মেজর সিনহার সহকর্মী শিপ্রার মালামাল র‍্যাবকে হস্তান্তর করতে আদালতের আদেশ।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী তদন্ত সংস্থা র‍্যাব-১৫ আইও-র কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে গত (১৭ আগস্ট) সোমবার রাতে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ প্রেসব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তাগণ তদন্তের সহায়ক হিসেবে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র‌্যাব হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে কম্পিউটার ও ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সহায়ক হবে বলে আশা করছি।

র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালত আজ
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-১) রামু’র এর বিজ্ঞ বিচারক হেলাল উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার (২০আগস্ট) বিকাল তিনটার দিকে র‌্যাবের আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ নির্দেশ দেন।
গত ৩১ আগস্ট মেজর (অবঃ) সিনহা মু. রাশেদ খানকে হত্যা করার পর মেরিন ড্রাইভ রোডের হিমছড়ি নীলিমা রিসোর্ট থেকে স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা রানী দেবনাথ কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে চালান দেয়। জিআর-৩১১/২০২০ (রামু)।
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী রামু থানার পুলিশ নিয়ে যায়।

শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেপ্তারের সময় তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সমুহ মামলার জব্দ তালিকায় আনা হয়নি। পরে রামু থানা কর্তৃপক্ষ ভিন্ন একটি জব্দ তালিকা ও জিডি মূলে শিপ্রার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ ও অন্যান্য মালামাল রামু থানার উল্লেখিত মামলার আইও এসআই শফিকুল ইসলাম এর হেফাজতে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

তবে আদালত শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী তদন্ত সংস্থা র‍্যাব-১৫ আইও-র কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আদালতের আদেশ রামু থানায় পৌঁছালেই মালামাল সমূহ গ্রহণ করতে রামু থানায় যাবেন বলে জানিয়েছেন- মামলার বর্তমান আইও র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার।

গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ শিপ্রা রানী দেবনাথের মামলা রুজু না করে তাকে রামু থানা অথবা আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পরামর্শ দেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকা ভৌগোলিকভাবে রামু থানা এলাকায় হওয়ায় সদর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ শিপ্রা রানী দেবনাথের মামলা নেয়নি। তবে শিপ্রা রামু থানায় আজও মামলা দায়ের করেননি।

সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ প্রত্যেক আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *