দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিরামপুরে কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য নেই গাছ তলায় বসে পাখির কোলাহল শোনার ব্যবস্থা। কর্মব্যস্ত হাজারো মানুষের আনাগোনা এখানে। এ শহরে সবই আছে কিন্তু কি যেনো একটি নাই। পৌর শহরের বাসিন্দা তানভি, জবা, শাম্মী, এশা, ফারজানা, বর্ষণ আর আরমান খুঁজে বের করেন শহরের সেই অভাব। শহরের বিনোদন প্রেমী ও কর্মব্যস্ত ক্লান্ত মানুষের জন্য নেই গাছতলায় বসে পাখির গান শুনে মনে প্রশান্তি দেবার ব্যবস্থা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। বন্ধুরা মিলে শহরের বিভিন স্থানে গাছের ডালে পাখির প্রজনন কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিচ্ছেন। তাঁদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার সচেতন মহল।
উদ্যমী যুবকরা সবাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নছোয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র সদস্য। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৩৩জন উদ্যমী যুবককে নিয়ে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২২ জানুয়ারি সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপস্থিত থেকে সংগঠনটির এ সামাজিক কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে সংগঠনের সদস্য প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় গাছের ডালে উঠে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিয়ে পাখির বাসা তৈরি করে দিচ্ছেন। একাজে কেউ গাছের নিচ থেকে মই ধরে আছেন, আবার কেউ মই বেয়ে গাছের মগডালে উঠে শক্ত রশি দিয়ে বাঁধছেন হাঁড়ি।
সকলে আনন্দচিত্তে করছেন এ মহৎ কাজ। দুই-এক দিনের মধ্যে বিরামপুর থানা চত্বরের সবগুলো গাছে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করতে কয়েক ডজন মাটির হাঁড়ি লাগানো হবে বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বর্ষণ কর্মকার।
Leave a Reply