দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও পরিবহনের দায়ে চন্দন কান্তি দে নামক এক বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল (সোমবার) বিকালে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া ধলঘাটপাড়ায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া ধলঘাট পাড়া এলাকায় সরকারী ছড়া হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের আদালত বালু ব্যবসায়ী চন্দন কান্তি দে পিতা সোনারাম দে কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় বালু সিন্ডিকেট ও পাহাড় কাঁটার সাথে জড়িতদের ভবিষ্যৎ জন্য সতর্কও করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে সাথে ছিলেন- মহেশখালী থানা পুলিশের একটি ইউনিট, আনসার সদস্যগণ ও অফিস সহায়কসহ সংশ্লিষ্ট জন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- মহেশখালী উপজেলায় কোনো বালুমহাল ইজারা নেই,
যার ফলে অনেক অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুছড়ার আশপাশের এলাকা, ব্রিজ- কালভার্টসহ রাস্তা ভেঙে ফেলছে, যার কারণে ধ্বসে যাচ্ছে পাহাড় সহ উঁচু অঞ্চল। সাধারণ মানুষ এসব নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মহেশখালীতে অবৈধভাবে সিন্ডিকেট করে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাঁটার মতো পরিবেশ ধ্বংস কারীদের বিরুদ্ধে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন- অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাহাড় খেকো দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড় খেকো, বালু উত্তোলন ও পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাহাড় খেকো দের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বার্তা প্রেরক-
মিছবাহ উদ্দীন আরজু
(মহেশখালী)
মোবাঃ 01811323339
Leave a Reply