বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা পাচ্ছে না সৌদি আরব প্রবাসী আরফাতের পরিবার

প্রকাশিত হয়েছে-

ইমরান তাওহীদ রানা:- বার্তা সম্পাদক,

কক্সবাজার সদর উপজেলা চৌফলন্ডীতে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা পাচ্ছে না সৌদি আরব প্রবাসী আরফাতের পরিবার।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঘাতক চক্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ  করেন আরফাতের স্ত্রী ইসমত আরা।
কিন্তু এ অভিযোগের পর ঘাতক চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করাই তার প্রাণনাশের কারণ হয়ে ওঠে। শুক্রবার গভীর রাতে চৌফলন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকায় আরফাতের পরিচালনাধীন দোকানে আসিয়া ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে দোকানের হামলা ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, বর্ণিত এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে ইউছুফ নবী,ইছাকের ছেলে রুবেল,গুরা মিয়ার ছেলে জসিম,বর্মাইয়া জাফরের ছেলে আবু শর্মার নের্তৃত্বে আরফাতের মালিকানাধীন দোকান এম ছিদ্দিক হইতে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন।
এসময় ছিদ্দিক থেকে দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে দোকান করিতে দিবে না বলিয়া বিভিন্ন হুমকি ধমকি করিয়া দোকানে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে ফ্রিজে কিরিস দিয়ে কোপাইয়া ফ্রিজ নষ্ট করে একটি মোবাইল নিয়ে যায়।এতে আনুমানিক অধ্যলক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এই বিষয়ে অভিযোগযুক্ত ইউছুফ নবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা বিষয় শিকার করে বলেন, আমাদের দাবীকৃত টাকা না পাওয়া পর্যন্ত হামলা ভাংচুর লুটপাট চলতে থাকবে।
এঘটনার বিষয় জানতে স্থানীয় এমইউপি সদস্য মোঃ শাহাজাহানের যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,উভয় পক্ষ নিয়ে সমধানের চেষ্টা করা হয়েছিল।কিন্তু অভিযুক্ত ইউছুফ নবী গং স্থানীয় বিচার সালিশ মানে না।তাই সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভুগী ইসমত আরা ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযোগযুক্তরা স্থানীয় বিচার সালিশ না মানায়   সমাধানের মুখ দেখেনি।
বিষযটি সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।