুদ রাখার জন্য শিতা তাপ নিয়ন্ত্রিত হিমাগার স্টোর বিশেষ প্রয়োজন৷ মুকুন্দপুর বালুপাড়া গ্রামে গিয়ে গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষেতের প্রতিটি গাছ বড় হয়েছে. কিন্তু অনা বৃষ্টির কারণে মরিচ বেশি ধরেনি । এছাড়াও তিনি আরো বলেন , বর্তমান শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় সঠিক সময়ে শ্রমিক পাওয়া যায় না।

এদিকে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। লাগানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে মরচি ধরতে শুরু করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *