শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মহানবী (স.)ও আয়েশা সিদ্দিকা(র.) এর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে ১৬ জুন ঢাকা ভারতীয় দূতাবাস গেরাও কর্মসূচি,বিক্ষোভ সমাবেশে ফয়জুল করিম।

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

১৬ জুন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ
ক্ষমতাপাগল সরকারকে ভারতও রক্ষা করতে পারবে না
নবীজির ওপর কটূক্তিতে সরকারের নীরবতা মেনে নেয়া যায় না
–লাখো জনতার সমাবেশে মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার ক্ষমতার পাগল। ক্ষমতার নেশায় তারা ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারছে না। সরকার যতই ভাবুক মোদি সরকার তাদের ক্ষমতা ও গদি রক্ষা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে (আওয়ামীলীগকে) ক্ষমতায় রাখবে না। তিনি বলেন, চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে যদি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করা ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে যদি ডেকে নিন্দা জানানো ও জবাব চাওয়া না হয়, কটূক্তিকারীদের যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আগামী ১৬ জুন ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

ভারতে বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক রাসূল (সা.) এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ ১০ জুন শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ নবীপ্রেমিক জনতার জনসমূদ্রে রূপ নেয়। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পশ্চিম প্লাজা, দৈনিকবাংলা, গুলিস্তান, বিজয়নগর নাইটেঙ্গেল এলাকায় নবীপ্রেমিক লাখো জনতার ঢল নামে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নাঈম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, কোনো সভ্য জাতি বা নেতা কারো মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের এহেন অসভ্য কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভারত সরকারকে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ভারতকে অঙ্গীকার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ বাদ জুমা সারাদেশের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সফল করায় তিনি সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার ছাত্ররা নবীপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপনে ময়দানে নেমে আসায় তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।