Author: UkhiyaVoice24

  • মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    #উখিয়া ভয়েস২৪.ডটকম

    আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলার আওতাধীন মুলাদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ও বরিশাল জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ বরকত, বরিশাল জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, বরিশাল জেলা ইমাম সমিতির সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব এফএম মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

  • কবে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ইসলামী ঐক্যমতের মঞ্চ- উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

    কবে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ইসলামী ঐক্যমতের মঞ্চ- উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

    #UkhiyaVoice24.Com

    আমরা আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে এর চাইতে চমকপ্রদ আয়োজন দেখেছি।এমন কোনো ইসলামিক গুষ্ঠি ছিলনা যারা উপস্থিত হয়নি।জালালি বক্তাদের থেকে শুরু করে জীবনেও রাজনীতি করেনি এমন আলোচকদের আলোচনা করতে দেখেছি একই মঞ্চে- কিন্তু ফলাফল কি এসেছিল?। ফলাফল এসেছিল এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রাম শেষ করে রাতের মাহফিলে গিয়েই চরমোনাই পীরের বিরোধিতা করা।কওমীর আলেমদের ঘিরে কটুকথা বলা।আওয়ামিলীগ ও বিএনপির পক্ষে শীতলতা দেখানো। তলে তলে ইসলামী দলগুলোর গোড়ায় গরম পানি ঢালার মতো কতজন আলোচক যে এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রামে দেখেছি তার হিসেব নেই। আওয়ামিলীগ হাটাও আন্দোলনের একমাস আগেও এমন মঞ্চ তৈরি হয়েছিল কয়েকবার। মুফতী রেজাউল করিম আবরার হাফিজাহুল্লাহ বহুবার এমন প্রোগ্রাম উপহার দিয়েছেন আমাদের।সেসব প্রোগ্রামে আওয়ামিলীগ সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী দিলেও জুলাই আন্দোলনে কেবল পীর সাহেব চরমোনাই’র দল ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। একটা বৃহৎ দলের আমীর ও নায়েবে আমীর একাধিকবার রাজপথে হেটে হেটে শ্লোগান দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো তাহলে চমকপ্রদ আয়োজিত মঞ্চে যারা গরম বক্তব্য দিয়েছিল তারা কোথায় ছিলো?

    কেন মঞ্চে বলা কথাগুলো সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পীর সাহেব চরমোনাই’র দলের সাথে আন্দোলনে যোগ দিলনা?
    উত্তর আছে কি?। আপনি যদি রাজনীতি বুঝে থাকেন এবং রাজনীতির গভীরে গিয়ে থাকেন তাহলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে মাত্র ১০ এ এসে পৌঁছাতে পেরেছে।বাকি নব্বই পার্সেন্ট এখন বিএনপি আওয়ামিলীগ অথবা অন্যান্য দলগুলোর হাতে আছে। আপনি মানেন অথবা না মানেন, একটা মহাসমাবেশ দিয়ে দলের উপস্থিতি নির্ণয় করা গেলেও রাজনৈতিক দৌড় কতদূর পৌঁছেছে তা নির্ণয় করা একেবারেই অসম্ভব। এই-যে জমিয়তের দলের অবস্থা দেখছেন না! নামে আর বক্তাদের জনপ্রিয়তায় এ দলটাকে কে না চিনে?। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম! নামটার অর্থ বুঝেন নিশ্চয়ই!। অথচ আগাগোড়া আর কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?। অথচ রাতের আধারে জেনারেটরের আলোতে এরাই আবার আখেরাতের বয়ান করে। ইনসাফের বয়ান করে। #ঐক্যের বিষয়ে গলাফাটায়। আবার অনেকেই এই দলের লাল দাড়িওয়ালা মুরুব্বীদের কাছে পেলে কাবার গিলাফ ধরার মতো আঁকড়ে ধরে তোলামোশা করে। উপরে কি বলছিলাম মনে আছে?। ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে ১০ এ। কারণ এটাই! ইসলামপন্থীদের বারোটা বাজিয়েছে তথাকথিত লেবাসধারী মৌ-লোভীরা। যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় অসম্মানের সহিত লেখা থাকবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে মুফতী রেজাউল করীম আবরার হাফিজাহুল্লাহ’র এমন প্রচেষ্টাগুলোকে সাধুবাদ জানাই। চেষ্টার দ্বারা আল্লাহ সফলতা। সেই সফলতা যেন আমরা দেখে যেতে পারি ইনশাআল্লাহ।

    মুহাম্মদ শেখ সাদী খাঁন।

  • “সমাজ থেকে বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”

    “সমাজ থেকে বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”

    #UkhiyaVoice24.Com

    হলদিয়া পালং ইউনিয়ন জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী “সমাজ থেকে বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” জেলা জামায়াতের আমীর ও কক্সবাজার ৪ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, সমাজ থেকে বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছর পরেও মানুষ এখনো শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি পায়নি। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ এখনো তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। আমরা মজলুম মানুষের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এদেশের মানুষের। জনমানুষের সেই স্বপ্ন পূরণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আপনাদের কাছ থেকে সমর্থন কামনা করছি। দুর্নীতি ও দুঃশাসন এবং চাঁদাবাজি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনি সকলকে দাঁড়ি পাল্লা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় উখিয়া উপজেলা হলদিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওঃ আবদুর রহিম এর সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি হাফেজ বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি আরো বলেন, আজ আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, যখন সমাজে বৈষম্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের দাপটে সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ন্যায়বিচার যেন এখন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। দুর্নীতিবাজরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ধনীকে আরও ধনী করছে, আর গরিব মানুষ দিন দিন অনিশ্চিত জীবনের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা এহেন অবস্থার পরিবর্তন আনতে আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।
    সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মজলিসে শূরা সদস্য উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল ফজল, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল হক,সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ , উপজেলা অর্থ সম্পাদক মাষ্টার মানসুর আলম, কর্মপরিষদ সদস্য হলদিয়াপালং ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা আবুল হোসাইন, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি রিদওযানুল হক জিশান, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাষ্টার সলিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা রহমত উল্লাহ সিকদার,শ্রমিক কল্যাণের ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা রাশেদুল ইসলাম জবল,শ্রমিক নেতা শাহ আলম , যুবনেতা আতিকুর রহমান প্রমুখ।

    ➡️বার্তা প্রেরক আবু মিহরান- জেলা প্রচার বিভাগ।

  • জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন

    জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

    জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন। কক্সবাজার, (সংবাদদাতা): ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯ টায় কক্সবাজার শহরের কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা। ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণের একটি বৃহৎ অংশকে প্রতিনিধিত্বহীন করে রেখেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো ‘পিআর’ পদ্ধতি গ্রহণ করা, যা এখন ‘সময়ের দাবি, জনগণের দাবি এবং গণতন্ত্র রক্ষার দাবি’। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হোক। একই সাথে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তির লক্ষ্যে আয়োজিত গণভোটের সাথে পিআর পদ্ধতিকেই অন্তর্ভুক্ত করে আগামী নভেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। অন্যথায়, এই দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই চূড়ান্ত সমাধান করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের মোট ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতে সংসদে আসন পাবে, ফলে কোনো ভোট নষ্ট হবে না এবং ছোট-বড় সব দলই প্রকৃত সমর্থনের অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব পাবে। জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দিতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। তিনি মনে করেন, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজনের অতীত নজির রয়েছে উল্লেখ করে তিনি ‘রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট’ এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তনের লক্ষ্যে ‘সাংবিধানিক গণভোট’-এর উদাহরণ দেন। জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা মানবাধিকার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার শহর আমীর ও কক্সবাজার ১ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার সদর আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুহসিন, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইবরাহিম খলীল, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট দেলাওয়ার হোসাইন। বক্তারা মানববন্ধন থেকে ঘোষিত পাঁচ দফার আলোকে নিন্মোক্ত সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

    ১. পিআর পদ্ধতি চালু: উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক হারে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যাতে প্রতিটি ভোট ও ছোট-বড় সব দলের মর্যাদা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। তাছাড়া ভোট ডাকাতি, কালো টাকার ছড়াছড়ি, কেন্দ্র দখল, নমিনেশন বাণিজ্যসহ অগণতান্ত্রিক আচরণ বন্ধে পিআর এর কোনো বিকল্প নাই। ২. জুলাই সনদ ও গণভোট: জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি মর্যাদা দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেইসাথে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে জনমত জরীপের জন্য তা ওই গণভোটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকাসহ সকল প্রার্থীর জন্য নির্বাচনি আচরণবিধি, সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত করে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে হবে। ৪. রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবি: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং নির্বাচনে নমিনেশন বাণিজ্য, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। ৫. বিচার: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২০০০ শহীদ ও ৩০০০০ আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ভাই-বোনদের ন্যায্য দাবী উই ওয়ান্ট জাস্টিসের ভিত্তিতে খুনি ও লুটেরাদের বিচার দৃশ্যমান করার ধারাকে জোরদার করতে হবে। বক্তারা বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এই দাবিগুলো আজ ‘সারা দেশের মানুষের হৃদয়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে’। তাই দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার কে সকল প্রকার চাপমুক্ত হয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

  • পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে; শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে; শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    #UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন “শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বর্তমানে দেশে ইসলামকে ক্ষমতায় আনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে— সেই সুযোগ কাজে লাগাতে PR (Proportional Representation) পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।”

    অদ্য ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন “দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই PR পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে। বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক (First Past The Post) নির্বাচনী পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে বৈষম্য, অস্থিরতা ও অন্যায় প্রভাব বিস্তার পায়। শ্রমিকরাও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে, আর মালিকরা আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়।” পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, “জনগণের ভোটের অনুপাতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন বণ্টনই গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি। এতে ভোটের মূল্য সংরক্ষিত থাকবে, ছোট ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।” এসময় তিনি আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই PR পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখন সময় এসেছে এই দাবিকে জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্মে রূপ দেওয়ার। নির্বাচনী সংস্কারের অংশ হিসেবে অবিলম্বে PR পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, প্রতিনিধিত্বশীল, শান্তিপূর্ণ ও শ্রমিকবান্ধব রাজনৈতিক সংস্কৃতি চাই। সেই পথের একমাত্র সমাধান হলো PR ভিত্তিক নির্বাচন।” সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)। তিনি বলেন, “ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া কখনোই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায় যেখানে মানুষ ও কুকুর খাদ্যের জন্য লড়াই করবে না, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব থাকবে না, সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।”

    সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসাইন, যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক-
    মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক
    ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।
    01821541630

  • পদ্ধতিগত (নির্বাচনী) গণতন্ত্রের চর্চা: ইসলামী সরকার বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ও বাস্তবতা!!

    পদ্ধতিগত (নির্বাচনী) গণতন্ত্রের চর্চা: ইসলামী সরকার বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ও বাস্তবতা!!

    নিউজ ডেস্ক:

    পদ্ধতিগত (নির্বাচনী) গণতন্ত্রের চর্চা: ইসলামী সরকার বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ও বাস্তবতা!!- আহমদ আলী। [গণতন্ত্র: ইসলামী দৃষ্টিকোণ নতুন সংস্করণ (প্রকাশিতব্য) বই থেকে] গণতন্ত্র বিরুদ্ধে এক দল আলিমের একটি বড়ো আপত্তি হলো- প্রচলিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী সরকার গঠন করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। কেননা, গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা বলতে গেলে কার্যত টাকার খেলা, প্রভাব-প্রতিপত্তির খেলা, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের খেলা, ব্যালট বাক্সে জাল ভোট ভর্তির খেলা, এসব খেলা কোনো ইসলামী আদর্শবাদী লোকেরা খেলতে পারে না। অতএব, তাদের পক্ষে ব্যাপকভাবে বিজয়ী হওয়া এবং দলগতভাবে জয় লাভ করা, অন্তত সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তদুপরি গণতন্ত্রে যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতবাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে হয় এবং সেখানে তাদেরকে তাদের নিজস্ব মত, চিন্তা ও মতাদর্শ লালন ও প্রচারের অধিকারও মেনে নিতে হয়, তাই গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনোভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এ আপত্তির মধ্যে দুটি প্রসঙ্গ রয়েছে এক. গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী সরকার গঠন এবং ইসলামপন্থীদের পক্ষে বিজয়লাভ ও ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। দুই. গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। প্রথম প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য হলো- আমরা মনে করি, এ কথাটি যদিও কোনো কোনো দেশে গণতন্ত্র চর্চার অবস্থার নিরিখে সঠিক মনে হয়; কিন্তু গণতন্ত্রের মূল ধারণা, আদর্শ ও লক্ষ্যের ভিত্তিতে তা যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা মুসলিম বিশ্বের এমন অনেক দেশ (যেমন: সুদান, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ) সম্পর্কে জানি, যেখানে গণতন্ত্র সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই ইসলামপন্থার অনুসারীরাই সরকার গঠন করবেন। তাই এসব দেশে যাতে ইসলামপন্থার অনুসারীরা সরকার গঠন করতে না পারেন, এ কারণে মুসলিমবিদ্বেষী বিশ্বমোড়লরা সেসব দেশে গণতন্ত্রের চর্চাকে নানা উপায়ে বাধাগ্রস্ত করে চলছে। মূল কথা হলো- বর্তমান গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা ইসলামী সরকার গঠনের জন্য বড়ো বাধা নয়। ইসলামী সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে বড়ো প্রয়োজন হলো, ইসলামী সরকার গঠনের পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা। আর এজন্য ইসলামপন্থিদের জনমত সৃষ্টির যুগোপযোগী মাধ্যমগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ইসলামী শাসনব্যবস্থার পক্ষে নিয়ে আসতে হবে। এতদুদ্দেশ্যে দাওয়াহ ও তারবিয়াহ কার্যক্রম বাড়াতে হবে, শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষা ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটাতে হবে।বলার অপেক্ষা রাখে না, যে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ইসলামী সরকার প্রত্যাশা করবে, তাতে গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা_ যদি তা সুষ্ঠুভাবে বিকশিত করা যায়_ ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার করার পথকে বাধাগ্রস্ত তো করবেই না; বরং অধিকতর প্রশস্ত ও সুগম করে দেবে। জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে যেকোনোভাবে জোরজবরদস্তিমূলক ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে ইসলামও সমর্থন করে না। আর এভাবে কোনোক্রমে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলেও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তা টিকিয়ে রাখা একেবারেই সম্ভব নয়।

    অনেকেই ‘গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী সরকার আদৌ কায়েম করা সম্ভব নয়’- এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিককালের মিসর ও আলজেরিয়াকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন। আলজেরিয়ায় ইসলামপন্থার অনুসারীগণ নির্বাচনে জিতেও ক্ষমতায় যেতে পারেনি এবং মিসরে ক্ষমতায় গিয়েও টিকে থাকতে পারেনি। আমরা মনে করি, এটা গণতন্ত্রের ত্রæটি নয়। সেই দেশদুটিতে কিছু সময়ের জন্য হলেও গণতন্ত্রের সুবাতাস প্রবাহিত হয়েছিল বলেই তারা নির্বাচনে জিতেছিল এবং ক্ষমতায়ও যেতে পেরেছিল। আর তাদের যা ব্যর্থতা (অর্থাৎ ক্ষমতায় যেতে না পারা কিংবা ক্ষমতায় টিকতে না পারা) তার মূল কারণ ছিল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি এবং সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষ। বিশ্লেষকদের মতে, মিসরে মুরসীর পতনের পেছনে মূল কারিগর ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল; সৌদি আরবও গোপনে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল। তারা মিসরে ইখওয়ানের উত্থানকে নিজেদের অস্তিত্ব ও মধ্যপ্রাচ্যে খবরদারির জন্য হুমকি মনে করেছিল। উল্লেখ্য, গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলেই এবং সরকার গঠন করলেই যে পরিপূর্ণ ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে তা নয়। কারণ, ইসলাম একটি বিপ্লবের নাম; আমূল পরিবর্তনের নাম; ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সকল দিক ও বিভাগের পরিবর্তনের নাম; দু/চারটি বিধান কার্যকর করার নাম ইসলাম প্রতিষ্ঠা নয়; বরং ইসলাম প্রতিষ্ঠার অর্থ হলো_ ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাস থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলামী নীতির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠা। বলার অপেক্ষা রাখে না, গণতন্ত্রের মাধ্যমে পরিপূর্ণ ইসলাম প্রতিষ্ঠা, এরূপ আমূল পরিবর্তন প্রায় দুরূহ বলা চলে। কারণ, ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতবাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে হয় এবং সেখানে তাদেরকে তাদের নিজস্ব মত, চিন্তা ও মতাদর্শ প্রচারের অধিকারও মেনে নিতে হয়, যদিও তা স্পষ্টত ইসলাম ও উম্মাহর স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। অথচ সত্যিকার ইসলামী রাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার অধিকারের কথা বলে ইসলাম ও তার শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রচারণার কোনো সুযোগ নেই।

    এ কথা স্বীকার্য যে, সমাজের যে কোনো বড়ো ধরনের পরিবর্তন, বিশেষ করে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন, কোনো মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি সহজেই নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে খুব কমই সংঘটিত হয়। এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনমত তৈরি ও গণজাগরণ। পৃথিবীতে যতবারই বড়ো ধরনের পরিবর্তন হয়েছে তা গণজাগরণের মাধ্যমে হয়েছে। সাম্প্রতিককালে চীনের সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা বলুন, রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের পতন বলুন, ইরানের বিপ্লব বলুন, আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়্যাহর প্রতিষ্ঠা বলুন- কোনো পরিবর্তনই ভোটের মাধ্যমে হয়নি; গণজাগরণের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে। এমনকি, বাংলাদেশে গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে আর দু হাজার চব্বিশে স্বৈরাচারের পতনও ভোটের মাধ্যমে হয়নি; গণজাগরণের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছে। মোটকথা, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে যদি ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা যায় এবং ইসলামের চাহিদাকে গণদাবিতে পরিণত করা যায়, তখনই গণজাগরণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যবস্থা পরিপূর্ণরূপে কায়েম করা সম্ভব হতে পারে।

    ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, এমন অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে, সেগুলোতে যদি গণতন্ত্র সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে, তবে অল্প সময়ের মধ্যে সেসব দেশে ইসলামপন্থীরা সরকার গঠন করতে পারবে; তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় গিয়েও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের বিধিবিধান চালু করা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। তারা আপাতত সেসব দেশে- যদি ইসলামী সরকার গঠিত হয়- যেসব কর্মসূচি নিয়ে এগুতে পারে তা হলো- সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে পারে এবং সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধীরে ধীরে- যতটা সম্ভব- ইসলামী বিধানগুলো কার্যকর করার পদক্ষেপ নিতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, একযোগে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের বিধিবিধান চালু করার উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে; ক্ষেত্রবিশেষে তা মহাবিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, এ অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, সকল নবী ও রাসূলই নিজ নিজ জাতিকে সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত পেশ করেছেন। যখন কোনো জাতি এ দাওয়াত কবুল করতো, তখনই তাদেরকে ধীরে ধীরে অন্যান্য বিধানের প্রতি দাওয়াত দেওয়া হতো। মুসলিম উম্মাতের ওপর আল্লাহ তা‘আলার একটি বড় অনুগ্রহ হচ্ছে, তিনি শরীয়তের সকল বিধান একযোগে নাযিল করেননি; বরং ক্রমাগতভাবে শরীয়তের বিধানগুলো জারি করেছেন। তদুপরি অনেক বিষয়ের চূড়ান্ত বিধি-নিষেধ এক দিনেও কার্যকর করেননি। ইসলামের আবির্ভাবের সময় মদ্যপান ছিল তৎকালীন আরবের তথা গোটা পৃথিবীর মানুষের সাধারণ অভ্যাস এবং তারা মদ্যপানকে কোনোরূপ অপরাধযোগ্য কর্ম মনে করতো না। অনুরূপভাবে যিনাও ছিল তৎকালীন সমাজে বহুল প্রচলিত একটি সাধারণ চরিত্র। কিন্তু ইসলামে মদ্যপান, যিনা প্রভৃতি মারাত্মক দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে মানুষের এই চিরাচরিত অভ্যাস ও চরিত্র পরিবর্তন সাধনে ইসলাম ধীর পদক্ষেপে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়েছে। কেননা, এসব বিষয়কে যদি হঠাৎ করে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হতো তাহলে তা মেনে চলা তখনকার লোকদের পক্ষে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়তো। অনেকেই হয়তো তা গ্রাহ্যই করতো না। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রা) বলেছেন,

    ‘‘.. কুরআনের প্রথম অবতীর্ণ সূরাগুলোর মধ্যে জান্নাত ও জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে। তারপর যখন লোকেরা দলে দলে ইসলামে দীক্ষিত হতে লাগলো তখন হালাল-হারামের বিধান সম্বলিত সূরাগুলো নাযিল হয়েছে। যদি শুরুতেই নাযিল হতো যে, তোমরা মদ পান করো না, তাহলে তারা অবশ্যই বলতো যে, আমরা কখনো মদপান ত্যাগ করবো না। যদি শুরুতেই নাযিল হতো যে, তোমরা ব্যভিচার করো না, তাহলে তারা অবশ্যই বলতো যে, আমরা কখনো অবৈধ যৌনাচার বর্জন করবো না।…” (বুখারী)

    সাইয়িদুনা ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মদ (সা:)-কে পাঠালেন, এই দাওয়াত দেওয়ার জন্য যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই। মুমিনরা যখন এই কথার স্বীকৃতি দিলো তখন তাদের ওপর সালাত ফরয করা হলো। যখন তারা সালাত বাস্তবায়ন করলো তখন তাদের ওপর সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো। যখন তারা সিয়াম পালন করলো তখন তাদের ওপর যাকাত ফরয করা হলো। যখন যাকাতের বিধান পালন করলো তখন হজ্জের বিধান দেওয়া হলো। যখন হজ্জের বিধান পূর্ণ করলো তখন জিহাদের বিধান প্রদান করা হলো। এরপর এই আয়াত অবর্তীণ করা হলো- আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” (তাফসীরে তাবারী) এসব রিওয়ায়াতে গুরুত্ব অনুযায়ী দাওয়াতের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষার শিক্ষা রয়েছে। তাই আমাদেরও ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় রাখতে হবে। খলীফা উমর ইবনু আবদিল আযীয (রাহ.) সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, খলীফা হবার পর তিনি শরীয়তের কিছু কিছু বিধান কার্যকর করতে সময় নিচ্ছিলেন। তখন তাঁর ছেলে আবদুল মালিক (রাহ.) এসব বিধানের দ্রæত বাস্তবায়নের কামনা পেশ করলে তিনি বলেন,

    “হে স্নেহের পুত্র! তাড়াহুড়া করো না! কারণ, আল্লাহ তা‘আলাও পবিত্র কুরআনে প্রথম দুবার মদের নিন্দা করেছেন, তৃতীয়বারে হারাম করেছেন। আমার আশঙ্কা হয় যে, আমি যদি সকল লোককে একসাথে সকল সত্য মেনে চলতে নির্দেশ দেই, তাহলে তারা সকলেই মিলে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং এতে ফিতনা সৃষ্টি হবে।” (আল মুওয়াফাকাত) বর্তমানে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বর্তমানে বিশ্ব মোড়লরা আন্তর্জাতিকতাবাদ ও বিশ্বায়নের কঠিন ফাঁদে ফেলে মুসলিম দেশগুলোকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে শাসন-শোষণ করছে, তাদের ওপর নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে, তাতে মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়ন বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়িম করা তো দূরের কথা, বরং স্বাধীনভাবে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করাও এখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড়ো ধরনের কোনো পরিবর্তন সূচিত না হলে নিকট-ভবিষ্যতে প্রায় সকল দেশেই_ গণতন্ত্র বলেন, গণজাগরণ বলেন বা সশস্ত্র জিহাদ বলেন_ কোনো পদ্ধতিতেই ইসলামপন্থীদের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন, আবার কোথাও কোনোভাবে গেলেও স্বাধীনভাবে টিকে থাকা অনেক চ্যালিঞ্জিং ব্যাপার, যা মোকাবেলা করার মতো ইসলামী নেতৃত্ব ও মুসলিমমানস আজও মুসলিম দুনিয়ায় খুব একটা গড়ে ওঠেনি।

    সুতরাং এ বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামপন্থীদের গণতন্ত্রের চর্চা, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নয়; বরং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা ও অবস্থান উত্তরোত্তর দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করার উদ্দেশ্যেও হতে পারে। এরূপ প্রতিকূল রাজনৈতিক অবস্থায় ইসলামপন্থীগণ অন্তত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে-যতটুকু সুযোগ পাওয়া যায় তার যথার্থ ব্যবহার করে- ক্ষমতার দৃশ্যপটে বরাবরই একটি বড়ো প্রেসার গ্রুপ/ইন্টারেস্ট গ্রুপ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন এবং এ প্রক্রিয়ায় দীন ও মিল্লতের স্বার্থ ও কল্যাণ- যতটা সম্ভব- আদায় করে নিতে পারেন। পক্ষান্তরে এ অবস্থায় যদি ইসলামপন্থীগণ মোটেরওপর গণতন্ত্রের চর্চা ত্যাগ করেন, নির্বাচন ব্যবস্থা বর্জন করেন, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তারা ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যেতে বাধ্য হবেন এবং এর ফলে ক্রমে তাদের অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করা, সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখাও অনেকখানি কঠিন হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ কথাটি আরও উত্তমভাবে প্রযোজ্য। সমকালীন বৈশ্বিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বিশেষ করে বর্তমান ভারতের পেটে বসে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়ন বা ইসলামী রাষ্ট্র/খিলাফত/ইমারত কায়িম করা তো দূরের কথা; বরং স্বাধীনভাবে নিজেদের টিকে থাকা এবং সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোই এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশে ইসলামী শক্তির পক্ষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো সরকার গঠন করার কিংবা রাষ্ট্র তৈরি করার বা সমহিমায় টিকে থাকার চিন্তা করা যে একটা অপরিণামদর্শী ও অবাস্তব চিন্তা_ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজেই আপাতত ইসলামী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হয়ে নিজেদের অবস্থান_যতটা পারা যায়_সুসংহত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, যতদিন না বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে আশানুরূপ কোনোরূপ পরিবর্তন আসে।

    তবে এর মানে কখনো এ নয় যে, আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্র/খিলাফত/ইমারত কায়েমের প্রচেষ্টা একেবারে ছেড়ে দেবো; বরং সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সময়োচিত ও বাস্তবসম্মত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাবো, আমাদের প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত চালিয়ে থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা_ চাহেন তো_ যেকোনো মুহূর্তে অবস্থা পরিবর্তন করে দিতে পারেন!! আমাদের কেউ কেউ আফগানিস্তানের উদাহরণ টানেন। তাদের কথা হলো, সেখানে যদি বিপ্লবের মাধ্যমে ‘ইমারতে ইসলামিয়্যাহ’ প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে বা অন্য দেশগুলোতে পারা যাবে না কেন?! আমরা মনে করি, আফগানিস্তানের ইতিহাস ও এর ভৌগোলিক অবস্থার সাথে আমাদের ইতিহাস ও ভৌগোলিক অবস্থার ঢের পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, আফগানরা প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে বিশে^র পরাশক্তিগুলোর সাথে লড়াই করে নিজেদের সক্ষমতার অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন; এ দীর্ঘ সময় ধরে তারা প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন। বলতে গেলে, এ সময়ের মধ্যে আফগান শিশুরা মায়ের পেট থেকে বের হয়েছে বোমার আওয়াজ শুনে, যুদ্ধ-বিগ্রহের মধ্যে দিয়েই তারা বেড়ে ওঠেছে। এভাবে ক্রমে তারা এক ধরনের অজেয় শক্তিতে পরিণত হন এবং দেশটি পরিচয় লাভ করে ‘সাম্রাজ্যবাদের কবরস্থান’রূপে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশে^র সব পরাশক্তি দীর্ঘসময় সামরিক অভিযান পরিচালনার পরও আফগান জনগণকে নিজেদের করতলে আনতে সক্ষম হয়নি এবং শেষাবধি ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যাসবি বলেন,
    ‘‘যদি বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখা হয়, আফগানিস্তান একটি কঠিন জায়গা। এটি এমন এক জটিল দেশ, যেখানে অস্থিতিশীল অবকাঠামো, খুব সীমিত উন্নয়ন এবং অঞ্চলটির চারদিকে রয়েছে বিস্তৃত ভূমি। .. সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সঙ্গে কোনো নমনীয়তা দেখায়নি। তারা নিজেদের পথে যেতে চেয়েছিল, অনেকদূর এগিয়েও যায়, কিন্তু তারা কখনও আফগানিস্তানের জটিলতা বুঝতে পারেনি।” বলতে গেলে আফগানিস্তান বর্তমানে এমন এক অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, মনে হয় না যে, এখন অন্য কোনো শক্তি কথিত ওই কবরস্থানে আক্রমণের ঝুঁকি নেবে। দ্বিতীয়ত, তাদের ভৌগোলিক অবস্থানও আমাদের তুলনায় অনেক সুবিধাজনক; এটি প্রায়ই মুসলিম দেশগুলোর মধ্যস্থলে অবস্থিত, এর সীমানায় রয়েছে ইরান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান প্রভৃতি দেশ। ওই সব দেশ থেকে বিভিন্ন সময় তারা নানাভাবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও রসদ প্রভৃতি সহযোগিতা পেয়েছে।

    তৃতীয়ত, সেখানে জনসংখ্যার প্রায় ৯৯ শতাংশই হলো মুসলিম। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘু কর্তৃক কোনোরূপ ষড়যন্ত্র তৈরির সম্ভাবনাও ছিল না বললেই চলে। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা ঠিক বিপরীত। কারণ, প্রথমত, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তিগুলোর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মোকাবেলা করে টিকে থাকার মতো দৃঢ় মানসিকতাসম্পন্ন ত্যাগী জানবাজ লোক আজও এ দেশে খুব বেশি তৈরি হয়নি। দ্বিতীয়ত, প্রশ্ন হলোÑ দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বড়ো শক্তির সাথে যুদ্ধ-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার মতো প্রয়োজনীয় শক্তি-সামর্থ্য-রসদ-সরঞ্জাম আমাদের কতটা আছে?! ভারত যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের বেষ্টন করে রেখেছে সেই অবস্থায় থেকে বাইরের সহযোগিতা পাওয়াও আমাদের জন্য অনেক কঠিন ব্যাপার। তৃতীয়ত, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আজও ইসলামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত নয়। তারা ইসলামকে ভালোবাসলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক- তা আন্তরিকভাবে কামনা করে না এবং এ কারণে এতদুদ্দেশ্যে বড়ো ধরনের কোনো ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত নয়। চতুর্থত, বাংলাদেশ যদিও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য ভূমি; তবুও আমাদের পাশর্^বর্তী রাষ্ট্র ভারত তার স্বার্থে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুদের একটি শ্রেণিকে দিয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। পঞ্চমত, আমাদের ইসলামী শক্তিগুলো সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ নয়। নিজেরা নানা দল-উপদল ও শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত এবং প্রায়ই নিজেদের অভ্যন্তরীণ কলহ-বিবাদে লিপ্ত থাকে। তদুপরি সামাজিক ও সেবামূলক কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তিও আশানুরূপ নয়। এ অবস্থায় আমাদের জনগণ তাদেরকে কোনোভাবেই রাষ্ট্রপরিচালনায় আস্থায় নিতে পারছে না।

    কাজেই প্রত্যেকটি দেশকে তার নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, শক্তি-সামর্থ্য ও অবস্থান দিয়েই মূল্যায়ন করতে হবে; অন্য দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শক্তি-সামর্থ্য ও অবস্থান দিয়েই নয়। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষেত্রবিশেষে ইসলামপন্থীদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব, এমনকি সরকারও গঠন করা যেতে পারে; তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, এ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিপূর্ণরূপে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় কিছু সুবিধা লাভ করা যায়, যা অন্য কোনো শাসনব্যবস্থায় (যেমন- রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র প্রভৃতি) লাভ করা দুরূহ। নিম্নে এ সুবিধাগুলো উল্লেখ করা হলো-ক. ইসলামের পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা যায় গণতন্ত্রে যেহেতু কথা বলার স্বাধীনতা থাকে, সভা-সমাবেশের অধিকার থাকে, অবাধ প্রচারণা চালাবার অধিকার থাকে, তাই এ সুবাদে সেখানে স্বাধীনভাবে ইসলামের প্রচারণা চালানো যায়, তার পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা যায়।

    খ. ইসলামপন্থীদের ভিত্ মজবুত করা যায়
    গণতন্ত্রে যেহেতু সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা দল, সংগঠন ও সমিতি গড়ে তোলা যায় এবং নির্বিঘেœ দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, তাই এই সুবাদে ইসলামপন্থীরাও সেখানে নিজেদের বিভিন্ন দল ও সংগঠন গড়ে তুলতে পারে এবং নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাদের ভিত্ মজবুত করা যায়। গ. রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা যায় গণতন্ত্রে যেহেতু সকলেই সমান অধিকার ভোগ করে, রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুসারে প্রযোজ্য যে কোনো পদে অধিষ্ঠিত হবার অধিকার লাভ করে, তাই সেই সুবাদে ইসলামপন্থীদের পক্ষে সেখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে নিজেদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা সহজ হয়।

    ঘ. সহজেই গণঅভ্যুত্থান ঘটানো যায়
    গণতন্ত্রে যেহেতু নাগরিকরা স্বাধীনভাবে সভা-সম্মেলন-শোডাউন-মিছিল ইত্যাদি করতে পারে, তাই সেই সুবাদে সেখানে সহজেই গণঅভ্যুত্থান ঘটানো যায়, বিপ্লব ঘটানো যায়। ঙ. ইসলামবিরোধী সরকার পরিবর্তন করা যায় গণতন্ত্রে যেহেতু নির্দিষ্ট মেয়াদ অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়, তাই সেই সুবাদে জনমতের ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম-বিরোধী সরকার পরিবর্তন করা যায়, এমনকি কখনও ইসলামপন্থীরা সরকারও গঠন করতে পারে।

    (রিপোস্ট)
    (আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ)

  • দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    #ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে আজ আমাদের দেখতে হচ্ছে, কমপক্ষে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেক মানুষ এমন আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন যে অসুস্থতা বা অন্য কোনো সংকটে তাঁরা গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর চেয়ে হতাশাজনক বিষয় আর কি হতে পারে? দারিদ্র্যতার এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে শুধু জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। ২৬ আগস্ট,২০২৫ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বিগত পনের বছরে আমরা উন্নয়নের নানা রকম গল্প শুনেছি। আদতে সেগুলো ছিলো মিথ্যার ফুলঝুড়ি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আশা ছিলো অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু অতিতের দীর্ঘ সময়ের সঞ্চিত অব্যবস্থাপনা এবং নতুন করে সৃষ্ট চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশে নতুন বিনিয়োগ প্রায় থমকে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতি নমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখন থেকেই জোড়ালো ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দারিদ্র্যের হার যে কোন মূল্যে শুন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে হবে।

    বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য আপত্তিজনক। বারংবার “পিআর সংবিধানে নাই” বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করতে চাইছেন কিনা সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এবং কথা কথায় সংবিধানের দোহা্ই দেয়া আমাদেরকে পতিত স্বৈরাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে থেকে আরো সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচারণ আশা করি। সাপ্তাহিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, ডা. শহিদুল ইসলাম।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাজনীতি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি, নির্বাচন, সংস্কার, নাগরিক অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৫/বি পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে সহনীয় করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। মতবিনিময় সভায় আগামীর বাংলাদেশে নির্মাণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভাবনা ও তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। একই সাথে সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের নীতিগত অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পলিটিক্যাল অফিসার জেমস স্টুয়ার্ট, পলিটিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিরোজ আহমেদ ও পলিটিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ইকবাল মাহমুদ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নূর আজিজী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খায়রুল আহসান মারজান, মুহাম্মাদ রাজন শিকদার।

  • ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    নিউজ ডেস্ক।

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিক্রিয়া-অবস্থান নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
    পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রেস ব্রিফিং অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রি: বুধবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় আইএবি মিলনায়তন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০)

    নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল পাঁচ আগস্ট অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন এবং সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণ আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ গভীর পর্যাবেক্ষণ করেছে এবং তারই ভিত্তিতে আজকে দলের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এই সংবাদ ব্রিফিং আহবান করা হয়েছে। আপনারা আমাদের আহবানে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ৪৭ ও ৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের প্রথম পর্যাবেক্ষণ হলো, ঘোষণার আগে এটা আমরা দেখি নাই। জাতির এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল উপস্থাপনার আগে থেকে না জেনে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন জানাতে হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিলো। তারপরেও প্রত্যাশিত দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পঠিত হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭১, ৭৫ এর সাত নভেম্বর ও ৯০ এর আন্দোলন সহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় ৪৭ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড শাপলা হত্যাকান্ড, পিলখানা হত্যাকান্ড ও আলেম-উলামাদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন ধারায় হাসিনা ও আওয়ামী অপকর্মের উল্লেখ আছে। ১৭ তম ধারায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোথায়ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাজনৈতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির উল্লেখ নাই। ইসলামী আন্দোলন মনে করে এটা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দেবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের ধারা ১৯ এ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগের রাজনৈতিক ও আইনী বৈধতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করা হলেও ধারা ২৫ এ জনতা ও তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরবর্তী জাতীয় সংসদের ওপরে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে ধারা ২৭ এ জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে “উপযুক্ত” শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আপেক্ষিক করে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত করে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ সুলিখিত এবং তার পাঠ আবেগ মিশ্রিত। ভাষণে সরকারের নানা সাফল্যের কথা এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি-২৬ এ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। এখানে আমাদের পর্যাবেক্ষণ হলো, জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদেরকে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। তিনিও বারংবার বলছেন, ফেব্রুয়ারি দুরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত জুলাই সনদ এখনো হয় নি। সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে এখনতক সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনীভিত্তি তৈরী করতে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের পরে পিআরের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন হয়েছে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা বারংবার উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি, লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিৎ ছিলো পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্যেও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোন এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

    অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পিআর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করা জনদাবীর প্রতি স্পষ্টত উপেক্ষা করা। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই জনদাবীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবেন না। একই সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, অতিদ্রুত পিআর নিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করে আলোচনা শুরু করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ কিভাবে হবে এবং উচ্চকক্ষের ক্ষমতা, কার্যপরিধি ও মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই। নির্বাচনের আগে এইসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা স্বরণীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। তার ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা, সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউ-ই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে তেমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃংখলা উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলংকিত হতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাই বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জনপ্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টের অবশিষ্টাংশের ব্যাপারে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। দল নিরপেক্ষ পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যক্রম জোড়ালো করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ফ্যাসিস্টের বিচারের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এর মাত্রা, ব্যাপকতা ও গতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেটা জানিয়ে বিচার কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তুৃত করে এর গতি বৃদ্ধি করার আহবান জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন। তবে আইন-শৃংখলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কর্মসংস্থানে আশাজাগানিয়া কিছু এখনো দেখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনতার কষ্ট এখনো বিদ্যমান। এসব বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান করবো।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিবাচক রাজনীতি করে। আমরা সবসময় সম্ভবনাকে বড় করে দেখি। আমরা নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিও চলমান। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। পিআর নিয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধমে প্রত্যাশামাফিক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই অভ্যুত্থান স্বার্থকতা পাবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই) আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    #উখিয়া ভয়ের২৪ ডটকম

    ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহর এলাকা প্রদক্ষিণ করে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন , কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক ।

    চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,
    একটি গোষ্ঠী দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এর দায় আমরা নির্দিষ্ট কোন দলকে দিতে চাইনা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই আমাদের কাছে সম্মানিত।জামায়াতে ইসলামী জনগণের সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।আনোয়ারী বলেন, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমাতায়। অথচ প্রশাসন বিভিন্ন দলকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশাসনকে কোন দলের পক্ষাবলম্বন না করে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমরা সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবো। সভা শেষে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল্লাহ আল ফারুককে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিট ছিল একটি বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, ইসলামী আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গঠন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে দুর্নীতি, বৈষম্য, দখলবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে জনগণ মুক্তি পায়নি। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চকরিয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাতামুহুরিতে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যার আসনে জনবল ও প্রয়োজনীয় মেশিনারীজ সংযুক্ত করে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি মাতামুহুরিকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ , জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার আহমদ, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের

    আমীর আরিফুল কবির, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, প্রাক্তন উপজেলা আমীর মাওলানা সাবের আহমদ ও মাওলানা মোজাম্মেল হক, চকরিয়া উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিম, পৌর সেক্রেটারী মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী , মাতামুহুরি সেক্রেটারী হোসনে মোবারক, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর, বরইতলি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।