দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পি.এ.বি.) সড়ক বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী (চৌ-রাস্তা) চৌমুহনী এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যার পরও তীব্র যানজট লেগেই থাকে। কক্সবাজার জেলায় যোগাযোগের বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাঁশখালী এই প্রধান সড়কটি। আজ বুধবার (২৪ মার্চ ২১) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী হইতে রামদাশ মুন্সির হাট ও ডলমপীর মাদ্রাসা এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের দৃশ্য দেখা যায়।
দুঃসহ এই যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সহ কক্সবাজারের সাধারণ যাত্রীরা। বাঁশখালীর চাঁদপুর, গুনাগরী, জলদী, টাইম বাজার, মনছুরিয়া বাজার, চাম্বল বাজার ও নাপোড়া বাজার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মোড়, ট্রাফিক পয়েন্ট না থাকায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কোন ধরণের ভুমিকা না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা সাধারণ মানুষজন সীমাহীন ভোগান্তিতে পোহাচ্ছেন।
এই বাস্তবতায় বাঁশখালী উপজেলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। এই সড়কের দুই পাশে ফুটপাতগুলোও দখল করে আছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হকারা। এমন অবস্থায় বাঁশখালী সড়কের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাস্তবে রাস্তার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি। আবার গাড়ির তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। যে কারণে বাঁশখালী প্রধান সড়কে যানজট লেগে থাকে। এরপরও প্রতিদিন নতুন নতুন গাড়ি নামছে, কিন্তু রাস্তা বাড়ছে না।
এই সড়কে এস.আলম, সাইন লাইন, সৌদিয়া, বাঁশখালী সুপার সার্ভিস, বাঁশখালী স্পেসাল সার্ভিস, মালেক শাহ্ সার্ভিস, লালবোর্ড সহ লোকাল সার্ভিসের বাসগুলো নিয়মিত চলাচল করে, অন্যদিকে বাঁশখালী পরিবহন সংস্থা, হযরত শাহ্ জালাল শাহ্ আমানত (রাঃ) ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, বাঁশখালী আল মদিনা ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, বাঁশখালী-পেকুয়া ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস সহ ট্রাক, মিনি ট্রাক, ড্রাম্পট্রাক সহ বিভিন্ন মাল বাহী গাড়ীগুলো দিনের বেলায় রাস্তায় পার্কিং করে মালামাল অানলোড করে। এছাড়াও সিএনজি চালিত আটোরিক্স ও ব্যাটারী চালিত আটোরিক্সার সংখ্যাও কম নয়। যার কারণে বাঁশখালীর প্রধান সড়কে দিন দিন যানজট বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে মিনিবাস, বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়ী বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করেও কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে- তার উত্তর অজানা থেকে যায়।
উপজেলা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান সড়ক আরো বড় করে নির্মাণ করলেই যানজট অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু এসব ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের কোনো উদ্যোগও নেই, নজরও নেই।
এর সঙ্গে আটোরিক্সা,সিএনজি অনুরূপ যানের ব্যাপকতা তো আছেই।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদত আলম বলেন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা বেড়িবাধ হয়ে বক্সবাজার টু চট্টগ্রাম শহরে যাতায়তের জন্য বিকল্প সড়কের জন্য সংসদ অধিবেশনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই বাঁশখালীও ১৪ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মানুষের ভৌগান্তি কমে আসবে এবং গুনাগরী চৌমুহনী এলাকাটি বাঁশখালী বাসীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, এই এলাকায় যানজট নিরসনের জন্য আমি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছি।
Leave a Reply