শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

প্রকাশিত হয়েছে-

মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

 

বিশ্ব নারী দিবস কবে সেটা অনেকেরই মুখস্ত। অনেকটা বড়সর আয়োজন করেই দিবসটি পালিত হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এটি।

তবে পুরুষ দিবসটি কবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেরই অজানা। কারণ নারী দিবস যতটা আয়োজন করে আসে ততটা আয়োজন নিয়ে এই দিবসটি আসে না। এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি খানিকটা নীরবেই আসে।

আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান লক্ষ্য নিয়েই প্রতিবছর পালিত হয় এই দিবসটি।

তবে সর্বপ্রথম পুরুষ দিবস পালনের জন্য ঠিক করা হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিল রাশিয়া। এ কারণে পরে ১৯ নভেম্বর কে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সময়টা ১৯২২ সাল। এর অল্প কয়েক বছর আগেই শেষ হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেই সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ । সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কতগুলো বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয়। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ

১. বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

২. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা।

৩. নারী-পুরুষ সমতার প্রচার,

৪. পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা।

৫. পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

৬. পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা।

৭. সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের অন‍্যতম একটি লক্ষ্য।

বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় এই দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে – যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন অন‍্যতম।

নারী-পুরুষ হলো সমাজের দুটি স্তম্ভ, যার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক সমাজ। তবে, নারী দিবসে যতটা উন্মাদনা দেখা যায়, দেখা যায় যতটা ব‍্যাপক আয়োজন। পুরুষ দিবস তা সেরকম কিছুই দেখা যায় না। তবে নারী দিবসের সাথে পুরুষ দিবসটিকেও সমানভাবে উদযাপন করা উচিৎ।