বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রংপুরে শহীদদের প্রতি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত হয়েছে-

শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি” ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে তাদের স্বরণে রংপরে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সোমবার প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মা সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাহমিনা আহমেদ বিউটি , এস এ জি ডি এফ’র রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ হিল কাফি, তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সদস্য তাসমিনা আহমেদ তমা, পুতুল, শরিফা বেগম শিউলী, অফিস সহকারী শাহনাজ বেগম সান্তনাসহ অনেকে।

উল্লেখ্যঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫২সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জববার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভূসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।