বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শহীদদের প্রতি রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত হয়েছে-

শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?? আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং সকাল ৯টা ৩০মিনিটে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রংপুর বিভাগীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির

একুশে ফেব্রুয়ারি “মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”। এই দিনেই রাজপথে বাংলার বীর সৈনিকরা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে নিজেদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। বাঙালির স্বাধীনতা, মুক্তি, সাম্য, গণতন্ত্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা এবং মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জাতীয় চেতনার দিন মহান ভাষা আন্দোলনের এই “অমর একুশে ফেব্রুয়ারি”। মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের মহান ইতিহাস আজ ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে আমাদের এনে দিয়েছে সুমহান মর্যাদা। সকল আন্দোলনের চালিকা শক্তির প্রেরণা এই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ কালে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হোসেন বাবলু , সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দাস, সহ সাধারণ সম্পাদক আসরাফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মেহেবুব পারভেজ সুমন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শরিফা বেগম শিউলী, দপ্তর সম্পাদক সুমন ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিয়াম হোসেন,সদস্য জুয়েল আহমেদ, রবিন চৌধুরী রাসেল, লিতু সরকার, কাব্য, দীপ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন স্নেহা নার্সিং কলেজ লিঃ ও স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মনোয়ারুল কাদির মাসুম।

উল্লেখ্যঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫২সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জববার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভূসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।