রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন

ওমর ফারুক (উখিয়া),

অদ্য ৩০অক্টিবর ২০২১ইং নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, সমর্থকদের প্রান নাশের হুমকির প্রতিবাদে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী (ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে) নুরুল কবির চৌধুরীর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন উখিয়া প্রেস ক্লাবের হল রুমে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, রত্না পালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর শাসন আমলে রত্না পালং ইউনিয়নে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ জন খুন হয়েছে। স্বাধীনতার পর যা ইতিহাস।

তার বিচার ব্যবস্থার দূর্বলতার ও অদক্ষতা এবং পক্ষপাতিত্বের কারনে এসব খুনের ঘটনা ঘটেছে,বিভিন্ন কৌশলে খাইরুল আলম চৌধুরী সব সময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের জনগনের উপর হিটলারের শাসন কায়েম করেছেন। খাইরুল আলম চৌধুরী এবং তার সন্ত্রাসীর বাহিনীর কাছে অসংখ্য বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।

নির্বচনের পূর্বে এগুলো উদ্ধার করা না হলে রত্না পালং ইউনিয়নের কোনভাবেই সুষ্ঠু ভাবে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হবে না, তিনি ইতিমধ্যে প্রভাব খাটিয়ে আমতলী ও তেলীপাড়ায় আমার নির্বাচনী অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

আমার সমর্থক ও কর্মীদের উপর হামলা করেছে, খাইরুল আলম চৌধুরী নিজে এবার প্রার্থী হয়নি, অথচ চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদার পক্ষ নিয়ে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা দেখিয়ে মাঠে ময়দানে প্রকাশ্যে রাম রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তার সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদকে নৌকা প্রতীকের অফিস হিসাবে ব্যবহার করতেছেন এবং সরকারি সাহায্য গুলো প্রদান করতেছে। নুরুল হুদা ও সরকারের পক্ষ থেকে ত্রানের দেওয়া হবে বলে ভোটারদের কাজ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলতেছেন।

যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সম্পুর্ণ লংঘন,একজন ব্যক্তি বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বে থেকে কিভাবে অন্য একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক বা কর্মী হিসাবে কাজ করেন? নির্বাচনের পূর্বে তাকে খাইরুল আলম চৌধুরীক এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা সরকারীভাবে দেওয়া না হলে, তিনি এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন, এলাকার সাধারণ জনগনের নিরাপত্তা, সকল প্রার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অধিক ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার মতো আইপি ক্যামরা স্থাপন, পর্যাপ্ত বিজিবি ও র্র্যাব মোতায়েন, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট্র নিয়োগ এবং সার্বক্ষণিক সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ টীম থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।

অপর এক প্রশ্নে নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, আমি কেন বৌদ্ধ মন্দির হামলার আসামি হবো? খাইরুল আলম চৌধুরীর সমর্থিত প্রার্থী নুরুল হুদাই কোটবাজার বৌদ্ধ মন্দির হামলার নাটেরগুরু, স্থানীয় তার প্রতিপক্ষদের মামলায় আসামি করে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তিনি উক্ত ঘৃণিত হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন।

অথচ কোটবাজার বৌদ্ধ মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকেই তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দাযিত্ব দেওয়া হয়ে ছিলো।

নুরুল হুদার নিজের এলাকা ছাড়া রত্না পালং ইউনিয়নের অন্য কোন এলাকায় তো বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর হয়নি, এর থেকে কি প্রমাণ হয়? নুরুল হুদা নিজের এলাকার বৌদ্ধ সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন নি।।

চেয়ারম্যার প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী আরো বলেন,চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ও নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুল হুদা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করেছেন, ৫ নভেম্বর তারিখে পর আমাকে, আমার কর্মী ও সমর্থকদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না।

রত্না পালং ইউনিয়নের কোন জায়গায় আমার কোন পোস্টার ও ব্যানার থাকতে দেবে না, সব ছিঁড়ে ফেলবে এবং প্রচার প্রচারণা চালাতে দিবে না।

তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও রিটানিং অফিসারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *