Author: UkhiyaVoice24

  • কিশোরগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

    কিশোরগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।

    #UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই হাফিজাহুল্লাহ।প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (মোমেনশাহী বিভাগ) মুফতি এহতেশামুল হক আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান উপদেষ্টা মুফতি আজিজুলর রহমান (জার্মানি), জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা আলমগীর হোসাইন।

  • আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    #UkhiyaVoice24.Com

    ২০ জুলাই’২৫ রবিবার, সম্মানিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি আমীরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের নিকট দো’য়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর জনাব ফখরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা আমীর ডা. খালিদুজ্জামান।

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    #UkhiyaVoice24.Com


    জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায়, জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসে তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে- ডা. শফিকুর রহমান

    অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থাসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থসহ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যাদের ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময় ফ্যাসিবাদীদের পতন হয়েছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের কথা চিরদিন স্মরণ করব। তাদের কল্যাণের জন্য যা করা দরকার তাই আমরা করবো। আমরা তাদের যেন অবজ্ঞা না করি। অন্য দলকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করি। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করবো। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করব। যারা এখানে কথা বলেছেন তারা আমার মনের কথাই বলেছেন। আমাদের আর একটি লড়াই করতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের এমপি প্রার্থীগণ নির্বাচিত হলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী নিবে না, রাষ্ট্রীয় ফ্ল্যাট গ্রহণ করবে না। সাড়া দেশের গণহত্যা,২৪শের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সমাবেশে আসার সমর পথে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু সাঈদ, পাবনা জেলার ঈশ্বর্দী উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকায় আসার পথে এবং রংপুরের শাহ আলম সমাবেশস্থলে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমীরে জামায়াত তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার- পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। আমীরে জামায়াত নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর উপর মূল্যবান বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বক্তৃতা দানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে নির্যাতিতদের সম্পর্কে, নির্যাতিত প্রবাসী ভাই-বোনদের ব্যাপারে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের (প্রবাসী) অবদান তুলে ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে এবং দেশবাসী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কিছু মূল্যবান কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের আমীর আবু জাফর কাসেমী, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডা. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এড. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।

    জাতীয় সমাবেশে জামায়াত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড.এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. জসীম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, অন্যতম জুলাই যোদ্ধা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, জনাব আবদুর রব, অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ ও জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। আমরা ৭ দফা পূর্ণভাবে সমর্থন করছি। ইসলামী ঝান্ডা নিয়ে যুবকরা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ধ্বংস, অভিসাপ, টাকা পাচার, জুলুম নির্যাতনের নাম। তারা দেশকে জঙ্গলে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদীরা আবার আসলে কারো পিটের চামড়া থাকবে না, সারা বিশ্বে ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের একটি দল পিআর পদ্ধতি চায় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষা করা যাবে না। সুরক্ষা করতে হলে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। পিআর যারা চায় না তারা জাতির সাথে প্রতারণা করে। মুসলমানদের ন্যুনতম অধিকার ফ্যাসিবাদীরা দেয়নি। এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জনাব সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে মুজিববাদের স্থান হবে না। খুনী হাসিনার বিচার হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের স্থান হবে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ হতে হবে। ৭২ সালের সংবিধান এক পাশে রাখতে হবে। নারী অধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য, মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ১৪ বছর জালেম সরকারের কারাগারে বন্দী ছিলাম। আমাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাই আমি বলতে চাই যে, দেশ যেমন নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তেমনি আমি নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিলো। আমি অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও জেলে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাদের হত্যা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে। তাদের কি অপরাধ ছিলো? তাদের অপরাধ ছিলো তারা এ দেশের জনগণের পক্ষে ও ইসলামের পক্ষে ছিলো।

    আজ কারা পালিয়েছে? জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী পালায়নি। আমরা ৫৪ বছর বাংলাদেশ দেখলাম। কিন্তু ৫৪ বছরে বাংলাদেশের কোন পরিবর্তন হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে কুরআনের আইন দ্বারা দেশ পরিচালনা করতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চাই।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ইসলাম যেখানে থাকে সেখানে শান্তি থাকে। যেখানে ইসলামী নেই সেখানে শান্তি থাকতে পাবে না। সেখানে দুর্নীতি বাসাবাঁধে। আপনারা কি আর দুঃখ কষ্ট চলতে দিতে চান। না দিতে চাইলে সংসদে চলবে ইসলামী আইন। অন্য কোন আইন সংসদে চলবে না। শক্তি দিয়ে অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসী সকলের প্রিয় দল। নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দল। জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। দেশের জনগণের স্বার্থে জামায়াতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াতের বৃদ্ধ নেতাদের জেলে বন্দী করে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। আমীরে জামায়াতের নির্দেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা-সহ সমাবেশ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতাকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। কষ্ট শিকার করে সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করায় ঢাকাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

  • ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    গতকাল খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম। মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে। অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোন কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।

  • ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের শহীদ মিনারে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের শহীদ মিনারে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    #UkhiyaVoice.Com ।। ইসলামিক রাজনীতি

    ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে, সকল হত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রকাশ ও কার্যকর করা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবিতে ইসলামী ঐক্যজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়োজিত এক বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।মাওলানা জাকির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে মুফতী সালমান রফিকীর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদির দা.বা. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবু তাহের জিহাদী দা.বা.। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দা.বা.। ইসলামী ঐক্যজোট নারায়নগঞ্জ জেলা সহ সভাপতি মাওলানা আলী আহমাদ সহ আরো উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা মুঈনউদ্দীন, খেলাফত মজলিস নারায়নগঞ্জ জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতী শেখ শাব্বির, ইসলামী ঐক্যজোট সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মাহমুদ প্রমুখ। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম ছাড়া জাতির মুক্তি নেই। তারা অবিলম্বে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে “জুলাই সনদ” কার্যকর করার দাবি জানান।

  • নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    #UkhiyaVoice24.Com

    নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পাবলিক হল ময়দান কক্সবাজার জনসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ‘দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে’ প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম মীর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী এ আর এম ফরিদুল আলমের সঞ্চালনায় বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খুনি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন হবে ইনশাআল্লাহ। যে রকম ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এ দেশ থেকে তাড়াতে বাধ্য করেছিলাম, ঠিক তেমনি সকলে মিলে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি, তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো। ইনশাআল্লাহ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। এজন্য সব ইসলামি দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যে কোন বিষয়ে শালিনতা বজায় রাখবো। অশালীন ভাষায় কাউকে কটাক্ষ করা যাবেনা। তিনি বলেন, শুধু নেতার পরিবর্তন করলে হবে না, সাথে নীতির সংষ্কার করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, সকল যন্ত্রযন্ত্রকারীদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে আগামী নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শাহ ইফতেখার তারিক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, কেন্দ্রীয় আমেলা সদস্য ইসলামী স্কলার মুফতি রেজাউল করিম আবরার, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা আমির নুরুল কবির হেলালী, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় শরণার্থী বিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা মোঃ আলী, দ্বীন কায়েম সংগঠন কক্সবাজার জেলা ছদর আলহাজ্ব বদিউল আলম সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কক্সবাজার জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জিয়াউল হক ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা ইয়াহ্ইয়া সাঈদ, চকরিয়া থানা উত্তরের সভাপতি মাওলানা মনিরুল্লাহ সিকদার, রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ক্বারী আবু নাছের, টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আহমাদ হোসাইন, মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী, মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা শাখার সভাপতি মাওলানা নুরুল্লাহ সিকদার, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, ঈদগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শামসুল হক আজিজী, টেকনাফ উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি কাউন্সিলর নুর মুহাম্মাদ মাঝু, রামু উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আসাদ উল্লাহ রহমানী, উখিয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ কলিম উল্লাহ, চকরিয়া থানা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা শেখ আহমাদ কবির ও কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ডাক্তার মুহাম্মাদ শরীফ সহ জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

    জনসভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে প্রার্থী ঘোষণা করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এবার কক্সবাজার জেলার চারটি আসনে হাতপাখা প্রতীকে কক্সবাজার-১ (সদর-কক্সবাজার) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাওলানা মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম মীর, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী, কুতুবদিয়া) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা জিয়াউল হক, কক্সবাজার-৩ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে ডা. এস এম ইসমাইল ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে নুরুল বশর আজিজী। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে হাতপাখা মার্কার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসলামি দলের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব থাকলে পুঁজিবাদী অর্থনীতির পরিবর্তে ইসলামি অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধনীকে ধনী বানায় আর গরিবকে আরও গরিব করে। ইসলামী অর্থনীতি গরিবদের জন্য, সকলের জন্য। অতীতের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে পীর সাহেব চরমোনাই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, চোরের মাধ্যমে চুরি বন্ধ হয়? খুনির মাধ্যমে খুন বন্ধ হয়? দেশকে এক নম্বর বানাতে চান? মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। আমরা বাংলাদেশকে গড়বো, আমরা উন্নয়ন করবো। আমরা মা-বোনদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যেখানে অধিকার থাকবে সকল শ্রেণি-পেশার ও বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের। থাকবে না কোনো বৈষম্য।

  • সেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগপত্র করলেন- ড. ফয়জুল হক

    সেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগপত্র করলেন- ড. ফয়জুল হক

    প্রতিবেদন:

    আমি, ড. ফয়জুল হক, আজ গভীর আবেগ ও বিবেচনার সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে গঠিত বিএনপির মালয়েশিয়া কমিটির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৮ সালে ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) এবং ঝালকাঠী-২ (ঝালকাঠী-নলছিটি) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। দেশে ও বিদেশে থেকে বিগত বছরগুলোতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী ও সামাজিক বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছি একটি স্বাধীন, ন্যায়ভিত্তিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন রাজনীতি করতে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধীরে ধীরে বামঘেঁষা মতাদর্শের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যেসব ইসলামপন্থী দল ও ইসলামিক চিন্তাবিদরা অতীতে বিএনপির পাশে ছিলেন, আজ তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের কথার সাথে বিস্ময়করভাবে মিলে যাচ্ছে। এসব অবস্থান আমার বিশ্বাস, চেতনাসম্মত রাজনীতির পরিপন্থী। আমি একজন ডানপন্থী রাজনীতিক হিসেবে আজ স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি, আমাকে দলীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি পাথর দিয়ে মানুষ হ*ত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে ন্যূনতম সমর্থন দিতেও রাজি নই। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্পষ্ট সাহস রাখতে চাই।গত ১৬ বছর যেভাবে কথা বলেছি ঠিক তেমনি আমি ন্যায় ও মানবতার পক্ষে কথা বলতে চাই, দলীয় স্বার্থ নয়, দেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাধারণ মানুষের অধিকারই আমার রাজনীতির মূলমন্ত্র। জুলাই বিপ্লবের পরে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, যা দলের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। আমি চাই না আমার অবস্থানের কারণে দল বিব্রত হোক। কারণ এখনো অনেক নেতা রয়েছেন, যারা পরিবর্তিত বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছেন না- তারা আজও শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হেঁটে চলেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ত্যাগ এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশের প্রতি ভালোবাসা আমি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবো। তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইলো। আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিষয়ে বলতে চাই- আমি ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতির সামনে আসতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। দলমত নির্বিশেষে সবার সমর্থন নিয়ে আমি মানবতা, সত্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের পক্ষে সংসদে কথা বলবো। আজ থেকে আমি আর কোনো দলীয় পরিচয়ের ছায়ায় নয়- বরং একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলার সাহস নিয়ে পথ চলতে চাই। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই নীতিতে অবিচল থাকবো বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের বন্ধুবান্ধব, সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো।

    ড. ফয়জুল হক
    সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী,
    ঝালকাঠী ১(রাজাপুর- কাঠালিয়া)

  • উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়া ইউপি সদস্য কামাল মেম্বারের মরদেহ ১১ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়।

    উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়া ইউপি সদস্য কামাল মেম্বারের মরদেহ ১১ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন মেম্বার নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর পার্শ্ববর্তী খালে ভাসমান অবস্থায় দেখা গেলে মৃতদেহ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পোস্টমর্টেম এর জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন মর্গে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রতিদিনের মতো স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে ইনজেকশন দিতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সারারাত সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি রাতেই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়। দিকে স্থানীয়রা একটি খালে ভেসে থাকা একটি মরদেহ দেখতে পেলে তৎক্ষণিক প্রশাসনকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং তা কামাল মেম্বারের বলে নিশ্চিত করে। এদিকে ইউপি সদস্য কামালের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও বইছে শোকের স্রোত। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। স্থানীয়রা জানান কামাল মেম্বার ছিলেন একজন জনপ্রিয় ও সাহসী জনপ্রতিনিধি। কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এখনো স্পষ্ট নয়। গত এক-যুগ আগে তার আপন ভাই জসিমকেও একই ভাবে হত্যা করে মেরিন ড্রাইভে ফেলে রেখেছিল, আরেক ভাইকেও পরিকল্পিত ভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।

  • প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত।

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত।

    #এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত। অদ্য ৫ জুলাই-২০২৫ খ্রি: শনিবার নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা সভাপতি মুফতি সাইদ আহমদ সরকার এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায় আগামী ২৫ জুলাই’ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন । বিশেষ অতিথি – আইএবি নরসিংদী জেলা শাখার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হা.মাওলানা শেখ আমিনুল ইসলাম মাহমুদী। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মোবারক হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএম রাশিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক, ইমরান হোসেন, থানা ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীল প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক মুহা.কাউছার গাজী, প্রচার সম্পাদক ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখা।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

    #এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন। বিকাল ৩ টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আতা উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আইএবি রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আবু নাছের । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবু নাছের বলেন দায়িত্ব বা পদ আল্লাহ প্রদত্ত একটি আমানত। এই আমানতের যথাযথ হক আদায় না করলে আল্লাহর সামনে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রত্যেকটি দায়িত্বশীল ও কর্মীকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি সমাজের যে কোন সমস্যার সমাধানে এবং জনকল্যাণ মূলক যে কোন কাজে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পরিশেষে তিনি বিগত সেশনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৫-২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ইউনিয়ন সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আরিফ উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ঈসা আল-রাইয়ানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠান উপজেলা মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল আমিনের দুআ ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।