Month: জানুয়ারি ২০২২

  • ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব- ১৩

    ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব- ১৩

    শরিফা বেগম শিউলীঃস্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    র‍্যাব ১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর কর্তৃক দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যার ক্লুলেস মামলার ০৩ জন আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে ।

    দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‍্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।

    দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন কশিগাড়ী গ্রামের পাঁচ মাথা মোড়ের নিকট পরিত্যক্ত হোটেলে একজন ১৬ বছরের কিশোরের পায়ের রগ কেটে ও জবাই করে দূর্বৃত্তরা হত্যা করে রেখে যায়। ঘটনাটি ২৯ জানুয়ারি শনিবার এলাকার লোকজনের মুখে মুখে প্রচার হতে থাকে এবং সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হয় যা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

    উক্ত ঘটনাটি একই এলাকার মোছাঃ রুমিজা খাতুন (৪১) এর কাছে পৌঁছালে সে উক্ত স্থানে হাজির হয় এবং লাশটি দেখে সে চিনতে পারে এবং তার একমাত্র ছেলে মোঃ রিসফু হু ইয়া ইয়া ওরফে রিসান (১৬) বলে শনাক্ত করেন। মোছাঃ রুমিজা খাতুন বলে যে, তার ছেলে দিনাজপুর জেলার রাণীগঞ্জ বাজার আল-হেরা ইসলামী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনার পাশাপাশি রাণীগঞ্জ বাজারে একটি ভ্রাম্যমান খাবার হোটেলে পার্ট টাইম কাজ করত। তিনি আরও জানায় ২৮ জানুয়ারি তারিখ রোজ শুক্রবার রাতে তার পিতার ঔষধ আনার জন্য রানীগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর দীর্ঘসময় চলে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাড়ীর সবাই ঘুমিয়ে পরে। পরের দিন সকালে লোাকজনের মুখে শুনে সেই স্থানে গিয়ে তার একমাত্র ছেলের লাশ দেখতে পায়।

    ঘটনাটি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ভিকটিমের লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পর্বর্তীতে ভিকটিমের মা মোছাঃ রুমিজা খাতুন (৪১) নিজে বাদী হয়ে ২৯/০১/২০২২ ইং তারিখে অজ্ঞাতনামা আসামী ভিকটিমকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মর্মে এজাহার দায়ের করে, যার মামলা নং-১০, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

    এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন জায়গা হতে চাঞ্চল্যকর কিশোর হত্যার ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে হত্যার সাথে জড়িত আসামী মোঃ স্বাধীন উদ্দিন (১৯), পিতা-বিল্লাল উদ্দিন, থানা-ঘোড়াঘাট, জেলা-দিনাজপুর এবং আরও ০২ জন ১৬ ও ১৪ বছর বয়সি কিশোর উভয় জেলা-দিনাজপুরদ্বয়’কে গ্রেফতার করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ স্বাধীন উদ্দিন (১৯) উক্ত ঘটনাটি সম্পূর্ণ বর্ণনা করে যে, সে প্রায় দশ মাস আগে ভিকটিমকে প্রতি মাসে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দেয়। ভিকটিম প্রথম তিন মাস সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পরিবর্তীতে সুদের টাকাসহ মূল টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। উক্ত টাকাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের সাথে মোঃ স্বাধীনের দ্বন্দ হয়। এছাড়াও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, ভিকটিমের মায়ের ২০,০০০/- টাকা ভিকটিমের কাছে গচ্ছিত ছিল। এ ঘটনাও ঘাতকদের কাছে অজানা ছিল না। এরই জের ধরে গত ২৭ জানুয়ারি ইং তারিখে মোঃ স্বাধীন উদ্দিন এবং তার ০২ জন কিশোর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ভিকটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকায় আসামী স্বাধীন তার কিশোর বন্ধুদের মাধ্যমে ভিকটিমকে রাণীগঞ্জ বাজারে তার পানের দোকানে ডেকে নিয়ে আসলে তাদেরকে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন কশিগাড়ী গ্রামের পঁাচ মাথা মোড়ের নিকট পরিত্যক্ত হোটেলে যেতে বলে। পরবতর্ীতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী স্বাধীন তার পানের দোকান বন্ধ করে আনুমানিক ১০.২০ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আসামী স্বাধীন ভিকটিমের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে না পেলে রাগান্বিত হয়ে তার সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে গলা কেটে দেয়।

    ভিকটিম চিৎকার করলে স্বাধীনের এক কিশোর বন্ধু ভিকটিমের মুখের ভিতর বালু দিয়ে চেপে ধরে। এ সময় অপর কিশোর তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পায়ের রগ কেটে দেয়। পরবর্তীতে আনুমানিক ১০.৪০ ঘটিকায় ভিকটিমকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীগণকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।##

  • মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    মেজর সিনহা হত্যায় জড়িত আদালতের রায় প্রদীপ -লিয়াকতের ফাঁসি: যাবজ্জীবন -৬ বেকসুর খালাস-৭

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- কক্সবাজার,

    দীর্ঘ শুনানি শেষে, সাক্ষীদের জবানবন্দি, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    সোমবার বেলা ১:৫০ মিনিটের দিকে মামলার বাদীনি মেজর সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস আদালতের এজলাসে প্রবেশ করেন। ২:২০ ঘটিকাশ রায় ঘোষণা শেষ হয়।
    রায় ঘোষণার সময় ১৫ জন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিগন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খালাস প্রাপ্ত আসামি গন আনন্দে উৎফুল্ল হন।
    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে এজলাস পরিপূর্ণ উৎসুক আইনজীবী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করা হয়।

    এ সময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডঃ মোহাম্মদ ফরিদুল আলম (পি পি), মোজাফফর আহমদ ( এডিশনাল পি পি), জিয়াউদ্দিন আহমেদ ( এ পি পি), এ্যাডঃ মোহাম্মদ জাহাংগীর, এ্যাডঃ মোহাম্মদ মোস্তফা জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার।
    সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ ঘোষণা দেন।

    আদেশে টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কূমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। এসময় প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে আইনজীবী চন্দন দাস, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
    অপর ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। যাবজ্জীবন কারাদন্ড দোওয়া আসামীরা হচ্ছে, নন্দদুলাল, আয়াজ, নিজাম, নুরুল আমিন, সাগর দেব, রুবেল শর্মা। তাদের পক্ষের আইনজীবী দিলীপ কুমার দাস, আইনজীবী শিফন কুমার, আইনজীবী শামসুল আলম ও উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া অপর ৭ আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া আসামী হচ্চে লিটন মিয়া, সাফানুল করিম, মামুন, শাহজাহান, রাজিব, মাহমুদ, কামাল। তাদের পক্ষের আইনজীবী মমতাজ আহমেদ, আইনজীবী জাকারিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় ডিজিএফআই , র‍্যাবসহ সিভিলে অবস্থানরত আর্মির অফিসারদের আনন্দে উৎফুল্ল দেখা যায়।
    বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার সময় সকাল থেকেই কক্সবাজার আদালতে ছিলেন মামলার বাদীনি শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

    রায়ের পর পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
    মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, যে সাতজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হলো, তারা একেবারে নিরপরাধ নই। তাদের ও কিছু সাজা হতে পারত। রায়ে নয়, রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে বলে জানিয়েছেন।
    দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাসে সন্তুষ্টি নই।
    সারাদিন দেশও বহির্বিশ্ব অবস্থানরত সাধরন মানুষের দৃষ্টি ছিল কক্সবাজার দায়রা ও জজ আদালতের দিকে। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন দ্রূত রায় কার্যকর করে ন্যায়,বিচার নিশ্চিত করা হোক।

    মামলার রায় ঘোষনার পর সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ কূমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।

    গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।
    ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।
    পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

    গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

  • অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার দায়ে হোটেল ম্যানেজারের জেল

    অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার দায়ে হোটেল ম্যানেজারের জেল

    বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    বিরামপুরে শহরের ঢাকা আবাসিক বোডিং এ অনৈতিক কাজে সহযোগিতার দায়ে হোটেলের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলামকে (৪০) কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত হলেন-উপজেলার খাঁনপুর ইউনিয়নের ঝগড়ুপাড়া গ্রামের মো. মকলেছ আলীর ছেলে।

    (৩১জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ষ্টেশন রোডে ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান চানান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে শহরের ঢাকা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়। অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার দায়ে হোটেলের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলামকে
    ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

  • পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাধীন
    পশ্চিম রত্নাপালং ৯নং ওয়ার্ড হইতে পূর্ব পান্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া সেতু সড়ক হয়ে জালিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের সড়কের যাতায়াত রাস্তার মাঝেকালে ঝুঁকিতে ব্রীজটির উপর ব্যপক চলাচলের ব্রীজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে দাবি দিয়ে আসছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষরা।

    ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ইং, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পশ্চিম রত্নাপালং ৯নং ওয়ার্ড হইতে পূর্ব পান্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া সেতু সড়ক জালিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের সড়কের ব্রীজ নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করেন, এবং দুই ইউনিয়নের দুই পারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    তিনি বলেন এই ব্রীজের কাজ গুনগত ও সুন্দর ভাবে কাজ করতে হলে, আপনাদের দুই পারের লোকজনদের সহযোগিতা অপরিহার্য, আর ব্রীজের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজের জন্য রাস্তাটি সৌজা করতে আপনাদের (৩)ফুট করে জায়গা ছেড়ে দিয়ে হবে, তাছাড়া এই ব্রীজের আগে পরে রাস্তাটি সুন্দর ভাবে হলে দুই ইউনিয়ের চলাচলের ক্ষেত্রে, এবং সবচেয়ে আপনাদেরই সবার ভাল আর সৌন্দর্য লাঘব হবে বলে আমি মনে করি। তখন এলাকাবাসীরা খুশীতে বলে, ঠিক আছে আপনি যে ভাবে বলবেন আমরা সেই ভাবে রাজি আছি।
    প্রকৌশলী মহোদয় বলেন আমরা অতি শীঘ্রই ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তুতি হাতে নিয়ে আগামী (১৫) দিনের মধ্যে মাঠি সয়েল টেস্ট করবে বলে সিদ্ধান্ত নিব।

    পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম কায়ছার, এত্র এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক দিনেস বড়ুয়া সহ ব্রীজের দুই পাড়ের অসংখ্য স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

  • নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মা ফাতেমা জোহরা বেগম আর নেই

    নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মা ফাতেমা জোহরা বেগম আর নেই

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    সোমবার (৩১ জানুয়ারি২২) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
    বাদে আসর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

    আ জ ম নাছির উদ্দীনের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিজিএমইএ সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, মানবাধিকার সংগঠক আমিনুল হক বাবু, জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি জনপ্রিয় সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী প্রমুখ।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য আ জ ম নাছির উদ্দীনের মায়ের মৃত্যুতে প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম পৃথক বিবৃতিতে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    ইসমাইল হোসেন সোহাগঃ- বিশেষ প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩৪০জন দুঃস্থ ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ৩০ জানুয়ারী”২০২২ইং রবিবারে সকাল ১২টার দিকে সরই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে এ শীর্তাত অসহায় মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।

    ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস কোম্পানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা মুহাম্মদ মোস্তাফা জামাল মহোদয়।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন। কোনো মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পাই সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ কম্বর বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশ এবং দেশের মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    জন-সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে করোনার চাপ বেড়ে গেছে। সবাই সাবধানে থাকবেন এবং মাস্ক পরিধান করবেন। মাস্ক ছাড়া বাড়িতে হতে অযথা বাহির হবেন না। করোনার দুঃসময়েও প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবে। এদিকে ২য় বারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয় সহ পরিবারের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া/আশির্বাদ কামনা করেছেন।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে, ৫নং সরই ইউনিয়ন আওয়ামী- লীগের সভাপতি মোঃ নুরুল আলম, সাবেক সরই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, ইউপি সচিব মোঃ মুসা, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ডলার, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী, মোঃ বাবুল, মোঃ নাছির উদ্দীন, মোঃ হোসেন, মোঃ জব্বার, মোঃ জয়নাল আবেদীন (জানু), ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী- লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য খালেদা বেগম, সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য অংজারুং ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শিরু আক্তার সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে ০১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪৮,৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-৭

    চট্টগ্রামে ০১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪৮,৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-৭

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার দোভাষী বাজারের একটি গ্যারেজের ভেতর থেকে ৪৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

    জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আটক মোহাম্মদ সৈয়দ (৬১) চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার পশ্চিম রায়পুরা এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।

    এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করে আনোয়ারার দোভাষী বাজারের গ্যারেজের ভেতর থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়েছে।

    মোহাম্মদ সৈয়দ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরে তা চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের কাছে পাচার করে আসছেন। আটক ব্যক্তিকে ও জব্দ করা ইয়াবাসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বিরামপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আকরাম সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মশিউর জয়লাভ

    বিরামপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আকরাম সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মশিউর জয়লাভ

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। নির্বাচনে গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহনা টেলিভিশনের বিরামপুর প্রতিনিধি আকরাম হোসেন,সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন যুগান্তর বিরামপুর প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান।

    (৩০জানুয়ারি) রোববার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক।

    ভোট গণনা শেষে ১৭ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আকরাম হোসেন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আবু তাহের ইসলাম পেয়েছেন ১০ ভোট ও ফরিদ হোসেন পেয়েছেন ৩ ভোট। অন্যদিকে ২১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৯ ভোট। যুগ্ন-সাধারণ পদে আবু সাঈদ ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মাজারুল ইসলাম তামিম পেয়েছেন ১৪ ভোট।

    নির্বাচনে প্রেসক্লাবের ৩০ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

  • দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী’র দাওরায়ে হাদীস (আরবী-মাস্টার্স) সমাপনী বর্ষের তরুণ আলেমদের ‘নাসায়ী শরীফ”-এর আখেরী দরস আজ (৩০ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দরস পরিচালনা করেছেন জামিয়ার মুহাদ্দিস ও মুঈনে মুহতামিম মুবাল্লিগে ইসলাম হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.)। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন কানায় কানায় ভরপুর ছিল।

    নাসায়ী শরীফের সিলেবাসের শেষ হাদীসের দরস শেষে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনা ও উপদেশমূলক প্রায় ঘন্টাব্যাপী বয়ান করেন। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন জুড়ে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছিল এবং আড়াই হাজার তারুণ আলেম আবেগঘন পরিবেশে গভীর মনোযোগের সাথে বয়ান শুনছিলেন।

    দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, আপনারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উম্মুল মাদারিসের হাবিবী কাননে এসেছেন ইলমে নববীর জ্ঞান আহরণের মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। জ্ঞান আহরণের ধারাবাহিকতায় বিদায় লগ্ন প্রায় সমুপস্থিত। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা-সমাপনের পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা নিজ নিজ অবস্থানে কর্মমুখর জীবনে ফিরে যাবেন। জীবন চলার পথ বড়ই কঠিন ও সংকটপূর্ণ। আমাদের সন্তানদের মতোই আপনারাও আমাদের অত্যন্ত স্নেহ ও ভালবাসার পাত্র। তাই জীবন চলার পথে উপদেশ মূলক কিছু কথা বলছি, মনোযোগের সাথে শুনুন।

    হিদায়াতী বয়ানে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবন চলার পথে আপনারা সর্বক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাতের পূর্ণ অনুসরণ করে চলবেন। গুরুত্বের সাথে জামাআতের সাথে নামায আদায় করবেন। দৈনিক কুরআন তিলাওয়াত করবেন। সকল উম্মতে মুহাম্মদীর ইহ-পরকালীন কল্যাণে নিজেদেরকে সদা নিয়োজিত রাখবেন। ইলমে ওহী এবং হুযূর (সা.)এর তরীক্বার প্রচার-প্রসারকে আল্লাহ তাআলার বিরাট এক নিয়ামত হিসাবে ধারণ করবেন, যে নিয়ামতের বিপরীতে জগতের সব কিছু নগন্য ও তুচ্ছ। সাধ্যমতো দেশ, জাতি ও উম্মাহর কল্যাণে কাজ করে যাবেন। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সমাজের কল্যাণে সজাগ থাকবেন। যেখানেই থাকুন না কেন, দ্বীনি ইলমের প্রচার-প্রসারে কাজ করে যাবেন এবং দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগাবেন। সুস্থির ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দিবেন।

    এ পর্যায়ে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন তরুণ আলেমদের উদ্দেশে রাসূল (সা.)এর অন্তিম অসিয়তের উল্লেখ করে বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাহাবায়ে কেরামের প্রতি শেষ অসিয়ত ছিল তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করার এবং (তোমাদের আমিরের কথা) শোনার ও তাঁর অনুগত থাকার উপদেশ দিচ্ছি, হোক না সে ইমাম একজন হাবশী গোলাম। আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তাদের মধ্যে অল্প দিন পরই মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার হিদায়াত প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে রাখবে। অর্থাৎ- সুন্নাতের উপর খুব অটল ও অবিচল থাকবে। নবাবিষ্কৃত বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নবাবিষ্কৃত কাজই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী”।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন রাসূল (সা.)এর আরেকটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাহাবী আবু যর (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার হুযূর (সা.)এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমাকে কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহ্কে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তাঁর ভয়ই সকল কাজের সৌন্দর্য। আমি বললাম, আরও কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, “কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহর যিকরকে তোমার জন্য আবশ্যক করে নাও। কেননা, এর দ্বারাই আকাশে তোমার ব্যাপারে আলোচনা হবে এবং পৃথিবীতে হবে তোমার জন্য নূর”। প্রিয় নবী (সা.)এর এই নসীহতই আপনাদের জীবন পরিচালনার জন্য পথনির্দেশিকা হিসেবে যথেষ্ট মনে করি।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা কর্মমুখর জীবনের দিকে পা বাড়াবেন। মনে রাখবেন, আপনারা যে পথের পথিক, সে পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কণ্টকাকীর্ণ ও অতি পিচ্ছিল। তাই অত্যন্ত সাবধানে এই পথ অতিক্রম করে পদে পদে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। কারণ, আজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দেশে-বিদেশে সর্বত্রই ইসলাম ও মুসলমানগণ নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ছেন। অন্যদিকে পাশ্চাত্য অপসাংস্কৃতিতে যেন সমাজ ডুবে আছে। বাতিল নানা রূপে, নানা ছদ্মবেশে, নানা পন্থায় ইসলামের প্রজ্বলিত প্রদীপকে নির্বাপিত করার নিমিত্তে প্রতিনিয়ত হীন অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এহেন দুর্দিনে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় আপনাদের মতো সুযোগ্য একদল আলেমের বৃহৎ একটি জামাত মুসলিম সমাজকে উপহার দিতে পেরে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করছি। আপনারাই জাতির ধারক-বাহক ও কর্ণধার।

    তিনি বলেন, আপনারা সাহাবা, তাবেয়ী, তবে-তাবেয়ী, মুহাদ্দেসীন, মুজতাহিদীন, আউলিয়ায়ে কেরাম, আকাবিরে দেওবন্দ ও আকাবিরে হাটহাজারী’র মাসলাকের সাথে গভীরভাবে জড়িত হওয়ায় আপনাদের কাঁধেও দাওয়াতের মহান দায়িত্ব এসে পড়েছে। এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে এ ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শকে আক্বীদা ও আমল, তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে শক্ত হাতে ধারণ করে চলতে হবে। আপনারা এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে শিক্ষা সমাপন করে কর্মক্ষেত্রের দিকে এগিয় যাচ্ছেন, যে যুগের মানুষ কি বৈষয়িক কি আধ্যাত্মিক; সর্বোপরি অস্থিরতার শিকার। তাই জাতি ছাতক পাখির ন্যায় আপনাদের জন্য অপেক্ষমান। আপনারা ইলমী দক্ষতা, খোদাভীতি, একনিষ্ঠতা, আল্লাহর উপর ভরসা ও সুন্নাত অনুসরণের মজবুত হাতিয়ার নিয়ে দেশ ও জাতির পথপ্রদর্শনে আত্মনিয়োগ করবেন। এবং তালিম, তাবলীগ, দাওয়াতি-জিহাদ, ইমামত, বক্তৃতা-বিবৃতি, ওয়াজ-নসীহত ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে পথহারা এই জাতিকে পথে

  • চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ না মানা,টিকা সনদ না দেখে গ্রাহকদের খাবার পরিবেশন করায় চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
    শনিবার (২৯ জানুয়ারি২২) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। একই অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এক ক্রেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
    চসিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিৎজা হাটকে ৩ হাজার, দিগামবিয়া ফুডকে ২ হাজার, জামান মেজবানি রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার, হোটেল জামান অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার ও লবিয়ত রেস্টুরেন্টকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় গ্রাহকদের টিকা সনদ ও মাস্ক পরার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য রেস্টুরেন্ট মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    অভিযানে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহায়তা করে।