সিলেট জেলার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির এসআই আকবরের হয়ে কোনো আইনজীবী আদালতে দাড়াননি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আবুল কাশেম তার সাত দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিম জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্যই এস আই আকবরের পক্ষে দাঁড়াতে চাননি।
তিনি আরো জানান, ‘দীর্ঘদিন পরে জঘন্য অপরাধকারী এসআই আকবর গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা আনন্দিত। আমরা আশাবাদী পিবিআইয়ের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত হবে এবং তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ ঘটনার পিছনে মূল হোতা কারা ছিলেন তা প্রকাশ পাবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,‘সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওতেই তার জবানবন্দি প্রকাশ হয়ে গেছে। সে নিজেই বলেছে যে এই হত্যাকাণ্ডে সে একা জড়িত নয়। একই সাথে তাকে পালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে আকবর।’
গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করে। রাতে তাকে পিবিআইয়ের হাতে তুলে হয়।
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। দীর্ঘ নির্যাতনের পর পরদিন ভোরে ওসমানী হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মৃত রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করায় রায়হান মৃত্যু হয়। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বহিষ্কৃত এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক ছিলেন।
Leave a Reply