মহেশখালীর পাহাড়ী ঝিরি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় কিশোর শিপ্লব কান্তি দে হত্যা কান্ডের মুল হোতা তজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ, এই সময় হত্যাকান্ডের ব্যবহারিত গাড়ি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়- গত ৩০ মে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের নাকাটার ঝিরি একটি পাহাড়ের নীচে শরীরে রশি জড়ানো অবস্থা একই ইউনিয়নের ঠাকুর তলা গ্রামের
জাপান হরি দে প্রকাশ জীবন হরি দে পুত্র
কিশোর শিপ্লব কান্তি দে (১৬) এর লাশ উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে গত ৩১মে কিশোর শিপ্লব কান্তি দে পিতা বাদী হয়ে, বীপ্রজিত দে বাপ্পু ( ১৯ ) পিতা – বাবুল দে , সাং থানাপাড়া , মহেশখালী পৌরসভা। জাবেদ ( ২২ ) , পিতা – অজ্ঞাত , সাং – গোরকঘাটা , সিকদার পাড়া , মহেশখালী পৌরসভা।অন্তর দে ( ১৮ ) , পিতা – কালী পদ দে , সাং- থানাপাড়া , মহেশখালী পৌরসভা , মহেশখালী , জেলা – কক্সবাজার সহ অজ্ঞাতানামা ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানা একটি হত্যা মামলন দায়ের করে, মামলা নং -২৬।
মামলাটির তদন্ত ভার এস আই হাসান মাহমুদ এর উপর অর্পন করা হয়,মামলাটি তদন্তকালে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই (পিপিএম) এবং পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মোঃ আশিক ইকবাল, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান মাহমুদ সহ মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে গত ০১ জুন অজ্ঞাতনামা আসামী হত্যা কান্ডের মুল হোতা ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (তেলিপাড়া) ০৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র তাজুম উদ্দিন ( ২০ ) কে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে শিপ্লব কান্তি দেকে হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করে,তারা পারস্পারিক বন্ধু ছিল। পূর্বের মনোমালিন্য ও অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে এই হত্যাকান্ড করেছে মর্মে জানায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর সনাক্ত মতে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত গাড়ী এবং ভিকটিমের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়,বর্তমানে মামলাটি মহেশখালী থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- কিশোর শিপ্লব কান্তি দে এর হত্যা কান্ডের মুল হোতা তজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাকে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের প্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply