মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি):
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।
আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।
নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।