উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম
র্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।
র্যাব পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, যে ফোনালাপ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা র্যাবের নজরে এসেছে। এই ফোনালাপের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই করার সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ৯ জন আসামির নাম রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। বাকি দুজনের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এই দুজনের নামে কোনো সদস্যের কথা উল্লেখ নেই।
গত বুধবার (০৫ জুলাই) রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়।
এরআগে আদালতে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলাটি টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুজু হয়।
গত শুক্রবার ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।
ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকি আসামীরা কক্সবাজার পুলিশ লাইনেই রয়েছে।
ওসি প্রদীপ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গতকাল সকালে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে থানা থেকে বের হয়ে যান।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে একি থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে একই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অফিসার ইনচার্জ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসাবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করলে তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে এ.বি.এম.এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে টেকনাফ থানায় যোগ দিয়েছিলেন প্রদীপ কুমার দাস। উপ-পরিদর্শক বা এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এখন সবার প্রশ্ন , ওসি প্রদীপ কুমার দাস অসুস্থতার ডায়েরি লিখে কোন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আত্মগোপনে কেন? তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এমন তথ্য কী আগেই জেনে গিয়েছিল ওসি খ্যাত প্রদীপ কুমার দাস।
আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে হাইয়াতুল উলিয়ার নিজস্ব কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের অফিস সম্পাদক, মাওলানা অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই ১০টায় কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সম্মেলিলিত শিক্ষা বোর্ড (আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জা’মিয়াতিল কওমিয়া) জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ছিলো। বৈঠকে আগামী ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে সারাদেশের সকল কওমি মাদরাসা খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো।
আজ ৫ আগস্ট নতুন করে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৮ আগস্ট চালু হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন হাইয়াতুল উলিয়া। সকালে হাইয়াতুল উলিয়া ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
(ক) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার থেকে দেশের সকল কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপাতত এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালুর তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর পক্ষ হতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
(খ) ৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার দেশের সকল মাদরাসায় দু‘আর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের সদস্য মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি মুহা. ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা ছফীউল্লাহ। মাওলানা মুছলিহুদ্দীন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল জব্বার জেহাদী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়্যা।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসাগুলোর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সাধারণত শাবানে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। আলেমদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে হিফজ বিভাগ খুলে দেয় সরকার। ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা, ৪ হাজার ৫৯৯টি। সবচেয়ে কম বরিশালে, ১ হাজার ৪০টি। বেশির ভাগ মাদ্রাসাই মফস্বল এলাকায় অবস্থিত। এসব মাদ্রাসার শিক্ষকরা গত ৫মাস যাবত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার প্রধান সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা। উক্ত মামলায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর আরো ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে…
উল্লেখ্য, মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী ২ আগষ্ট ( রবিবার) বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
তিনি রামুর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিশিষ্ট জমিদার ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্ব মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগর ( সাব সুলতান) এর ৭ম ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে, ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী রেখে যান। বরেণ্য এ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. ছিলেন, তাবলীগ জামাতের জাতীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা আমীর ( জিম্মাদার)। তিনি দীর্ঘদিন রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ মাদ্রাসা জামে মসজিদেই তিনি মৃত্যুর আগেরদিন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আযহা এবং এর আগের দিন পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন। তিনি রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক ধর্মীয়, সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি ছিলেন, একজন বিজ্ঞ আলিম, প্রাজ্ঞ মুফতি ও বিদগ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি বিশ্বসমাদৃত ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র ভারতের দারুল দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। এর পরে তিনি অতিরিক্ত ৪ বছর ইসলামী ফিকাহ বিষয়ে গবেষণা করেন ৷ ইতঃপূর্বে দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে অধ্যয়ন শেষ করে ইংরেজি, আরবি,ফার্সী ও উর্দু নিয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ৷
দাওয়াতে তাবলীগে সম্পৃক্ততা জড়িত এবং মুবাল্লিগ হিসাবে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করার সুবাদে বাংলা ছাড়াও আরবি ,ইংরেজি, উর্দু,ফার্সী ও তুর্কি ভাষায় তিনি বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরে দেশে-বিদেশে অনেক অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ইসলামী স্কলার হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
শিরক–বিদআতসহ যাবতীয় কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন একেবারেই আপসহীন ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদী। দ্বীনি দাওয়াত ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তাঁর কীর্তিময় অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।