ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুদেশের মানুষ

এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

 

এক পাশে বাংলাদেশ আর অন্যপাশে ভারত। সীমান্তের শূন্যরেখায় নেই কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার। দুই দেশের মানুষকে কাঁটাতারের বেড়া পৃথক করলেও ভাষার মাসে ভাষার প্রতি ভালোবাসা যেন তাদের এক করে দেয়। তাইতো এদিন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুদেশের মানুষ।

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের কথা। প্রতিবছর এদিন ওই সীমান্তের শূন্যরেখায় দুদেশের মানুষের মিলনমেলা হলেও করোনা অতিমারির কারণে এ বছর তা সীমিত পরিসরে করা হয়েছে। এ বছর ভারত ও বাংলাদেশের মানুষেরা সীমিত পরিসরে সীমান্তের ওই এলাকায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছেন।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেইটের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১১নং সাব পিলার সংলগ্ন শূন্যরেখায় দিবসটি পালন করা হয়। ভারতের তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটি এবং বাংলাদেশের হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিবসটি পালনের আয়োজন করে ৷
এসময় সেখানে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে দুই দেশের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আগতরা।

এমন আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সূরুজ দাস বলেন, এপার বাংলা, ওপার বাংলার দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধনে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছি। সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়ুক এই বার্তা দেবার জন্য এবং সম্প্রীতি, ঐক্য ও মিলনের বার্তা দেবার জন্য আমাদের এই প্রয়াস।আয়োজক কমিটির সদস্য ‘আলোকিত সীমান্ত হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, দুই বাংলার মানুষেরা শূন্যরেখায় অস্থায়ী বেদিতে ফুলদিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। এখানে আমাদের ও ভারতের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আমরা বিজিবি ও বিএসএফের অনুমতি নিয়ে শূন্যরেখায় এই আয়োজন করেছি।

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা শহীদ দিবসে এই আয়োজন করে আসছি। তবে করোনার কারণে এ বছর সীমিত আকারে করা হয়েছভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।

ভারতের পক্ষে ছিলেন- তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটির সম্পাদক সূরুজ দাস, হিলি তুরা জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস, হিলি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নারবু শেরপা ও নবদিগন্তের কর্ণধার অমিত সাহা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts