বুর্জুয়া নেতাদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস ও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। দেশের মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের পীর মশায়েখদের নছীহত ও অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল আপামর জনসাধারণ। দেশের মাদ্রাসাগুলো ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প। তাই ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার সোনালী ইতিহাসকে চেপে রাখা যাবে না।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম রিয়াদ উপরোক্ত কথা বলেন।
জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম আজিজির সভাপতিত্বে (আজ ১৬ ডিসেম্বর২০) বুধবার সকাল ৯টা হতে পটিয়া শান্তিরহাট রিলেটিভ পার্ক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের এই চেতনা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিতে হবে, তরুণদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। দক্ষিণ জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আসা প্রতিনিধিদেরকে আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে শপথ নিতে হবে যে, নিজেদের শাখাগুলোকে আরো শক্তিশালী করে দাওয়াতের এই কাজকে আরো বেগবান করা যায়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার আহবায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, সদস্য সচিব হাফেজ আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু তৈয়ব, মুহাম্মাদ বখতিয়ার, মুহাম্মাদ মোজ্জাম্মেল, মাওলানা জাকারিয়া।
এতে অন্যান্যদের মত উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি কাজী আবরার হানিফ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক মারুফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনাইদুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মীর মুহিব্বুল্লাহ, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ আব্বাস, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ মিফতাহ, কওমী বিষয়ক সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম, কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ মনজুর ইসলাম, স্কুল সম্পাদক আরফাত হুসাইন, ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, সাহিত্য সংস্কৃতিক সম্পাদক আইমন হুসাইন, জেলা সদস্য নেজাম উদ্দিন তালুকদার সহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply