Month: আগস্ট ২০২১

  • শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ধারার প্রবর্তক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭২তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রি. সোমবার হোটেল লা মেরিডিয়ানের স্কাইবল-রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বিদেশী পুরস্কার প্রাপ্তদের ভার্চুয়ালি পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ও সাইফ পাওয়াটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মিঃ আবুন্দ কাসটো। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু, কার্যকরি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান পলাশ, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ আলাউদ্দিন সাজু, জাকির আহমেদ, আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, সজল মাহমুদ।

    প্রতিযোগিতায় চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হন শিরোপা জয় করেন। সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক রানার-আপ হয়েছেন।

    সাড়ে ছয় পয়েন্ট করে অর্জন করেন ৫ জন খেলোয়াড়, টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান তৃতীয়, ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই চতুর্থ, বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পঞ্চম, ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর ষষ্ঠ ও ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম সপ্তম হন। ছয় পয়েন্ট করে নিয়ে টাইব্রেকিংয়ে অষ্টম হতে একাদশ লাভ করেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার, চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন, ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল।

    বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান তৃতীয় হয়েছেন। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান চতুর্থ এবং পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম ও শওকত হোসেন পল্লব ষষ্ঠ স্থান লাভ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পুরস্কার লাভ করেন।

    বিশেষ বালক পুরস্কার লাভ করেন সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ ও বিশেষ বালিকা পুরস্কার লাভ করেন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম।

    চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি দুই হাজার মার্কিন ডলার, রানার-আপ গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক পনেরো শত ডলার, তৃতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান এক হাজার মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই ছয় শত মার্কিন ডলার, পঞ্চম- বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পাঁচ শত শত মার্কিন ডলার, ষষ্ঠ- ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর চার শত শত মার্কিন ডলার, সপ্তম গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম চার শত শত মার্কিন ডলার, অষ্টম হতে দশম পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার ও চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন প্রত্যেকে তিন শত মার্কিন ডলার করে, একাদশ ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল দুই শত মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার পান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার আ্ট শত মার্কিন ডলার, প্রথম, গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ছয় শত শত মার্কিন ডলার, তৃতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান চার শত মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান তিন শত মার্কিন ডলার , পঞ্চম ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ষষ্ঠ শওকত হোসেন পল্লব প্রত্যেকে দুই শত শত মার্কিন ডলার করে এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে স্কালাইন মোস্তফা সাজিদ ও মহিলা ফিদে মাস্টার দশ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার পান।

    তিন দিন ব্যাপী ৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে ১৫ টি দেশের ২১ জন গ্র্যান্ড মাস্টার ও ১৩ জন আন্তর্জাতিক মাস্টারসহ মোট ৮০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট নগদ দশ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

  • ১ লাখ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারী আটক

    ১ লাখ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারী আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া রত্নাপালং করইবনিয়া এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি রেজুআমতলী বিওপির সদস্যরা। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

    আটককৃত মাদক কারবারি হলেন উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া এলাকার বসবাসকারী বার্মায়া আলী হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক উদ্দিন রফিক (৩৫)।

    ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩০ আগস্ট সোমবার সকাল১০,৩০ ঘটিকার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ৪নং রাজাপালং ইউপি’র গোলডেবার পাহাড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পিঠে লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে রেজুআমতলী বিওপি’র সদস্যগণ।

    পরে আটককৃত মাদক কারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন বিকাল ৪,৩০ ঘটিকার দিকে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় উখিয়ার ডেইলপাড়া এলাকার সৈয়দ নুরের ছেলে মোঃ শাজাহান (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।

    তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    রফিক উদ্দিন আটক হলেও
    ইকবাল, তার ছোট ভাই ভোট্টো, আরফাত, হাকিম আলী, শাহ জাহান ধরাছোঁয়ার বাইরে।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি গত ০১ জানুয়ারি ২০২১ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫১৭ পিছ ইয়াবাসহ ১৬৩ জন আসামী আটক করে।

  • “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান।

    সুমাইয়া আক্তার মীম সুমা আক্তার চার বছরের একটি মেয়ে শিশু। শিশুটি তার মা বুলবুল আক্তার (২৫) এবং সৎ পিতা নুরুল হক (৩৫) এর সাথে উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ্যা কাঠালিয়া সাকিনে জনৈক মোস্তফা জাবেদ এর টিনের কলোনিতে ছোট্ট একটা রুমে ভাড়া থাকতো। নুরুল হক (৩৫) শিশুটির সৎ পিতা হলেও ছোট্ট সুমাইয়া তাকে আব্বু বলেই ডাকতো। তাদের সাথে আশপাশের প্রতিবেশী কারো কোন সখ্যতা গড়ে উঠেনি।

    প্রায় দুইমাস এই কলোনিতে ভাড়া থাকা অবস্থায় ঘাতক নুরুল হক তার স্ত্রী বুলবুল আক্তারের সহযোগীতায় শিশুটিকে বিভিন্ন সময়ে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। কখনো প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ঘরের চালের তীরের সাথে উলটো করে ঝুলিয়ে, কখনো মাথায় আঘাত করে, কখনো গালে কামড় বসিয়ে আবার কখনোবা পেটে পীঠে ঘুষি মেরে চলতে থাকে অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতন। এই অসহনীয় ব্যাথায় শিশুটি চিৎকার করে আর্তি জানাতো “আব্বু আমাকে আর মারিও না, আমি তোমার সব কথা শুনবো”। তথাপিও ঘাতক সৎপিতা নুরুল হকের হৃদয় গলেনি কিংবা স্বামীর নেশায় মত্ত থাকা মা বুলবুল আক্তারের মন গলেনি।

    গত ১৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ মাহে রমজানের ২য় দিন সকাল থেকে শিশু সুমাইয়া(৪) কে না খাইয়ে রাখে।
    এমনকি পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি৷ একই দিন বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে শিশুটির উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন। প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সাথে ঘাতক নুরুল হক এর ঘুষির আঘাত। অতিরিক্ত ব্যাথায় নির্বোধ সুমাইয়া কান্না করার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পরে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেয়েটির গলা টিপেও ধরা হয়। একই তারিখ দিবাগত রাত আনুমান ৯ ঘটিকার দিকে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে। শিশু সুমাইয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে ঘরের মেঝে পাটির উপর শুইয়ে কম্বল চাপা দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘাতক সৎপিতা নুরুল হক এবং মা বুলবুল আক্তার সেহেরীর পর রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১০ ঘটিকার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জনৈক রোজিনা আক্তার সুমাইয়াদের ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা তালাবদ্ধ দেখে পাশের রুম থেকে পার্টিশন বেড়ার উপর দিয়ে দেখে শিশু সুমাইয়ার নিথর দেহ কম্বল চাপা অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে আছে৷ এই দৃশ্য দেখে রোজিনা হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে উঠে। রোজিনার চিৎকার শুনে পাশের দোকানের মতি মিয়া দৌড়ে আসে। ততক্ষণে আশপাশের আরো অনেক মানুষ এসে ভিড় জমায়৷ রোজিনার কথা শুনে সবাই দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝে পাটির উপর কম্বল চাপা অবস্থায় শিশু সুমাইয়ার নিথর মৃতদেহ পরে আছে। এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত উখিয়া থানা পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আশপাশের মানুষদেরকে ভিকটিমের পিতা মাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে কেহ কোন তথ্য দিতে পারেনি৷ বাড়ি ওয়ালা ভাড়াটিয়ার তথ্য সংরক্ষণ করে রাখেনি। ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় জনগণ শিশুটির দাফন কাফন সম্পন্ন করে। ঘটনার চারদিনপর উখিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামির কথা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। দ্বিতীয়দিন পুনরায় ঘটনাস্থলটি পুংখানু পুংখভাবে পরিদর্শন কালে ঘরে একটি সিম কভার খুজে পাওয়া যায়৷ উক্ত কভারের ভেতর থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আসামীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। আসামীদের বাড়ি ভিন্ন এলাকা, ভাসমান অবস্থায় ঘোরাঘুরি এবং ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব ছিল না। ঘটনার ৪ মাস পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সুমাইয়ার মামার সন্ধান পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করিয়া উখিয়া থানার একটি চৌকস টিম রামু থানাধীন গর্জনিয়া এলাকায় গিয়ে কৌশল অবলম্বন করে আসামীদের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আসামীরা গর্জনিয়া বাজারে পৌছামাত্র তাদেরকে ধৃত করতে সমর্থ হয়। কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শিশু সুমাইয়া আক্তার মীম @ সুমা আক্তার (৪) কে নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সুমাইয়া (৪) হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তাদের নিজেদের দায় স্বীকার করে গত ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার পর থেকে তারা কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, লোহাগড়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।
    কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন বিজ্ঞ আদালত হয়ে জেলখানায়।

  • আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    উপমহাদেশের বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ, আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
    অদ্য ২৯ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ রবিবার জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হয়, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজার এর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা জামিল আহমদ আনসারীর সভাপতিেত্ব ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মুফতী হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা জমিয়ত এর মুহতারাম সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলাম সাহেব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল আলী মিটিপুরী, জেলা জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা রমিজ উদদীন, জেলা যুব জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা বদরুল ইসলাম শামসী, সদস্য সচিব মাওলানা হাফেজ ইয়াহিয়া মাহমুদ, সচেতন নাগরিক ফরম মৌলভীবাজার এর সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকসহ অন্যন্য নেত্রীবৃন্দ।

    উপস্থিত ছিলেন, মওলানা সায়ীদ বিন জামিল, মাওলানা জামিল ক্বাসেমী কাঞ্চনপুরী হাফেজ সাজেল আহমদ, মুহাম্মদ মাইদুল ইসলাম,মোঃ আরব আলী সহ প্রমুখ।

    দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.) কে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন, আমিন

  • “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই

    “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    “গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই” দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে জোরালো ভূমিকা রাখি এই প্রত্যাশা সামনে রেখে কেয়ার বাংলাদেশ এর সহায়তায় এনজিও শেড কর্তৃক বাস্তবায়িত এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায়

    অদ্য ২৮ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে আমতলি ঘাট হতে মাওলানা আব্দুস সালাম এর বাড়ী পর্যন্ত সামাজিক বনায়ণে নানা জাতের ১২শত বৃক্ষ রোপন করা হচ্ছে। যা অত্র এলাকার পরিবেশ রক্ষা সহ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রাখবে বলে এলাকার জনসাধারণ মনে করেন। ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ওয়ার্ড দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কমিটি, ডেইলপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য সহ অত্র এলাকার শতাধিক যুবক যুবতীর প্রতিশ্রুতি যে কোন মূল্যে এই মহতী উদ্যোগ কে সফল করা হবে। এজিডিআরআর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা শেড ও কেয়ার বাংলাদেশ কে উক্ত এলাকার জনসাধারণের পক্ষে জননেতা জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার (ইউপি সদস্য) সভাপতি ডাব্লুডিএমসি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রকল্পের সফলতা কামনা করে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

  • দুই বন্ধুর হারাম পরিত্যাগ- UkhiyaVoice24.Com

    দুই বন্ধুর হারাম পরিত্যাগ- UkhiyaVoice24.Com

    রচনায়- মু.আমির কাসেম

    সাঈদ ও ফারুক দুই বন্ধু। উভয়ে নূরানী মাদরাসার প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। লেখা-পড়ায় একে অপরের প্রতিদন্দ্বী হলেও বন্ধুত্বে কখনো ভাটা পড়ে না। কথায় বলে না “গলায় গলায় ভাব”, তারাও ঠিক এরকমই।

    আজকে মাদরাসার দ্বিতীয় সাময়ীক পরীক্ষা শেষ, তাই মাদরাসা তিন দিন বন্ধ থাকবে। মাদরাসা বন্ধ হলেও লেখা-পড়া বন্ধ নেই। এ তিন দিনে যেন লেখা-পড়ায় ব্যাঘাত না ঘটে, এ জন্য কিছু পড়া মুখস্ত করার জন্য দিছেন এবং প্রতিদিন লেখার জন্য বাড়ির কাজ দিছেন।

    সাঈদ ও ফারুক দুই বন্ধু মিলে মাদরাসা ছুটির পর বন্ধের দিনগুলো কিভাবে কাটাবে, এ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত।অনেক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্তের পালা আসলো।

    সাঈদ বললো- তুই কী করবি তুই জানোস। তবে আমি আমার কর্মসূচি নির্ধারণ করে ফেলেছি। আগামী ‍বৃহঃবার মামার বাসায় বিয়ে উপলক্ষ্যে মেজবানের আয়োজন আছে। বাড়ির কাজগুলো আজ এবং আগামীকাল দু’দিনে শেষ করে পরশু বৃহঃবার সেখানে চলে যাবো। মামাতো ভাই শাকিলের সাথে খেলবো আর মজা করে মেজবান খাবো।

    ফারুক চুপচাপ সাঈদের কথা শুনছিল আর ভাবছিল- হুজুর তো ক্লাসে বলেছেন যে, যে বাড়িতে গান-বাজনা হয়, সে বাড়িতে মেজবানের খানা না খেতে। তাহলে সাঈদ যাচ্ছে কেন? তার কি হুজুরের কথা স্মরণ নেই? যখন সাঈদের কথা শেষ হলো, ফারুক মুখ খুললো। বললো- আরে সাঈদ! বলিস কি? তোর মামার বাড়িতে না গত এক সপ্তাহ ধরে গান-বাজনা হচ্ছে? সেখানে তুই যাবি মেজবানের খানা খেতে?

    -ধন্যবাদ বন্ধু! তুই ভালো কথা স্মরণ করিয়ে দিছিস। তবে আমার বুঝে আসছে না, হুজুর কেন সেদিন নিষেধ করলেন যে বাড়িতে গান-বাজনা হয়, সে বাড়িতে খানা খেতে?

    – আরে এ সহজ বিষয়টাও বুঝিস না? গান-বাজনা করা একদিন দিয়ে হারাম। আবার অপব্যয়ও। হুজুর একবার বলেছিলেন, যারা অপব্যয় করে তারা নাকি শয়তানের ভাই। আর অপব্যয় তারাই করে, যাদের অঢেল সম্পদ অবৈধ উপায়ে আসে। অবৈধ উপায়ে উপার্জন তো হারাম। আজকেই তো পরীক্ষায় আসলো ১৬ নাম্বার হাদীস।“ হারাম ভক্ষণকারীর শরীর বেহেশতে প্রবেশ করবে না।” এবার তুই বল্ হুজুর কেন নিষেধ করেছেন।

    – তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তোর মতো করে আমি বুঝতে পারিনি। এজন্যেই তো তুই সবসময় ক্লাস ফাস্ট থাকিস।

    – এই বেডা পাম দিস না । কী বুঝেছিস বল আগে।

    – যদিও মামার উপর্জন হারাম উপায়ে হচ্ছে কিনা জানি না, তবে তোর যুক্তি অনুযায়ী তার উপার্জন হারাম উপায়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মামার উপার্জন যদি হারাম উপায়ে হয়ে থাকে, তাহলে মেজবানের যে আয়োজন হচ্ছে তা খাওয়াও হারাম হবে। তাছাড়া এখন মনে হচ্ছে, গান-বাজনা করে যেহেতু আয়োজন হচ্ছে, এই গান-বাজনার কারণেও হারাম হতে পারে। সেখানে খানা খেয়ে নিজের শরীরকে জাহান্নামের খোরাক বানানোর কোন দরকার নেই। তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    এই সময় আসরের আজান শুনে আলোচনা শেষ করে উভয়ে মসজিদের দিকে হাটা শুরু করলো।

    আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সমস্ত হারাম কাজ এবং হারাম ভক্ষণ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

  • লালমোহনে পুলিশের অভিযানের ’তাঁতী লীগ’ নেত্রী আটক থেরাপি চিকিৎসা আড়ালে রমরমা ব্যবসা

    লালমোহনে পুলিশের অভিযানের ’তাঁতী লীগ’ নেত্রী আটক থেরাপি চিকিৎসা আড়ালে রমরমা ব্যবসা

    সাহিদুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধিঃ-

    ভোলার লালমোহনে আবাসিক বাসায় তরুনী রেখে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামে মোছা: শাহিনুর বেগম দীর্ঘদিন থেরাপী ব্যবসার আড়ালে নিজের বাড়িতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগ পেয়ে লালমোহনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম থানা পুলিশসহ ওই বাসায় অভিযান চালায়। এসময় বাসায় এক তরুনী পাওয়া যায়।এসময় ঘরের আশেপাশে ব্যবহৃত যৌন নিরোধক পন্য (কনডম) পাওয়া যায়।

    লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চৌকিদার বাড়ির পাশে নবনির্মিত একটি ভবনে দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকান্ড চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

    শাহিনুরের স্বামী শাহে আলম ঢাকায় ভ্যান গাড়ি চালায়। তা সত্ত্বেও বাড়িতে শাহিনুর একতলা ছাদ দিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করে।বাসায় নতুন ফ্রিজ, সোফাসহ দামী আসবাবপত্রও রয়েছে। স্থানীয় নারী-পুরুষসহ একাধিক প্রতিবেশী জানান, ওই ভবনে থেরাপী ব্যবসার আড়ালে তার মূল কর্মকান্ড বিভিন্ন অপরিচিত মেয়েদের এনে অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করা।

    তার বাড়িতে প্রতিদিনই মোটরসাইকেল নিয়ে অপরিচিত লোকদের আনাগোনা চোখে পড়ে আশপাশের লোকজনের। এনিয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন শাহিনুরকে কিছু বললে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে শাহিনুরের কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয়। শাহিনুরের বাসায় পাওয়া তরুনীর নাম ফারজানা আক্তার মিতু। তার বাবা মা ঢাকা থাকে বলে সে জানায়।

    শাহিনুরের বাসায় তার ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। যাতে শাহিনুরের পরিচয় ভোলা জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। তাদের আটক করে আনার সময় শাহিনুরের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী মিছিলও করে।

    শাহিনূরের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত ২৪ আগষ্ট ফৌজদারী একটি মামলাসহ বিভিন্ন সময় নারী ও শিশুসহ মোট ৭ টি মামলার আসামী করা হয়েছে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সফিজল হককে। সফিজল হক জানান, গ্রাম পুলিশ হিসেবে এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়েছে। আমি শাহিনূরের কঠিন বিচারের দাবী জানাই।

    শাহিনুর বেগম জানান, বাসায় কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না। এখানে ভাণ্ডারির আয়োজন হয়। এছাড়াও লোকজনকে থ্যারাপী দেয়া হয় যার কারণে বিভিন্ন লোকজন এ বাসায় আসে। বাসায় থাকা তরুণী তার বোনের মেয়ে বলে তিনি জানান।

    এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ বা প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া যায়নি।
    লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এখনও শাহিনুর ও মিতু থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • উখিয়াতে অপরূপ সৌন্দর্যে লাল শাপলা ফুলের সমাহার

    উখিয়াতে অপরূপ সৌন্দর্যে লাল শাপলা ফুলের সমাহার

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    উখিয়া মাছকারিয়া ডেবা লাল শাপলার সমারহ যে কারো দৃষ্টি আকৃষ্ট করে তুলতে পার।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা মাছকারিয়া ডেবার সৌন্দর্য বর্তমানে বাড়িয়ে দিয়েছে লাল শাপলা। পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাছকারিয়া ডেবা কে একটি পর্যটন এলাকায় রুপান্তরিত করা যেতে পারে। উক্ত এলাকার খাল-বিলগুলো এখন প্রায় শাপলা শালুকে পরিপূর্ণ। এবং বিভিন্ন মৌসুমি পাখি মাছকারিয়া ডেবায় বিচরন করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। লাল সাদা শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের সমারোহ দেখা যাচ্ছে এই ডেবায়।নিজ হাতে শাপলা উঠাতে হানা দেয় ডেবায় দূর-দূরান্ত থেকে আশা দর্শনার্থীরা ।

    অপরূপ বৈচিত্রের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন ধরনের ফুলে ফলে সৌন্দর্য্য বাংলার বৈচিত্র্যময়তাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করেছে। বিভিন্ন রকম ফুলের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি নিয়ে ‘শাপলা’ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, শ্রীলংকার জাতীয় ফুলও এই শাপলা। শ্রীলংকায় শাপলাকে নীল-মাহানেল বলে ডাকা হয়। ইংরেজিতে শাপলা বলা হয় Water lily যার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphea nouchali.

    ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ।

    আর সেসব জায়গায় ফোটে নানা রকম ফুল। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা অন্যতম।

    শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে ফুল।

    শাপলার পাতা আর ফুলের কাণ্ড পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে।
    মূল থেকেই নতুন পাতা জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়, কিন্তু নিচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায়। সাদা শাপলা দেশের জাতীয় ফুল। তবে উখিয়া মাছকারিয়ার ডেবায় লাল শাপলার এক বিশাল সমাহার।

    উল্লেখ যে মাছকারিয়ার ডেবা নাম করণ প্রাচীন যোগ থেকে মাছের ঘনি ( মাছের হাইজ্যা ) থাকায় একাধিক এলাকার মানুষ মাছ শিকারে আসতেন। সে থেকেই ডেবাটি মানুষের মুখে মুখে মাছকারিয়া ডেবা নামে পরিচিত লাভ করে।

    ফলিয়া পাড়া এলাকার সোহেল বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে লাল শাপলা ফুল দেখতে চলে আসি এখানে। জায়গাটিকে অনেকেই শাপলা বিল বলে চিনলেও এই জায়গাটির নাম মাঝকারিয়ার ডেবা। বর্ষা মৌসুমে যখন লাল শাপলা ফুল ফোটে, তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে এই লাল শাপলা ফুল দেখতে। মাঝকারিয়া ডেবায় তিন ধরনের শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর সেগুলো হচ্ছে লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের শাপলা ফুল। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা ফুলের দেখা মিলে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না।

    স্থানীয় দর্শনার্থী জাহিদুর রহমান বলেন , প্রচারের অভাবে এমন সুন্দর্য দেখতে দর্শনার্থীরা আসতে পারছেন না। আমরা কিছুদিন আগেও এসেছিলাম। আবারো আসলাম খুব অসাধারণ একটা জায়গা সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

    করিম মিয়া বলেন, সকালে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে অনেক মানুষ এখানে আসে। হাটু পানিতে নেমে তুলে নেয় লাল সাদা শাপলা ফুল। আবার শিশুরা শাপলা ফুলের ডগা দিয়ে তৈরি করে গলার মালা।

    ফুল হাতে এক শিশু বলে, সকালে আমরা এখানে লাল শাপলা তুলতে আসি। আমরা ফুল তুলি। ফুল তুলতে অনেক মজা হয়।

    উদ্ভিদবীদদের মতে, বেশির ভাগ ডেবা খাল বিল,জলাশয়ে পানি না থাকায় দিন দিন অস্বিস্ত সংকটে পড়েছে লাল শাপলার মত অনেক জলজ উদ্ভিদ।

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে ইশা ছাত্র আন্দোলনের বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
    অদ্য ২৭ আগস্ট’২১ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর মিলনায়তনে নগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় ছাত্রদের মাঝে বই পাঠ ও বিতরণ উৎসব কর্মসূচি পালিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ তানভির হোসাইন। তিনি বলেন, বই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। দুঃসময়ে কেউ পাশে না দাঁড়ালেও বই আমাদের তখনো অতি আপনজন হয়ে সমস্যা কাটিয়ে তুলার পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়। জ্ঞান আরোহণের প্রধান উৎসই হলো বই। গুণিজনরা বেশি বেশি পড়তেন। তাই তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাও প্রচুর। ইসলামেও জ্ঞান অর্জনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের ছাত্রজীবন-ই হলো বই পড়া এবং জ্ঞান অর্জন করার উপযুক্ত সময়। আমাদের উচিৎ সময়ের অপচয় না করে বই পড়ে সময়কে কাজে লাগিয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তার করা। তাই ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন তার ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকিতে দেশের সকল শাখায় বই পাঠ ও বিতরণের মত একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। ইশা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই ইনশাআল্লাহ এদেশে একঝাঁক তরুণ মেধাবী ছাত্র সমাজ গড়ে উঠবে। এবং তারাই হবে আগামী দিনের জাতির কর্ণধার।

    উক্ত বইপাঠে অংশ নেয় চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা শাখার বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্ররা। বইপাঠ পর্ব শেষে ছাত্রদের নিয়ে বইসমূহের পর্যালোচনার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। দুই ধাপে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার হিসেবে নানান ধরনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার দেওয়া হয়।

    উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন সহ অন্যান্য নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।

  • ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি।। উখিয়া ভয়েস

    ফটিকছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি।। উখিয়া ভয়েস

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়ি কলেজ ও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

    আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ফটিকছড়ি কলেজ অডিটোরিয়ামে একই ভেন্যু ও একই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ফটিকছড়ি কলেজ ও বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশের ২০০ গজ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ সময়টাতে সব ধরনের সভা, মিছিল-মিটিং, সমাবেশ ও দু’জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ আগস্ট সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ আইন বলবৎ থাকবে।

    এতে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।