বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বত্র শোকের ছায়া: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত হয়েছে-

ওমর ফারুক, 

দুই দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার (ইন্নানিল্লাহি…রাজিউন)।

রোববার (০৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তাঁর মরদেহ কক্সবাজারে আনার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে উঠে লিংকরোড। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে গাছ ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ মানুষ। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া।

অনেকেই তাঁর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর ছোট ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারের শারীরিক অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন।

গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে লিংকরোডস্থ কুদরতের অফিসে মুখোশধারী ৫—৬ জন সন্ত্রাসী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তাঁর ভাই ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারকে কুপিয়ে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে তাদের দুজনের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু জহিরুল ইসলাম সিকদারের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়।

এদিকে এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রমিক লীগ নেতাকর্মী, পরিবহন শ্রমিকসহ কুদরত উল্লাহর কর্মী—সমর্থকেরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় মিছিল—সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মনীর—উল—গীয়াস জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে এমন কিছু ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন কুদরত উল্লাহ সিকদার। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লিয়াকত আলীও এমন ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছিলেন। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ভন্ডুল ও দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ লাগিয়ে দিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এ কাজ করেছে কিনা, তদন্তের দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।