বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিশ্বজয়ী বাংলাদেশী হাফেজকে অভিনন্দন জানালেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক,আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি প্রতিযোগী দেশের হাফেজদের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর২২) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সের কিশোর হাফেজে কুরআন সালেহ আহমাদ তাকরীমের এই বিজয় মুসলিমবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তার এই গৌরবময় বিজয় এটা প্রমাণ করেছে যে, শতপ্রতিকূলতা ও সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার চর্চা থেমে নেই। হাফেজ তাকরীমের বিজেয়ে দেশের কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনতা যে খুশী ও আনন্দ উদযাপন করছে, তাতে সহজেই বুঝা যায় এই দেশের মুসলমানরা ইসলামকে হৃদয়ের কতটা গভীর থেকে ধারণ করেন।

আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া বিজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমের শিক্ষক এবং পিতা-মাতাকেও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রতিটি মুসলিম মা-বাবার কর্তব্য, নিজ নিজ সন্তানদেরকে আবশ্যিকভাবে কুরআন ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। এতে তারা শুধু পরকালেই আল্লাহর কাছে পুরষ্কারপ্রাপ্ত হবেন না, দুনিয়াতেও মর্যাদাবান হবেন এবং তাদের সন্তানরা সৎ ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠার পথ খুঁজে পাবে।

আল্লামা ইয়াহইয়া বলেন, বাংলাদেশের আলেম-উলামারা কখনোই নারীদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদার বিপক্ষে নয়। দুষ্টু মানুষদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে নিজেদের হেফাজত রাখা এবং নিজেদের ইজ্জত-সম্মান ও নিরাপত্তা অটূট রাখার স্বার্থেই ইসলামের নির্দেশনা মতে আলেমরা নারীদেরকে পর্দা মেনে শালীনভাবে জীবন যাপনের উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু নারী অধিকারের মোড়কে তথাকথিত ভোগবাদিরা এমন উপদেশকে তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক ধরে নিয়ে আলেম-উলামাদেরকে নারীবিদ্বেষী বলে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সম্প্রতি নেপালে সাফ ফুটবলে নারী খেলোয়াড়দের বিজয়ে গায়েপড়ে আলেম-উলামা ও ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা তার সর্বশেষ উদাহরণ।

তিনি বলেন, ১১১ দেশের অনেক বড় পরিসরের কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের জনতা যে হারে বিপুল আনন্দ উদযাপন করছে, তাতে প্রমাণ হয় দেশের ১৮ কোটি জনতা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদিদের মিথ্যাচারে কখনো বিভ্রান্ত হন না। এদেশের প্রতিটি মুসলমানের অন্তরে ইসলাম ও আলেম-উলামাদের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ গেঁথে আছে।

আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক হাফেজ সালেহ আহমাদকে গত রাতে বিমানবন্দরে অভিনন্দিত করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করবো ধর্মমন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজয়ী তরুণ এই হাফেজকে রাষ্ট্রীয় সম্বর্ধনা দিয়ে অর্জিত এই বিশাল গৌরবকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন।