শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভালোবাসা কী ?কাকে বলে? কেন হয়? কেন বেঙ্গে যায়?

প্রকাশিত হয়েছে-

ভালোবাসা কী ?কাকে বলে? কেন হয়? কেন বেঙ্গে যায়?

পৃথিবীতে ক’এক প্রকার মানুষ আছে, যা একজন” অপর জনের জন্য জীবন ত্যাগ করে” কিন্তু তারা কারা”!?

তারা কারা!? উত্তরটি হলো যারা নিজের জন্য যতটুকু না করে অন্যের জন্য বেশি করে’ তার মানে মানুষ ‘আই লাভ ইউ”যাকে বলে তারাই ঐপ্রকারের মানুষ।

এখন বলতে পারেন,আই লাভ ইউ” কাকে বলে? সাধারণত আমরা জানি যারা একে অপরকে ভালোবাসে তাদেরকেই আই লাভ ইউ বলে ”

অথচ আই লাভ ইউ এর অর্থ হলো আমি তুমাকে ভালোবাসি=(আই=আমি) (লাভ=অর্থ পছন্দ অথবা ভালোবাসা)ইউ =অর্থ( তুমাকে,আপনাকে,তোমাকে)

মুল বিষয় হলো (আমি) (আপনাকে/ তোমাকে/ তুমাকে) (ভালোবাসি)

এই ভালোবাসাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়,এক ভাগ সবার মত, ২ য় ভাগ প্রেমিক / প্রেমিকাকে।

সবাই সবাইকে ভালোবাসে কিন্তু ভালোবাসাটা সমান চোখে।

(সমান) একটা শব্দ আর এর (ছেয়ে বেশি সমান) আর এক শব্দ।

আজ বলব এর ছেয়ে বেশি সমান নিয়ে মানুষের কথা-

একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে স্বাভাবিক। কারণ প্রেম প্রিতি আসছে অনেক আগের কাল থেকে- পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নাই যা একদিন’র জন্য ও রিলেশন করে নাই! রিলেশন শব্দটা ইংরেজি শব্দ। বাংলা শব্দ (সম্পর্ক) রিলেশন করে মানুষ মূলত কী পাই? কেন রিলেশন করে!?

আমি আমার মতে বুজি” একটা ছেলে যখন একাকার হয়ে পড়ে বা একটা মেয়ে যখন একাকার হয়ে পড়ে তখন তার ভাবটা অন্যের দিকে আকর্ষণ হয়! উদাহরণঃ- আমার এক বন্ধু একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করে” ঐ কথা বা রিলেশন এর বিষয়টা আমাকে জানানো হয়ছে বা আমি জেনে গিছি! এখন আমার একাকিত্ব দেখে আমার মনে ভাব এসে পড়ে বা জিত এসে পড়ে সে আমার বন্ধু হয়ে অন্যে মেয়ের সাথে রিলেশন করে কিন্তু আমি করতেছিনা কেন? প্রশ্নটা বার বার পড়াতে একবার সুযোগ বুজে নেই” তখন বন্ধুকে দেখাতে সে একটা মেয়ের রিলেশনে পড়ে যায়।

ঐখানে একটা মেয়ের ও একি আবস্তা।
তবে অন্য আর একটা ক্ষেত্রে আছে,যে সম্পর্ক মনের ভাব থেকে হয়। একটা ছেলের ভালোবাসা কতটুকু এবং মেয়ের ভালোবাসা কতটুকু!?

একটা ছেলে সর্বোপ্রথম একটা মেয়ের চরিত্র দেখে, এবং তার মনের ভিতরে ডুকতে শ্রেষ্টা করে” যখন একেবারে ডুকে পড়ে তখন সে ছেলেটা তালে যে কোন কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেনা! একটা মেয়ের ও একি আবস্তা।

ছেলেটার মনের ভিতর যখন একটা মেয়ে সম্পূর্ণ ঢুকে পড়ে তখন সে তাকে নিজ থেকে ভালোবাসতে শুরু করে। যেমন, নিজের শরীরের চুলকানো হলে নোক দিয়ে বা ইত্যাদি জিনিস দিয়ে চুলাকালে যত ভালো আরাম দায়ক হয়, ঠিক থেমনি ঐ মেয়েটাকে থেমন করে আরাম দায়ক এর মত আপন করে নে। ( মেয়েদের বেলা ও থেমন)

এইটুকু সময়তে রিলেশন এর ৫-৬ বছর লেগে যায়! ৭ বছরের শুরুতে থেকে রিলেশনের মজা/ আনন্দ, ইচ্ছে উভয়’র হারিয়ে যায়, কারণ এতদিন ছেলেটা ও বেকার ছিল,বা লেখা পড়ার সময় ছিল,নয়তো ব্যবসা বানিজ্যতে ছিল না।এখন যখন ছেলেটা ভালোবাসার একটা মেয়ে পাইছে,অথবা মেয়েটা ও জব ইত্যাদি কাজ কর্ম পাইছে তখন ভালোবাসার গুরুত্বটা হারিয়ে যায়, হারিয়ে যাওয়া’র মাজে আর একটা কথা হলো – ভালোবাসার কাছে সময় কমে যায়। যার কারণে গুরুত্ব ও কমে যায়।

ছেলেটা / মেয়েটা সারাদিন খুব ব্যস্ত এর এর মাজে যদি ছেলে /মেয়ে কোন একটা অপছন্দ নিয় কাজ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। একটু একটু ঝগড়া শুরু হতে থাকে। পরে ভালোবাসার মর্যাদা থাকে না-

যেমন উদাহরণঃ- Bচাকরি করেG ঘরে থাকে, অথবা Z চাকরি করে B ঘরে থাকে, তখন যদি B র অপছন্দ কোন কথা বা কাজ করলে তখন B মাথা গরম অবস্থায় খারাপ একটা কথা বলে পেলে-! তার থেকে শুরু হয় ঝগড়া।

মেয়েটা ছেলেটাকে খুব বিশ্বাস করতো আর ছেলেটা ও মেয়েটাকে বিশ্বাস করতো যেমন উপরে নিজের শরীরের কথার মত।
এইভাবে ঝগড়া শুরু- ভালোবাসার গুরুত্ব শেষ, মেয়েটা ও পরিবার সংসার সম্পর্কে বুজতে শুরু করে, ছেলেটা ও বুজতে শুরু করে।

মেয়েটার যখন বিয়ের বয়স হয়ে যায়, ছেলেটা মনে মনে ভাবতে থাকে যে, আমি তো ছেলে – আমার উপর বাবা- মায়ের আশা ভর্ষা সব। কিন্তু মেয়ে তো আরো আছে এইটাকে ভুলে যায়,বলে মনে মনে ভাব নেয়, অথচ মেয়েটা বলে আমি এতদিন এর সাথে রিলেশন করছি আমি একে পেতে চাই! যখন ছেলে রাজি না হয় মেয়ে কান্না অমুখ সমস্যা দেখা দে।

কিন্তু তখন ছেলেটা খুবি চিন্তিত হয়ে পড়ে এমন কী ছেলেটা মনে মনে ভাব নেয়ই যে আমি এখন কী করব? কোথায় যাব? কাকে কী বলব!? এসব প্রশ্ন ছেলেটা করতে থাকে।
ঐসময়ে মেয়েরে টার বিয়ের খবরাখবর চলতেছে, তখন ছেলেটা মেয়েটির মনে আরো ভালোবাসা বাড়িয়ে দে! কিন্তু মেয়েটা ছেলেটার অবেহেলায় আর ছেলেটাকে পাত্তা দেয় না!

পরে ছেলেটার মনে মনে ভালোবাসা ও থাকে আর রাগ ও থাকে,রাগ কেন হয়? এতদিন এত কিছু করে ‘মেয়েটার সাথে কথা বলছে, আজ কেন মেয়েটাকে পাইনা বলে অতিথের কথা গুলা বার বার ছেলেটার মনে পড়ে যায়,তখন ছেলেটা বার বার মেয়টার সাথে কথা বলতে চাই।মেয়েটা মনে ভাব নেই যে, ছেলেটাত থাকে বিয়ে করবে না! তার সাথে আর কথা বলে লাভ কী! ঐ বলে মেয়েটি আর ছেলেটার সাথে কথা বলে না!

ছেলেটা বলে আমি মেয়েটার সাথে এতদিন কথা বলছি কিন্তু সে বিয়ে করে অন্যের সাথে কিভাবে থাকবে!?

দুইজনের এক এক কথা- শেষ পর্যায়ে ছেলে / মেয়ে উভয় মানষিক ঠিক থাকে না- পরে ছেলেটা মেয়েকে নানান কথা বলে শুধু ভালোবার গুরুত্বটা পিরিয়ে কথা বলার জন্য,আর মেয়েটা ও একি আবস্তা।

শেষ পর্যায়ে শেষ পরিনতি ছেলেটা অভিমান করে ওর সাথে অথিতের কাজ বা কথা গুলা তুলে কোঠা দে- পরে নানান অভিযোগে শিকার হয়।

এই থেকে একটা রিলেশন ধ্বংস হয়ে পড়ে!
শেষ পর্যায়ে এক একজন আলেদা হয়ে পড়ে-!
মানুষ এমনি – সত্যিকারের ভালোবাসা এতদিনের জন্য। সারাজীবনের ভালোবাসা কোথাও পাওয়া যায় না!

পোষ্টটিঃ খুবি গুরুত্বপূর্ণ।