শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সোনাকানিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী

প্রকাশিত হয়েছে-

ইসমাইল হোসেন সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধি

আসন্ন আগামী সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনবান্ধব, দায়িত্বশীল, মানবপ্রেমিক ব্যক্তি, সকলের পরিচিত প্রিয়মুখ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক জননেতা এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী (শাহরিয়ার)।

এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার হচ্ছেন সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গারাংগিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসাইন চৌধুরী’র সুযোগ্য সন্তান। তিনি ০৫ ফেব্রুয়ারী”১৯৮২ সালে তার নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএল.বি (অনার্স), এমএলএম। তার পিতা ছিলো সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান। তিনি অত্যান্ত সাহসীকতা, বিচক্ষণতা, মানবপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ একজন মানুষ। তার দাদা ছিলো সাবেক সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, নানা মরহুম হাজী আহমদ হোসেন ছিলো সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, চাচা মাস্টার আবুল কাশেম ছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা।

এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার পিতা ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। সে যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান মানবপ্রেমিক ব্যক্তি তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ আ.লীগের রাজনৈতির সাথে জড়িত। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণপ্রিয় একজন নিবেদিত পরীক্ষিত তৃণমূল থেকে উঠা আসা নিঃস্বার্থ, ত্যাগী কর্মী। তিনি সবসময় দেশ এবং সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করেন। তিনি তার নিজের স্বার্থের কথা কখনও চিন্তা করেন নি। তিনি সবসময় প্রচারবিমূখ থেকে দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারন মানুষের সেবক হয়ে নিরলস ভাবে মানবসেবা মূলক প্রতিনিয়ত কাজ করে গেছেন।

জানা যায়, এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার ২০০৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় (চট্টগ্রাম) শাখার সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক এবং ২০১১-২০১৬ সালে গারাংগিয়া সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, ২০১১-২০১৪ সালে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ন সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড দক্ষিণ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কার্যনির্বাহী সিনিয়র সদস্য (চট্টগ্রাম), চট্টগ্রাম মহানগর দায়ারা জজ আদলতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) ও ২০১৪ ইং থেকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী- লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে খুব সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষ যখন ঘরবন্দী হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবার গুলো পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এরপরেও তিনি থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। তিনি দলমত নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন ইউনিয়ন বাসীর। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন। তার যোগ্য উন্নয়নের অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস। সর্ব মহলের তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত। এই মানুষটি নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। সামাজ সেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি অত্যান্ত নম্র, ভদ্র, সদা হাস্যোজ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোন প্রকার অহংকার নেই। নিরঅহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয় ব্যাক্তি। বর্তমানে তাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাকে একজন সমাজসেবক হিসাবে চিনে।

এ ব্যাপারে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন মুরব্বীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন মানবপ্রেমিক মহান ব্যক্তি আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার। তার মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষ সবসময় কোন মূল্য ছাড়াই আইনি সহায়তা পাচ্ছে। তিনি কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কেটে খাওয়া মানুষের সুখ-দুঃখের সময় সবসময় পাশে থাকে। তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছা শক্তি, একাগ্রতা, আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একযোগে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারু ভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বপরি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তিনি। এতে সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন তিনি এবং সহযোগিতার আসা ব্যক্ত করে চলছেন। তিনি একজন আওয়ামীলীগের সক্রিয় ত্যাগীনেতা ও সমাজসেবক হিসাবে আসন্ন আগামী সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাকে দেখতে চায়।

একান্ত সাক্ষাৎকারে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে সমৃদ্ধি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনগনের জীবন-যাত্রার মান্নোয়ন হচ্ছে। তবে এখনো আমরা কিছু কিছু নৈতিবাচক কাজের কারনে পিছিয়ে আছি। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি। উন্নয়ন সমৃদ্ধ একটি স্বর্নিভর বাংলাদেশ দেখতে চাইলে একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানের জন্য সবাইকে মাদক সহ অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভুমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে জনমত তৈরী করে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। নৈতিবাচক এসব কাজের ব্যাপারে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশের সর্বত্রে। কিন্তু সোনাকানিয়া ইউনিয়নে কোন ধরনের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তা-ঘাটের বর্তমান যে অবস্থা তা দেখলে বুঝা যায় আমরা অন্য জগতে বসাবাস করতেছি। বিচার ব্যবস্থাও একধম নাযুক অবস্থায়।ইউনিয়নের সাধারণ মানুষগুলো প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ একটি অকার্যকর পরিষদ হিসেবে পরিণত হয়েছে। জনগণ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত। সবাইকে মনে রাখতে হবে, ভোট একটি মূল্যবান সম্পদ, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একটি ভোটের মূল্য অপরিসীম। অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সমগ্র সমাজকে তার দায়ভার বহন করতে হয়। তাই নৌকা মার্কার প্রার্থীকে সকলের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি সকলের কাছে দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।