শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাশরুম চাষে ঘুচছে বিরামপুরের মেহেরুন নেছার বেকারত্ব

প্রকাশিত হয়েছে-

এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

বিরামপুরে এক নারী উদ্দ্যোগ গড়ে তুলেছেন ফোর এস এগ্রো প্রজেক্টে মাশরুমচাষ শুরু করেন তা থেকেই ধাপে ধাপে পরিধী । তার এই উদ্দোগ ইতিমধ্যেপরিদর্শন করেছেন,বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল ।

প্রায় প্রতিদিনিই মাশরুম চাষ দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী ।
মেহেরুন নেছা মাশরুম চাষ প্রজেক্ট এর চিন্তা কি ভাবে আসে বিশ্বব্যাপী
কোবিড-১৯ শুরু হলে দীর্ঘদিন বসে থাকার পর পারিবারে অর্থনিতিক ধস নামায়,
পরিবার নিয়ে ঘুরে দাড়াতে মাসরুম চাষের পরিকল্পনা করি।

২০২১ সালের অক্টবরে ফোর এস এগ্রো নামে মাশরুম প্রজেক্ট এর যাত্রা শুরু।
এভাবেই প্রজেক্টির অগ্রযাত্রা এবং বাড়তে থাকে চাষের পরিধী । মাশরুম চাষের
যে উকরন গুলো লাগে তাহলো, পলিব্যাগ,খড়,মাদার স্পন,দড়ি,বদ্ধ ঘর হাইগ্রো
মিটার,স্পেয়ার,রাবার ব্যান্ডসহ রাবর ব্যান্ড দিয়ে প্যাকেট প্রস্তত করতে
হয় মাসরুম চাষের জন্য।

মাসরুম চাষের জন্য তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় ২০-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত
(ওয়েষ্টার জাতের জন্য)। এক কেজি মাশরুম উৎপাদনে হয় ১৩০-১৫০ টাকা পর্যন্তউৎপাদিত মাশরুম প্রতি কেজি বিক্রি হয ২০০ টাকা । আর শুকনা মাশরুম বিক্রিহয় ১৪০০-১৫০০ টাকায় । তবে তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় মাশরুমের চাহিদাকম আমার মাশরুম পয়েন্ট থেকে বিরামপুর শহর ছাড়াও ফুলবাড়ি, যোড়াঘাট, ও
ঢাকায় যাচ্ছে মাসরুম । তবে তুলনা মূলক অনেক কম । মাশরুম সম্পর্ন হালাল,
পুস্টিকর, সুস্বাদু ঔষধি গুন সম্পন্ন সবজি যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় ।

এছাড়াও মাশরুম খেলে কোলেস্টরল মুক্ত হয়,ডায়াবেটিকস, উচ্চরক্তচাপ, সহ
বিভিন্ন রোগের পতিরোদক ও নিরাময়ক । মা ও শিশু সহ সকলের আদর্শ খাবার ।
মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

কোভিড-১৯ পর থেকে সংসার চালাতে আমার স্বামীর টানপোড়েন, পরে স্বামী মোঃ
জামিনুল ইসলাম সুমনের সহযোগিতায় আমার বসত বাড়ি মির্জাপুর গ্রামে কিছু
জমানো অর্থ দিয়ে ফোর এস এগ্রো প্রজেক্ট হাতে নেই তা থেকেই মাশরুম পয়েন্ট
এর যাত্রা শুরু তবে সরকারী ভাবে পৃষ্টপোষক বা অনুদান পেলে আমার এই মাশরুম
পয়েন্ট টি মাশরুম রপ্তানী করে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারবো ।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল আজকের
পত্রিকাকে বলেন, মাশরুম চাষের আদ্রতা বা তাপমাত্রা মেনটেন করা দুঃষ্কর ।

বিরামপুরের পৌর এলাকার মির্জাপুর গ্রামে এক নারী উদ্দ্যোক্তা মেহেরুন
নেছা গড়ে তুলেছেন ফোর এস এগ্রো ফার্মে মাশরুম পয়েন্ট ।

তিনি আরও বলেন, মাশরুম একটি গুন সম্মত পুষ্টিকর খাবার দেশের রাজধানী সহ
বিভিন্ন জেলা প্রচুর চাহিদা রয়েছে এটি বাজার জাত করতে পারলে দেশের
অর্থনিতীতে বিরাট ভ’মিকা রাখবে ।