Month: সেপ্টেম্বর ২০২১

  • ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    কায়েস ও নাবিল ছোটকাল থেকেই বন্ধু।লেংটাকালে তারা একই সাথে গ্রামের মক্তবে লেখা-পড়া করেছে। পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে যেতো। প্রাইমারি লেভেল শেষ করার পর একজন চলে যায় সুদূর হাটহাজারি মাদরাসায় আর নাবিল পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়। উভয়ে লেখা-পড়ায় খুব ভালো। নাবিল দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। তাই চিন্তাভাবনা করে আলিমে ভর্তি না হয়ে কলেজে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।

    হঠাৎ একদিন নাবিলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারিবারের সম্পদ বলতে শুধু একটি গরু ছিলো। বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে গরুটি বিক্রি করে দিতে হলো। তবুও বাঁচানো গেলো না। চলে গেলো তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে।

    এখন পরিবারের হাল তাকেই ধরতে হচ্ছে। কারণ পরিবারে সেই বড়। তাছাড়া ছোট একটি বোন আছে। ছোট বোনের লেখা-পড়ার খরচ এবং নিজের লেখা-পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে! তাই নিরূপায় হয়ে বহু চেষ্টার মাধ্যমে একটি ব্যবসার হাল ধরলো। সুদূর সিলেট থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে গ্রামের এবং পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়। এভাবেই চলছিলো তার দিনকাল।

    একদিন পথিমধ্যে তার ছোটকালের বন্ধু কায়েসের সাথে দেখা হয়ে গেলো। সাথে সাথে কায়েস সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাবিলকে। তারপর পথে দাঁড়িয়েই অনেক্ষণ কথা হলো। কথাচ্ছলে নাবিল কায়েসকে বললো- বন্ধু! কী করি বলতো, পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কী ব্যবসা একটা ধরলাম। কিন্তু পদে পদে লস খাচ্ছি।
    -তার আগে বল, তোর লেখা-পড়ার কী অবস্থা? কেমন চলছে?
    -ধুর বেড়া, তোকে বললাম ব্যবসায় লসের কথা, আর তুই চলে গেলি লেখা-পড়ায়।
    – তো কি, লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দিবি?
    – হ্যাঁ, এতো লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো! অনেকেই তো মাস্টার্স শেষ করেও চাকরি না পেয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। তাই লেখা-পড়া ইচ্ছা আর নেই।
    – না, আমি বলবো তুই লেখা-পড়া কর। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।তুই না মাদরাসায় পড়েছিস? তোর জানার কথা। সূরা যুমার এর ৫৩ নং আয়াতে আছে- “ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” আমাদেরকে সবসময় তাঁর রহমতের আশা রাখতে হবে।লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো? এই চিন্তা বাদ দে।তুই লেখা-পড়া চালিয়ে যা। সাথে ব্যবসাটা কর।লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হবে। দেখবি, আল্লাহ রহম করে এমন একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা তুই কোনদিন কল্পনা্ও করিসনি।

    – তুই আশার কথা শোনালি বন্ধু! আমি যে একদিন মাদরাসার ছাত্র ছিলাম, তাও ভুলে গেছি। যাক তোর কথা মানবো। আল্লাহর রহমতের আশা রাখবো।তিনি একদিন চোখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু বন্ধু! ব্যবসাটা যে আর ভালো লাগে না।

    – তুই যেন কী ব্যবসা করিস? ও হ্যাঁ! দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তাই না?

    – হ্যাঁ, এই রকমই। চা পাতা বিক্রি করি। সকালে বের হয়ে দোকানে দোকানে চা পাতা দিয়ে আসি। আর সন্ধ্যায় গিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসি। অনেকে আবার “কাল দেবো, পরশু দেবো” বলে সময় ক্ষেপণ করে, যা আমার নিজেরও লজ্জা লাগে।
    – আচ্ছা, এক কাজ কর, তোর কাছে এখন টাকা আছে?
    – পকেট শূন্য।
    – আরে ভাই, পকেটের কথা বলিনি। জমানো কত আছে?
    – নাই।
    – মিথ্যা বলছিস কেন? এতদিন তো ব্যবসা করলি। জমানো থাকবে না, এটা অবিশ্বাস্য।
    – হ্যাঁ, অল্প কিছু্ আছে।
    – তাহলে প্রথমে মিথ্যা বললি কেন? জানিস না মিথ্যা বলাটা মোনাফেকি অভ্যাস? তুই তো মাদরাসায়ও পড়েছিস!
    – তুই এতো সিরিয়াসলি নিবি ভাবিনি।
    – সিরিয়াস নিতে হবে। কারণ, মিথ্যা বলা অভ্যাসটা দুষ্টুমিচ্ছলেই হয়। আমার বন্ধুর পরিচয় মোনাফেক হোক, তা আমি চাই না।
    – ধন্যবাদ বন্ধু! তুই সবসময় আমার ভালোটাই দেখিস। এখন বল, কেন টাকার কথা জিজ্ঞেস করছিস? ভালো কোন বুদ্ধি বা আইডিয়া দিবি নাকি?
    – হ্যাঁ, বুদ্ধি বা আইডিয়া, দুনোটাই বলতে পারিস। তুই তো ডিজাইনের টুকটাক কাজ জানিস, কয়েকমাস সময় দিয়ে গ্রাফিক্সের একটা কোর্স কর। ডিজাইনের এখন অনেক দাম। তুই যেহেতু মাদরাসায় পড়েছিস, ইংরেজী অবশ্যই জানিস। Fiver, Freelancer.com এরকম কিছু সাইট আছে, যেখানে প্রচুর ডিজাইনের কাস্টমার আছে। দেখবি, ভলো ইনকাম হচ্ছে। আর ফেসবুকে এরকম কিছু গ্রুপ আছে, যেখানে ডিজাইনের কাস্টমার লাইন ধরে থাকে।
    – তুই এত জানিস কিভাবে? আমি তো মনে করতাম কওমীরা কুরআন-হদীস ছাড়া কিছুই বুঝে না।
    – তোর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বর্তমানে অনলাইন, বিশেষকরে রেডিও, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যানসিং অর্থাৎ এমন কোন জগৎ নেই যেখানে কওমী আলেমদের পদচারণা নেই। যাক, এসব বিষয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতক্ষণ কথা বলা যায় না। কী বলেছি মনে আছে তো? তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্সের কোর্সে ভর্তি হয়ে যা। তার আগে দোকানে চল।
    – ও…. বুঝতে পেরেছি। তোর পানের টক উঠেছে। আচ্ছা, বলতো- তোরা কওমীরা এতো পান পান করিস কেন?
    – হা হা হা…. উর্দূ একটি প্রবাদ আছে “হাত ম্যায় লঠি মুহ ম্যায় পান, ইয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কা শান।”

    (রচনাকাল- ১২/০৯/২০২১)

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
    অদ্য ৩রা সেপ্টেম্বর’২১ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম বার কোয়ার্টার আইএবি মিলনায়তনে নগর সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় সাবেক নগর দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সফল সভাপতি নূরুল বশর আজিজী। তিনি বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সেই ১৯৮১ সালের পর থেকে আজ ৩০ বৎসরে পদার্পণ করলো। জিহাদ ও রুহানিয়াতকে সামনে নিয়ে এই আদর্শিক কাফেলা এদেশে ইসলামী হুকুম কায়েমের পথে চলছে দুর্বার গতিতে। এই দীর্ঘ পথচলায় সংগঠনটির গায়ে কোন কালেমা লেপন হয়নি। তবে এদেশে ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের অযৌক্তিক অপব্যাখ্যার বিপরীতে ইশা ছাত্র আন্দোলন ইসলামের সুমহান আদর্শগুলো সমুচ্চয়ে দাঁড় করিয়েছে। এটি ইসলামী বিপ্লবের পথে একটি অবিস্মরণীয় অবদান। ইশা ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে গেছে দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিটি করেছে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে। যা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় উত্তম একটি ক্ষেত্র। তবু আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ, গন্তব্য বহুদূর, পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী। আমাদের থেমে গেলে চলবে না। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আমাদের মেধা দিয়ে স্থান দখল করতে হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ. এম. জামশেদ।
    তিনি বলেন, বিচার থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে সয়লাভ। করোনার অতিমারিতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের সাগর চুরি জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমলা-কামলা সবাই সরকারের মদদে লুটপাট করে পার পেয়ে যায়। পরোক্ষভাবে সরকারই তাদের লালনপালন করছে। তাই দেশের সকল খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ছাত্রসমাজকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। ইনশাআল্লাহ, নৈতিকতার সাথে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে যাবে দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়। দেশের মেধার বিকাশ বজায় রাখতে ও ছাত্রদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের অবদান আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে হতে হবে জাতির কান্ডারী। আমাদেরকেই এই সকল সমস্যা মোকাবেলায় হতে হবে অগ্রসেনানী।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি- মুহা. ইব্রাহীম খলীল, ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাক আহমেদ, মুহা. তাজুল ইসলাম শাহীন, মুফতি রিদওয়ানুল হক শামসী, সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
    এছাড়াও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তানভীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সহ অন্যান্য নগর সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীল এবং নগর শূরা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন, জাতীয় সংস্থা (ডাব্লিও এফ পি Wpf এর) অর্থায়নে, ওয়াল্ড ফুড ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন (রিক) এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে (১৬৫) জনকে নগদ অর্থ বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

    অদ্য ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার বেলা ১১,৩০ ঘটিকার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের মাঠে ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২৫০০ নগদ অর্থ
    বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন
    উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ মহোদয় , আরো উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সোহেল বিএ, সাবেক ছাত্রনেতা ওমর খান, কন্ট্রাকটর মুফিজ মিয়াসহ সংশ্লিস্ট এনজিও প্রতিনিধিরা।

    বিতরণ কার্যক্রমের পূর্বে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণাকৃত কক্সবাজার জেলার (এক লক্ষ) হতদরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ দেওয়া হবে, তাঁরই অংশ বিশেষ হিসেবে আজ একটি জাতীয় সংস্থার এনজিও ডাব্লিও এফপি Wpf এর অর্থায়নে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় উখিয়া উপজেলায় (সাত হাজার) হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এই নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
    এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন (দুই হাজার) হতদরিদ্র মানুষ, তাঁর মধ্যে আজ ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন হতদরিদ্র মানুষকে দেওয়া হয়েছে।

  • দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    এম.এম. সাইফুল্লাহ আল মনির, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

    চলতি এইচ এস সি পরিক্ষার জন‍্য অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করতে অভিভাবকদের পরতে হয় নানা ধরনের সমস্যায়। ঠিক এমন কিছু পরিবারের পাশে বিভিন্ন সহায়তার জন‍্য হাত বারিয়েছেন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সোনার বাংলা।

    গত ২৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য এক জরুরী ভার্চুয়াল মিটিং করেন সংগঠনের দায়িত্বশীল বৃন্ধ। এতে তারা সিদ্ধান্ত নেন পরিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে স্বপ্নের সোনার বাংলা নামের এই অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    গত ২৩ই আগষ্ট কিছু শিক্ষার্থী সংগঠনের কাছে শিক্ষাখাতে সাহায্যের জন্য লেখিত দরখাস্ত পেশ করেন।তার ভিতর একজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা চার ভাইবোন লেখাপড়া করে। তার বাবা দিনমজুর। বর্তমানে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পরায় লেখাপড়ার খরচ ও সাংসারিক খরচ চালাতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই সে ফরম ফিলাপ করতে পারতেছেনা।
    অতঃপর সকল দায়িত্বশীলের পরামর্শে তাকে ফরম ফিলাপের জন‍্য পুরো টাকা নগদ অর্থ দেন ওই সংগঠন।

    সংগঠনের সভাপতি এম. এম. সাইফুল্লাহ আল মনির বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ই জানুয়ারী ২০২১ইং। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সংগঠনটি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এবং নিরলসভাবে সমাজের সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজে ভূমিকা রাখছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও সংগঠনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

    সভাপতি সাহেব এলাকার বিত্তবানদেরকে সংগঠনকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। এবং সর্বাবস্থায় সংগঠনের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

    সংগঠনর অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ আজ এক প্রেশ বিজ্ঞপ্তি ই তথ‍্য নিশ্চিত করেন।

  • জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

    জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২১) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী চত্বরে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে

    বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল আলিম,জেলা আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আরিফ উদ্দিন,
    জেলা সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী,মাওলানা এস এম ফয়জুল্লাহ সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা,মোহাম্মদ মারুফুর রহমান সহ-সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীনসহ প্রমুখ।

    মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান।

    জেলা সেক্রেটারি এইচ এম রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।