উল্লেখ্য, মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী ২ আগষ্ট ( রবিবার) বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
তিনি রামুর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিশিষ্ট জমিদার ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্ব মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগর ( সাব সুলতান) এর ৭ম ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে, ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী রেখে যান। বরেণ্য এ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. ছিলেন, তাবলীগ জামাতের জাতীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা আমীর ( জিম্মাদার)। তিনি দীর্ঘদিন রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ মাদ্রাসা জামে মসজিদেই তিনি মৃত্যুর আগেরদিন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আযহা এবং এর আগের দিন পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন। তিনি রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক ধর্মীয়, সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি ছিলেন, একজন বিজ্ঞ আলিম, প্রাজ্ঞ মুফতি ও বিদগ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি বিশ্বসমাদৃত ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র ভারতের দারুল দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। এর পরে তিনি অতিরিক্ত ৪ বছর ইসলামী ফিকাহ বিষয়ে গবেষণা করেন ৷ ইতঃপূর্বে দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে অধ্যয়ন শেষ করে ইংরেজি, আরবি,ফার্সী ও উর্দু নিয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ৷
দাওয়াতে তাবলীগে সম্পৃক্ততা জড়িত এবং মুবাল্লিগ হিসাবে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করার সুবাদে বাংলা ছাড়াও আরবি ,ইংরেজি, উর্দু,ফার্সী ও তুর্কি ভাষায় তিনি বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরে দেশে-বিদেশে অনেক অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ইসলামী স্কলার হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
শিরক–বিদআতসহ যাবতীয় কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন একেবারেই আপসহীন ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদী। দ্বীনি দাওয়াত ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তাঁর কীর্তিময় অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply