Author: UkhiyaVoice24

  • পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৪১ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল মিয়ানমার

    পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৪১ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল মিয়ানমার

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর আটক ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে দিল মিয়ানমার ।বুধবার (২৩ মার্চ)বিকালে টেকনাফ দুই বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালেদ মোহাম্মদ ইফতেখার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
    তিনি আরো জানান,গত ৬ মে ২০২১ হতে বাংলাদেশি ৪১ জন নাগরিক মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগ শেষে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।

    বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি এবং মিয়ানমারের সিতওয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট দীর্ঘ এক বছর কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের পর বুধবার ( ২৩ মার্চ )সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের মন্ডু পয়েন্ট অব এনট্রি নামক স্থানে দুপক্ষের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে আটক ৪১ বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন ।এদিকে পতাকা বৈঠকে মিয়ানমার বিজিপি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন লেঃ কর্ণেল কাও না ইয়াং শো
    মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশি ৪১ নাগরিকরা হলেন-জাকির হোসেন,নুরুল আবছার ,মোহাম্মদ আয়ুব খান,মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,সিরাজুল ইসলাম,সাদ্দাম হোছাইন,আব্দুর রশিদ,মোহামম্মদ সাকিব,মং থিং মারমা ,চাইলা প্রু মারমা ,নথিমং মারমা ,মং লং চিং মারমা,ইউ মং চির মারমা,হালিমা খাতুন,উছাথুই মারমা,চাইন ডু অং মারমা ,হারমনি ত্রিপুরা,হে হে ত্রিপুরা,ডালিয়েন ত্রিপুরা,সচিং ইউ মারমা,থোয়াই কি চিং মারমা ,সাধু অং মারমা ,হা সুইচিং মারমা,পাইসা থুই মারমা,আলী আহমদ,মোহাম্মদ শরীফ,ইমরান হোছাইন,নুর কাশেম,নুর আলম,মোহাম্মদ আলম,কলিম উল্লাহ,মোরশেদ আলম,মোহাম্মদ রফিক,জানে আলম,বাবুল ,মুজিবুল্লাহ,সোলতান,মোহাম্মদ সলিম,মকবুল মাঝি,সাদেক ।


    তাদেরকে করোনা পরীক্ষার পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে জানান টেকনাফ ২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ শেখ খালিদ মোহম্মদ ইফতেখার।

  • বন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজাপালং ইউপিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    বন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজাপালং ইউপিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    কাজল আইচ:- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে ২৩ মার্চ ২০২২ ইং, বিকেল ৩টায় গ্রীন লাইফ প্রকল্প ও ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে, আরণ্যক ফাউন্ডেশন উখিয়া কক্সবাজার এর আয়োজিত আলোচনা সভায় বন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উক্ত সভায় বন ও পরিবেশ বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন গ্রীন লাইফ প্রকল্পের এফসি মাহবুবুর রহমান, সিএমসি’র সভাপতি শহিদুল্লাহ কায়ছার, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি শফিউল আলম, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হেসেন সিরাজী, উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলভী হারুন অর রশিদ, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃণাল বড়ুয়া, উখিয়া ষ্টেশন জামে মসজিদের খতীব মৌলানা মুজিবুর রহমান, বৌদ্ধ ভান্তে ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য-সদস্যা উদ্যোক্তা সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গগন উপস্থিত ছিলেন।

  • রমজানের আগেই টেকনাফে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দামঃ মনিটরিং প্রয়োজন

    রমজানের আগেই টেকনাফে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দামঃ মনিটরিং প্রয়োজন

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

    পবিত্র রমজান কে সামনে রেখে টেকনাফে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে । প্রতিরোধের কেহ নেই । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের পরিবারের প্রতি অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রমজান কে সামনে রেখে এক শ্রেণীর মুদির দোকানদার, আড়দার, রমজানের ব্যবহ্নত পণ্য মজুদ করতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। টেকনাফ উপজেলা পৌরসভা ও সাবরাং ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে পরিদর্শন করে দেখা যায়।প্রতিটি পন্যের দাম বাড়া।

    এক দোকানের পণ্যের দামের সাথে অন্য দোকানের দামের কোন মিল নেই। দোকানে কোন মুল্য তালিকা নেই।
    বিশেষ করে পেয়াজ,ছোলা, ডাল,চিনি,ভোজ্য তৈল, গুড়া দুধ, হলুদ,মরিচ, ইত্যাদির দাম দিন দিন বাড়ছে।
    সরকার পবিত্র রমজান কে সামনে রেখে ভোজ্য তেলের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও টেকনাফে তৈলের মুল্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
    বরং বাড়ছে। এ ছাড়া চাল, কাঁচা মরিচ, কাঁচা মাছ, কাঁচা তরকারি ইত্যাদি ও দাম বাড়ছে।

    রমজান না আসার আগেই এভাবে পন্যের দাম বাড়তে থাকলে রমজানের সময় ইহা দ্বিগুণ হবে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

    বর্তমানে দেশীয় পিয়াসের দাম ৩৫ টাকা হলেও কিন্তু ভারতীয় পিয়াসের দাম প্রতি কেজি ৫০টাকা। ভোজ্য তৈল রুপচাঁদা প্রতি লিটার ১৮০,বসুন্ধরা১৬০, ফ্যামিলি১৭০, টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ।সরকারি সার্কোলার অনুযায়ী প্রতিটি দোকানে দৈন্দিন পন্যের তালিকা প্রদর্শনের কথা থাকলেও কোন দোকানদার তা প্রদর্শন করেনা বলে ক্রেতা সাধারণ জানান। ফলে দোকানদার, আড়দার তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছে। সাধারন ক্রোতারা জানান এর এক মাত্র মূল কারণ হচ্ছে বাজার মনিটরিং না করা।
    সরকারের স্ব-রাষ্ট্রমন্তনালয় ও বানিজ্য মন্তনালয় নান্তঃমন্তনালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যেসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা
    সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ এরফানুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রতিটি হাট বাজারে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হবে।

  • টেকনাফ উপজেলায় সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত

    টেকনাফ উপজেলায় সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে
    নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সৌজন্যে টেকনাফ সহ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির আয়োজনে
    টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিশাল র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, টেকনাফ পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিল মোহাম্মদ দিলু, মধ্যম হ্নীলা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমজাদ হোছন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও পরিবেশ কর্মী নুরুল আমিন, নেচার রিসোর্চ ম্যানেজার অশীম কুমার বড়ুয়া, সাইট সমন্বয় কারি নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের মোহাম্মদ সওকত উসমান।

    পরে দিবসটি উপলক্ষে টেকনাফ রেঞ্জ মাঠে সিপিজি কমিটি (বন পাহাড়া দল) সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন, সাইট সমন্বয় কারি নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের মোহাম্মদ সওকত উসমানের পরিচালনায় টেকনাফ রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়

    পাশাপাশি উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দের পুরস্কার বিতরণ, সহ ব্যবস্থাপনা কার্য্যালয়ে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয়,পরবর্তীতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মহোদয় সকলকে সহ-ব্যবস্থাপনা দিবসের তাৎপর্য কে অন্তরে ধারণ করে প্রকৃতিকে বাঁচাতে টেকসই সহ ব্যবস্থাপনাঃ রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭ বাস্তবায়ন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন, নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প ব্যবস্থাপক – এনআরএম, অসীম বড়ুয়া,সাইট সমন্বয়কারী মোঃ শওকত ওসমান, সাইট ফেসিলিটেটর নজরুল ইসলাম। মোহাম্মদ ইদ্রীস ওয়াহিদ, মোঃ আব্দুল্লাহ, ইদ্রীস খান, মোহাম্মদ নুর সহ আরো অনেকেই।

  • বাংলাদেশে এই প্রথম সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছে ই-প্রেসক্লাব

    বাংলাদেশে এই প্রথম সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছে ই-প্রেসক্লাব

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    রাষ্ট্রের ৪ টি স্তম্ভের ৩ টি হলো জাতীয় সংসদ, নির্বাহী বিভাগ তথা প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ।রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র রাষ্ট্রের অন্য তিনস্তম্ভের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরে।একটি রাষ্ট্র কোন দিকে যাচ্ছে, ভালো দিকে যাচ্ছে কিনা, সঠিক পথে আছে কিনা তা সাংবাদিকগণ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাহসিকতার সাথে তুলে ধরেন। আর তাই সাংবাদিকতাকে একটি স্বাধীন পেশা হিসাবে অভিহিত করা হয়।
    তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে মোবাইল বা সেল ফোন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটকেও অনেক সময় নতুন-যুগের গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইন্টারনেট স্বীয় ক্ষমতাবলে ইতোমধ্যেই অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
    এর মাধ্যমে অনেক প্রকার সেবা – বিশেষ করে ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ব্লগিং, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের প্রচারকাজ পরিচালনা করছে। দেশের জনগণের একটি বিশাল অংশ আজ এ পেশার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। আর এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রথম কাজ সত্যনিষ্ঠ, বস্তুনিষ্ঠ এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা।দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে সাংবাদিকদের নিজের পরিবার রয়েছে, তাঁদের জীবনজীবিকা ও স্বার্থগুলো নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান বা সাংবাদ পত্রের সুবিধা-অসুবিধা দেখা।উপরোল্লেখিত কাজগুলো যাতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেরা করতে পারেন সেজন্য সারাদেশে গড়ে ওঠে প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন । কিন্তু কেতাবে গরু থাকলেও বাস্তবে গোয়ালে নেই।

    আর তাই বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে ই-প্রেস ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এই মহতী কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন জনাব সৈয়দ ফজলুল কবীর। তিনি হলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা।

    বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতা, সকল প্রকার অনলাইন সেবা নিয়ে ই -প্রেসক্লাব গঠন করা হয়েছে। ই-প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকরা আইনী সহায়তা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা , শিল্পায়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের আর্থিক উন্নয়ন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ও যুগোপযোগী করে সাংবাদিকদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়াও সারাদেশে রক্তদান,বাল্যবিবাহ,যৌতুক, শিশু নির্যাতনসহ সামাজিক সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় বদ্ধ পরিকর থাকবে।

    ই-প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের জন্য কিছু সামাজিক নিরাপত্তা মূলক সেবা যেমন-, স্বাস্থ্য সেবা, বীমা সেবা, আর্থিক সেবা, প্রশিক্ষণ এবং সাংবাদিকদের জন্য আর্থিক উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
    ই- প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ ফজলুল কবীর বলেন, এই ক্লাবে ইতিমধ্যে দেশের স্বনামধন্য সংবাদপত্রের সাংবাদিকবৃন্দ যোগদান করেছে। আশা করা যাচ্ছে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংগঠনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা ভালো সেবা পাবেন।

  • অবৈধভাবে টিসিবি’র পণ্য গুদামজাত করায় টিসিবি’র ডিলারসহ ৩ জনকে আটক ও বিপুল পরিমাণ টিসিবি’র পণ্য জব্দ করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

    অবৈধভাবে টিসিবি’র পণ্য গুদামজাত করায় টিসিবি’র ডিলারসহ ৩ জনকে আটক ও বিপুল পরিমাণ টিসিবি’র পণ্য জব্দ করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

     

    ১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, মানবপাচারকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি টিসিবির পন্য (সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি) খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের নিকট বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং কাঁচা বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদের পিছনে মোঃ জসিমউদ্দিনের মালিকানাধীন গাউছিয়া স্টোর নামীয় গোডাউনে মজুদ রেখেছে এবং উক্ত পন্য কালোবাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে টিসিবি লেখাযুক্ত সয়াবিন তেলের প্লাস্টিকের বোতল হতে সয়াবিন তেল খোলে তা বড় টিনের ড্রামে এবং টিসিবি লিখাযুক্ত চিনি ও ডালের প্যাকেট হতে চিনি ও ডাল বের করে আলাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে সংরক্ষণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে
    মঙ্গলবার ২২ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ বিকাল ৫ টায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ কামরুল ইসলাম রাশেদ(৩৯), পিতা-মৃত মোঃ হানিফ, সাং-রাজাপুকুরপাড়া, থানা-পতেঙ্গা, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ নুরুল্লাহ(৩৮), পিতা-মৃত কামাল উদ্দিন, সাং-খাগরিয়া, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, এবং ৩। মোঃ জসিমউদ্দিন(৪৩), পিতা-মৃত হাজি আবুল কালাম, সাং-দক্ষিণ হালিশহর, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ও তাদের দেখানো শনাক্ত মতে উক্ত গোডাউনের ভিতর থেকে টিসিবি লেখাযুক্ত ২০০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৫০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়।

    ৩। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে টিসিবির পন্য বিক্রয়ের একজন ডিলার। সে গোডাউনে থাকা টিসিবির পন্য (সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি) খোলা বাজারে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রয়ের কথা থাকলেও তা না করে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় কালোবাজারের মাধ্যমে আসামী মোঃ নুরুল্লাহ এবং জসিমউদ্দিনের নিকট বিক্রয় করে। আসামী মোঃ নুরুল্লাহ এবং জসিমউদ্দিনদ্বয় উক্ত টিসিবির পন্য অন্যান্য সাধারণ পণ্যের ন্যায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে টিসিবি লেখাযুক্ত সয়াবিন তেলের প্লাস্টিকের বোতল হতে অপসারণ করে বড় টিনের ড্রামে এবং ডাল ও চিনি টিসিবি লেখাযুক্ত প্যাকেট হতে অপসারণ করে প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর সংরক্ষণ করছিল বলে স্বীকার করে।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্ত্রে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • লোহাগাড়ায় ট্রাক চালিয়ে ০৫ জন মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ও নৃশংসভাবে নিহতের ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার ১৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাবের হাতে আটক

    লোহাগাড়ায় ট্রাক চালিয়ে ০৫ জন মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ও নৃশংসভাবে নিহতের ঘটনার ঘাতক ড্রাইভার ১৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাবের হাতে আটক

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। গত ২১ মার্চ ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ০৫৩০ ঘটিকায় একটি প্রাইভেটকার যোগে ৫ জন ছাত্র-বন্ধু চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে প্রাইভেটকারটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর নামক স্থানে পৌছালে রাস্তার বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ডাম্পার ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ঘটনাস্থলেই নির্মমভাবে মারা যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আহত আরো একজন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেট্রিক মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

    ৩। ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রিপন ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে এবং আত্মগোপন করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ডাম্পার ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী চালায়। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক ডাম্পার ট্রাক ড্রাইভার রিপন চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুড়িং থানাধীন রশিদ বিল্ডিং এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। অদ্য ২২ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ ০৩.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকা হতে ঘাতক ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ রিপন (৩১), পিতা-মৃত মোজাম্মেল হক, সাং-মহেশখালী, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘাতক ট্রাক (রেজিঃ নং-চট্ট মেট্টো-ট-১২-০৩১৫) এর চালক ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নিম্নেবর্ণিত তথ্যাবলী পাওয়া যায়ঃ

    ক। ডাম্পার ট্রাকটির ড্রাইভার মোঃ রিপন (৩১) ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম আসে এবং নিমতলা বিশ্বরোডে বসবাস শুরু করে। প্রথমে সে গাড়ীর হেলপার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। ২০০৪ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সে গাড়ীর হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ২০০৬ সালে হেলপার থাকা অবস্থায় গাড়ী চালানোর দরূণ সে মারাত্মক দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে তার ডান পা পঙ্গু হয়ে যায় এবং উক্ত পায়ে প্রায় সম্পূর্ণ শক্তি হারিয়ে ফেলে।

    খ। ২০১৫ সালে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ হতে হালকা যানবাহনের লাইসেন্স পায় এবং পঙ্গু অবস্থায় গাড়ী চালনার দরুন সে অনেকগুলো দূর্ঘটনায় পতিত হয়। পরবর্তীতে ভারী যানবাহনের আবেদন করলে তার শারীরিক অযোগ্যতার কারণে বিশেষ করে ডান পা পঙ্গুত্ব ও শক্তি হারানোর প্রেক্ষিতে তাকে লাইসেন্স প্রদান করা হয় নাই। তবু সে নিয়মিত ভারী যানবাহন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অত্যন্ত করুণ ও নির্মমভাবে চলে গেল পাঁচজন তরতাজা যুবকের প্রাণ, যাদের বয়স এখোনও ত্রিশের কোটায়।

    খ। ঘটনার দিন উক্ত ডাম্পার ট্রাকের মূল চালক ছিল ড্রাইভার মোঃ নুরনবী। সেদিন নুরনবী উক্ত গাড়িটি নিয়ে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া মেরিন ড্রাইভ ও ফোর লেইনের চলমান সড়ক নির্মানের পাথর বোঝাই করে নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নূরনবী টানা ১০দিন নির্ঘুম থেকে গাড়ী চালানোর কারণে ক্লান্ত থাকায়, উক্ত গাড়ী চালানোর দায়িত্ব মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে পরিবর্তন করে বদলীকৃত ড্রাইভার মোঃ রিপনকে দেওয়া হয়।

    ৪। এখানে উল্লেখ্য যে, রিপন এই কোম্পানীর উক্ত ভারী ডাম্পার ট্রাক চালানোর স্থায়ী কোন ড্রাইভার নয় বা এই ধরনের গাড়ী চালানোর জন্য ভারী লাইসেন্স অথবা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে গাড়ী চালাতে দেওয়া হয়। অতঃপর সে গাড়িটি নিয়ে পেকুয়ায় মেরিন ড্রাইভ ও ফোর লেইনের সড়ক নির্মাণের পাথর আনলোড করে আসার সময় লোহাগাড়া থানাধীন আধুনগর বাজারে পৌছালে অত্যন্ত বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অপর প্রান্ত হতে নিয়মিত গতিতে আসা প্রাইভেটকারকে সজোরে ধাক্কা দেয়। প্রথম ধাক্কায় প্রাইভেটকারটি থেমে গেলেও ট্রাক ড্রাইভার রিপন এর ডান পায়ের পঙ্গুত্ব ও শক্তি কম থাকায় সে ব্রেক করতে পারেনি এবং প্রাইভেটকারের উপর ট্রাকটি সম্পূর্ণ উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হারুনুর রশিদ হীরণ (২৬), খোরশেদ আলী সাদ্দাম (৩১), রিজভী শাকিব (২৬) এবং মনছুর আলী (২৩) মারা যান এবং গুরুতর আহত মুহাম্মদ হুমায়ুন (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।

    ৫। এখানে অত্যন্ত লক্ষণীয় যে, উক্ত গাড়ির কোন হেলপার ছিল না এবং গাড়িটি অত্যন্ত বেপরোয়া গতি এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিল। দূর্ঘটনার সময় গাড়িটি (কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসতে) রাস্তার বাম পাশে থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ডান পাশে চলে যায়। ট্রাকের ড্রাইভার শারীরিকভাবে অযোগ্য, ডান পায়ে শক্তি প্রায় নেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই ধরনের ডাম্পার ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চালানোর মত কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অভিজ্ঞতা কিছুই তার নেই। মহাসড়কপথে ড্রাইভারদের এই ধরনের অনভিজ্ঞতা, অবহেলিত ও খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রাণ।

    ৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • চট্রগ্রামে নির্মিত হল সচেতন মূলক তথ্যচিত্র “জীবন”

    চট্রগ্রামে নির্মিত হল সচেতন মূলক তথ্যচিত্র “জীবন”

    ফেনী, সোনাগাজী প্রতিনিধিঃ- মোঃ শাহীন আলম,

    চট্টগ্রাম হতে নির্মিত হল সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র ‘জীবন’। গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটির একটি মনোরোম লোকেশনে এর দৃশ্যধারণ করা হয়। একটি ভিন্নধর্মী গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘জীবন’। আমাদের জীবন বাঁচাতে গাছ একটি অপরিহার্য্য উপাদান।

    গাছের কোন বিকল্প নেই। এ মূল প্রতিপাদ্যকে তুলে ধরতে গিয়ে মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটে নির্মাতা আমাদের এ পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা যে জন্মের পর হতেই অবহেলিত, সেই ধ্যান-ধারনার বাইরে এসে মূল প্রতিপাদ্যের সাথে গল্পের অসাধারণ সমন্বয় ঘটিয়েছেন; যা সত্যিই প্রসংসার দাবিদার। তথ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা করেছেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রযোজক আফরোজা দিনা।

    তথ্যচিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অলোক ঘোষ পিন্টু, আশরাফুল করিম সৌরভ, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ, সৈয়দ বছির মিয়া, জানে আলম টিটু, এসএম নাজমুল কবির খাঁন, পারভেজ চৌধুরী, ময়মুনা আমিন ঐর্শী, শাহীন আলম, সৌহার্দ্য বড়ুয়া প্রিয়, জব্বার।

    অচিরেই টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে তথ্যচিত্র ‘জীবন’ সম্প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

  • কক্সবাজার সদর ফারিয়া নির্বাচন সম্পন্ন

    কক্সবাজার সদর ফারিয়া নির্বাচন সম্পন্ন

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

    ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশন ফারিয়া কক্সবাজার সদর শাখার নির্বাচন ২২শে মার্চ ২২ইং কক্সবাজার ডায়াবেটিস হাসপাতাল চত্বরে জেলা ফারিয়া সভাপতি রফিকুল ইসলাম এর তত্বাবধানে সম্পন্ন হলো।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার মহিবুল হাসান ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন হেলাল উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন, আদর্শ বড়ূয়া,মোহাম্মদ আলী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া ১ম সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ফারিয়া নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।

    নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ম্যানেজার এসোসিয়েশন সভাপতি অরুপ বড়ুয়া, সিনিয়র সহসভাপতি বিশ্বজিৎ দাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক জনি বড়ুয়া সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আহমেদ।
    নির্বাচনে সভাপতি পদে আহসান হাবীব জীবন, সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল গফুর মিঝবাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক – রফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক – হাবীব হাসান, প্রচার সম্পাদক – কপিল উদ্দীন ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক – দিদারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

  • উখিয়ার কোটবাজার রুমখা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ৫০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ১জন গ্রেফতার

    উখিয়ার কোটবাজার রুমখা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ৫০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ১জন গ্রেফতার

    এইচ এম শাহাব উদ্দিন তাওহীদ,

    ২১ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার রুমখা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা মনি মার্কেট সংলগ্ন খালকাছা পাড়া এলাকায় কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে অবস্থান করিতেছে বলে জানতে পেরেছেন।

    উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর চৌকস আভিযানিক দল একই সোমবার ৫.৩০ ঘটিকার দিকে উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পলায়নের চেষ্টাকালে ১ গোলাম মহিউদ্দিন মামুন (৩৯), পিতা-মৃত শামসুদ্দিন, মাতা-মরিয়ম বেগম, সাং-রুমখা মনি মার্কেট, ওয়ার্ড নং ৩, ইউপি-হলদিয়াপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে ধৃত এবং অপর দুই ব্যক্তি ২, কলিমুল্লাহ (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-লম্বুরী পাড়া, ইউপি-জালিয়াপালং ২ নং ওয়ার্ড)। ৩ রায়হান (২৫), পিতা-ফজল করিম, মাতা-খুরশিদা করিম, সাং-রুমখা মনি মার্কেট, ওয়ার্ড নং-৩, ইউপি-হলদিয়াপালং, উভয় থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।

    গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে জানায় যে, সে পলাতক ব্যক্তিদের যোগসাজশে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে অবস্থান করছিলো, তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক ধৃত ব্যক্তির দেহ ও আশপাশ তল্লাশী করে তার দোকানের পিছনে মাটিতে পড়ে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাব-১৫