আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
হিন্দু সংগঠনের উস্কানিমূলক বক্তব্য: আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি পেশ
চট্টগ্রাম হিন্দুসংঘের ব্যবস্থাপনায় হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক শ্লোগানের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ।
বিষয়টির সুস্থ সুরাহা ও আইনি ব্যবস্থাপনার দাবিতে আজ(০ ৮ নভেম্বর২০২০) রবিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে দলের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনের কতিপয় উগ্র কর্মীদের চরমোনাই ও হেফাজতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগান বিষয়ে প্রতিকার প্রসঙ্গে, জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ ইলয়াস হোসেন ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দেকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
প্রসঙ্গত : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কওমি আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম জাগো হিন্দু পরিষদ। এ আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা ইসলামি দলগুলো নিয়ে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিয়েছে।
‘মৌলবাদের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, হেফজাতের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘হেফাজতের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘চরমোনাই’র গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, কওমির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ধইরা ধইরা জবাই কর, একটা দুইটা জবাই কর’। জাগো হিন্দু পরিষদের ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে তাদের এসব স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এ সময় হুজুরদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আরও নানান উগ্র স্লোগান দিতে শোনা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। দলটির একজন নেতা রানা দাশ গুপ্তসহ আরও অনেক নেতারাও ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উগ্র ও সহিংস ভাষণ দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশে একের এক নবীজি সা. ইসলাম ও কোরআন অবমাননা করে আসছে বাংলাদেশের উগ্র হিন্দুরা। ধর্ম অবমাননা করায় কয়েকজন উগ্র হিন্দুকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তারা নবী সা. হযরত আয়েশা রা. ও কোরআন শরীফ নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।
অনেকদিন ধরে এসব উগ্র হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে ইসলাম অবমাননা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছে। অপর দিকে তারাই আবার মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র হবার অভিযোগ করছে।
সংগঠনটির পেজে বলা হয়েছে, ‘‘বছরের পর বছর ধরে এদের ভেতর অমুসলিম-হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা, ভিন্নমতের মানুষদের ঘৃণা ইনপুট করেছে আর প্রশাসন, সরকার নিরবে দেখে গেছে আমরা দেখেছি। এখন এরা দানবে পরিণত হয়েছে। এই দানবদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’’
Leave a Reply