অবশেষে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে।কিন্তু বিএনপি বলছে,তারা ইউপি নির্বাচনে যাবেনা।অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ইতো মধ্যে প্রার্থী প্রস্তুত করে রেখেছে।প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বিকল্প প্রার্থীও রয়েছে।
এই মুহুর্তে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইউপি নির্বাচনে গেলে বড় একটি অংশ ব্যাপকহারে সমালোচনা করবে।এমনিতেই তাদের আওয়ামী লীগের দালাল বলা হয়।বিএনপি নির্বাচনে না গেলে তাদের আরো বড় গলায় দালাল বলবে।দালাল বললে কি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে? মোটেও না।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির ২০ দলীয় জোটের শরিক দল না যে তারা যেমন সিন্ধান্ত নিবে তা ইসলামী আন্দোলনকেও মানতে হবে।
তাছাড়া, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন।এতে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই।তাই ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয় ক্ষমতার পটপরিবর্তনে তেমন ভূমিকা রাখেনা।স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক হওয়ায় বড় দুই দলের জন্য ক্ষতি হলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর লাভ হচ্ছে।বড় দুই দলে দলীয় কোন্দল বেড়েছে ৭২%( প্রথম আলো পত্রিকার সমীক্ষা)। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দলীয় প্রতীক হাতপাখা তৃণমূলে পরিচিত হচ্ছে।
নির্বাচনে কম জয়ী হলেও ভোটের রাজনীতিতে তৃণমূলেও হাতপাখার অবস্থান মজবুত হচ্ছে।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে অংশ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠে দলটি।পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে দলীয় প্রতীক হিসেবে নৌকা,ধানের শীষের সাথে পাল্লা দিচ্ছে হাতপাখা। সুষ্টু নির্বাচন হলে পাল্টে যাবে ভোটের সমীকরণ। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে নৌকা ধানের শীষ থেকে বেশি ভোট পেয়েছে হাতপাখা।
জ্যামিতিক হারে বাড়ছে হাতপাখার ভোট ব্যাংক।আগামী সব ইউপিতে প্রার্থী দিলে তৃণমূলের রাজনীতিতে ব্যাপক সাড়া পেলবে হাতপাখা।সাথে সাথে নতুন অভিজ্ঞতা এবং নতুন কর্মীর সংখ্যা বাড়বে।আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে আসবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।রাজনীতির গতি কখন কিভাবে পাল্টে যায় তা বলা মুশকিল।
কোন ভাবে যদি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্টু হয় তাহলে হাতপাখার ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে।বিএনপি বহুল আলোচিত ও পরিচিত দল।তাদের দলীয় প্রতীক সবাই চিনে।কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দলীয় প্রতীকে তৃণমূলে নৌকা ধানের শীষের মত পরিচিত নয়।তাই বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে যাওয়াটা যৌক্তিক মনে করি।কারণ এর মাধ্যমে তৃণমূলে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি হবে।আশা করি আইএবির হাউকমান্ড বিষয়টি ভেবে দেখবে।
লেখকঃনুর আহমেদ সিদ্দিকী
Leave a Reply