মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি এবং
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির।
একজন টগবগে আলেম। বয়স এবং অভিজ্ঞতার তুলনায়
তার খ্যাতি, যশ ছড়িয়ে পড়েছে অনেক বেশি। আর দায়িত্ব? সেতো পাহাড় সমান। আমি চিন্তাও করত পারি না,
এতএত দায়িত্বের বোঝা মাথা নিয়ে তিনি আট
দশজনের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন
কীভাবে!
সাম্প্রতিক তার একটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি
হয়েছে। চরমোনাইর সদ্যসমাপ্ত ফালগুনের
মাহফিলে প্রদান করা তার একটি ওয়াজের খন্ডাংশ ছড়িয়ে
পড়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। নিন্দুকরা বলার চেষ্টা
করছে, তিনি একজন সাহাবির সমালোচনা করেছেন।
তিনি মনের ভেতরে সাহাবিদের সম্পর্কে বিদ্বেষ
পোষণ করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম খুব দ্রুতো এক ভিডিও
বার্তা দিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। তার
ওই ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর আর কোনো ভুল
বোঝাবুঝির অবকাশ নেই। তিনি বা তাঁর দল, প্রতিষ্ঠান
নিয়ে নতুন কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই।
আমি জানি সৈয়দ ফয়জুল করিম প্রচন্ড ব্যাস্ত একজন
মানুষ। নিজের সমাজ, সংসার, ব্যবসা তো আছেই।
সাথে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, ইসলামী আন্দোলনসহ
আরো কতো কী। প্রতিদিন তাকে একাধিক মাহফিল
অথবা রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে হয়। কতো বড়বড়
বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় তা ভুক্তভুগি ছাড়া কারো
পক্ষে অনুমান করা সম্ভব নয়।
বিশেষ করে যখন চরমোনাইর মাহফিল হয়- এতবড়
দায়িত্ব, এত মানুষের জিম্মাদারি মাথায় নিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক
পরিচালনা করা, বয়ান করা আমার কাছে কিছুটা অলৌকিকই
মনে হয়। সরাসরি আল্লাহর রহমত ছাড়া এই চাপ সহ্য করা
কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব বলে আমি মনে
করি না। সুতরাং ভুল হওয়া তার বা তাদের পক্ষে অবাস্তব
কোনো বিষয় নয়। তারাও সকল প্রকারের মানবিক
ত্রুটিপূর্ণ মানুষ। পার্থক্য হলো তারা যতো সহজে
মানবিক ত্রুটি দমন করতে পারেন,অন্যরা তা পারে না। এ
কারনেই তারা বিশেষভাবে সম্মানিত।
Leave a Reply