Author: UkhiyaVoice24

  • রংপুর মিঠাপুকুরে ভোটের ফলাফল জালিয়াতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    রংপুর মিঠাপুকুরে ভোটের ফলাফল জালিয়াতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নং ওয়ার্ডের ফলাফল নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে মানববন্ধন সমাবেশ ও নির্বাচন কমিশনের কার্য্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাররা। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কাচারী বাজার জিরো পয়েন্টে মানব্বন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিক্ষোভকারীরা।

    এসময় প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় ভোট গননাকালে ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হাছিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেন তারা।ভোট চুরি করে নির্বাচন কর্মকর্তা, দোষ কেন হয় সরকারের ? পূনরায় ভোট পুণগণনা চায় পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী ও এলাকাবাসী। গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী হিসাবে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করেন। বিগত টানা দুই মেয়াতে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সদস্য আব্দুস সালাম। দিনভর সেখানে অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। কিন্তু ভোট গণনাকালে উক্ত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রহমান অপর প্রতিদ্বন্দী মোরগ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতাকারী বাদশা মিয়ার প্রোরোচনায় ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কৌশলে বহিরাগত দুইজন লোককে সংযুক্ত করেন।
    বিষয়টি নিয়ে সকল প্রার্থী ও ভোটাররা প্রতিবাদ করলেও কারও কথা শোনেননি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হাছিবুর রহমান। এনিয়ে উপস্থিত ভোটারদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ভোট গণনা কক্ষ থেকে আব্দুস ছালামের পোলিং এজেন্ট মো নুরুল ইসলামকে বের করে দিয়ে নামাজের বিরতি দিয়ে ভোট গণনা বন্ধ রাখা হয়। ওই পর্যন্ত আব্দুস ছালামের বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকের প্রাপ্তভোট ছিলো ৮০২টি।
    পরে আবার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকের পোলিং এজেন্ট নূরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের ভেতরে নিয়ে ভোট গণনার নামে প্রহসন করে মোরগ প্রতিকের প্রার্থী বাদশা মিয়াকে ৬১৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেখানে বৈদ্যুতিক পাখার প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছে ৬০২টি, তালা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতাকারী আইয়ুব আলীকে ৪৭৭ ভোট এবং ফুটবল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতাকারী আব্দুস সামাদকে ৮৭ ভোট দেখানো হয়। বাতিল ভোট দেখানো হয় ৯৬টি। বাতিল ব্যালোট পেপারের মধ্য ৮২টিতে বৈদ্যুতিক পাখায় সিল ছিলো। ব্যালোট পেপারগুলোর সিংহভাগ কলম দ্বারা ফুটো করা ছিলো। আর কিছু ছিলো ডাবল সিল। ব্যালোট পেপারগুলো কোন এক সময় ফুটো করা বা দ্বিতীয়বার সিল মারা হয়েছে বলে সহযেই প্রতিয়মান হয়।
    কারচুপির মাধ্যমে ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঘোষিত ফলাফল এলাকাবাসী না মানায় ভোটকেন্দ্র ঘেরাও করে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ভোট পুণগননার আশ্বাস দিয়ে পিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যায়। পর দিন ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টার্নিং অফিসারের বরাবর ভোট পুণগণনার আবেদন জানিয়ে দরখাস্ত করেন আব্দুস ছালাম। কিন্তু মিঠাপুকুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকতা সোয়েব সিদ্দিকী তাকে বলেছেন, এসবের বিচার বাংলাদেশে হয় না।

    আপনি সুইজারল্যান্ডে যান। এভাবে সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পায়নি আব্দুস ছালাম ও তার ভোটাররা। পরবর্তীতে আব্দুস ছালাম ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবার আবেদন করেন।
    কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভোটারদের রায় চুরি করে তৃতীয় অবস্থানে থাকা একজনকে বিজয়ী করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়, ভোট প্রদান চলাকালে আগেই সকল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে ফলাফল সীটে স্বাক্ষর নেয়া হয়। যার স্বীকারোক্তি সেদিন পোলিং এজেন্ট হিসাবে দায়িত্বপালনকারী সকলেই দিয়েছেন। যা ভোট গণনা শেষে নেয়ার নিয়ম। মোরগ প্রতিকের প্রার্থী বাদশা মিয়ার পোলিং এজেন্টসহ সকলের স্বীকারোক্তির ভিডিও/অডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
    আমরা সকলেই অবগত আছি, ভোটের কয়েক দিন আগে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের ঘুষ গ্রহণের একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে দূর্নীতিবাজ নির্বাচন কর্মকর্তা হান্নান সাড়ে ৪ লাখ টাকায় একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। এজন্য তাকে আগেই ৩শ ব্যালোট পেপার সরবরাহ করারও প্রতিশ্রুতি দেন আব্দুল হান্নান।
    আমরা অন্যায় বা বেআইনি কোন দাবি উত্থাপন করছি না। ২০০৯ ইউনিয়ন পরিষদ আইনে ৫৩ থেকে ৬৮ ধারায় ভোট পুণগণনার বিধান আছে। তারপরও কেন আমাদের আবেদন নিবেদন শোনা হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। এমতাবস্থায় আগামী ৩ দিনের মধ্য ভোট পুণগণনার ব্যাবস্থা করা না হলে পায়রাবন্দের সকল জনগণ কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

    কোন অবস্থায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহায্য-সহযোগীতায় রায় পরিবর্তনের এই জঘন্যতম অপরাধ মেনে নেবে না সাধারণ ভোটাররা।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ারবিল রাস্তা পরিদর্শনে আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ারবিল রাস্তা পরিদর্শনে আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ারবিল রাস্তা পরিদর্শনে আসেন আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি।

    ১০ মার্চ ২০২২ ইং, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় কাশিয়ারবিল হিন্দুপাড়া গ্রামীণ সড়কের কার্পেটিং রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন উখিয়া টেকনাফের উন্নয়নের রুপকার প্রিয়নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি মহোদয়।

    রাজাপালং কাশিয়ারবিল হিন্দুপাড়ায় কার্পেডিং রাস্তা পরিদর্শন শেষে এলাকার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় মহলের দাবীতে, তাদের মন্দির উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ও এক হিন্দু অসহায় মহিলার স্বামীর চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের সাথে নানা বিষয়াদি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন, এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি বলেন বিগত ত্রিশ বছর যাবৎ রাজাপালং ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে যা উন্নয়ন হয়নি তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে হয়েছে। আরো বলেন আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাস্ট্রপ্রধান হলে এলাকার বাকি অসম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পন্ন করা হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আবছার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তহিদুল আলম তহিদ প্রমুখ।

  • উখিয়ায় বার্ষিক বনভোজন ও ইসলামিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত

    উখিয়ায় বার্ষিক বনভোজন ও ইসলামিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত

    নুরুল ইসলাম বিজয়ঃ- উখিয়া,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বাসীর উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন ও ইসলামিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ৯ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকার দিকে উখিয়া হাজীর পাড়া এলাকায় উখিয়া এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা খাইরুল আলমের সভাপতিত্বে ৬নং ওয়ার্ড বাসীর উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন ও ইসলামিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী হাজীরপাড়া সীরাত কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীরপাড়া সীরাত কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, হাজীরপাড়া সীরাত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমুদুল্লাহ,
    কোটবাজার ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মনজুর আলম।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উখিয়া হাজীর পাড়া সীরাত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ সওদাগর, সাবেক ইউপি সিরাজুল ইসলাম, আলী আহমেদ, ছৈয়দ হোসাইন, নুর হোসেন, হেলাল উদ্দিন ও মিডিয়া কর্মী সহ বিভিন্ন আলেম, ছাত্র, স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকল সদস্যদের খাবার বিতরণ করা হয়।

    কক্সবাজার মা’হাদ আন নিবরাস, কক্সবাজার এর মেধাবী ছত্র হাফেজ মুশফিকুর রহিম নিবরাসি ,
    দারুল আমান একাডেমি, কক্সবাজার এর মেধাবী ছাত্র ক্বারী আইয়ুব বিন ছৈয়দ, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কলরবের শিশু শিল্পী আব্দুল্লাহ মুশতাক,
    অনির্বাণ সংগীত শিল্পীর পরিচালক শাহনেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের সহ অনেক শিল্পীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের মধুময় বাণীতে হাজীরপাড়ার আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবু বক্কর ছিদ্দিক।

  • ভারতে আটক বাঁশখালীর ৩২ জন জেলে পরিবারে প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা প্রদান

    ভারতে আটক বাঁশখালীর ৩২ জন জেলে পরিবারে প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা প্রদান

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের ৩২ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়লে ‘এফভি সোনার মদিনা-২’ ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়েছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী তারা ভারতের কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হয়েছেন বলে নিশ্চিৎ করেন বোট মালিকপক্ষ। আটককৃত জেলেদের উদ্ধারে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলেও দীর্ঘ ২৫ দিন অতিবাহীত হলেও ফেরত আনতে সক্ষম হয়নি।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিলকূপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় মাঠে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটককৃত বাঁশখালীর শীলক‚প ইউনিয়নের ৩২ জন জেলে পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ রহিম উল্লাহ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ছাত্রনেতা মিজান সিকদার প্রম‚খ।

    এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, আটককৃত জেলেদের মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করা যাচ্ছে আটককৃত জেলেরা অচিরেই মুক্তি পাবেন এবং নিরাপদে দেশে ফেরত আসবেন।l

  • বিরামপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক জনসচেতনতামুলক মহড়া অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক জনসচেতনতামুলক মহড়া অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    মুজিব বর্ষের সফলতা দুর্যোগ প্রস্তিতিতে গতিশীলতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের বিরামপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক জনসচেতনতামুলক মহড়া এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় বিরামপুর উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুৃষ্ঠানে
    একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাওছার আলী, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা জামিল উদ্দীন মন্ডল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম, বিরামপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আকরাম হোসেন,বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ (ভার:) সোহরাব হোসেন,বিরামপুর উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক হাফিজ উদ্দিন সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

    বিরামপুর উপজেলা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের উপস্থিতিতে অগ্নি নির্বাপন ও দূর্যোগ প্রতিরোধী জনসচেতনতামুলক
    মহড়া প্রদর্শন করা হয়।

  • বিরামপুরে যমুনা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট শুভ উদ্বোধন

    বিরামপুরে যমুনা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট শুভ উদ্বোধন

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের অন্যতম প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র বিরামপুর উপজেলা শহরের ঝর্না সুপার মার্কেটে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) যমুনা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে যমুনা ব্যাংকের পাঁচবিবি শাখা ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল বরকত, ফার্স্ট অফিসার আল মাসুদ, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, বিরামপুর এজেন্ট এস,এম রফিকুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ।

  • ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ওমর ফারুক,

    প্রিয়,
    খুব অবাক লাগছে না? ইন্টারনেটের যুগে চিঠি লিখতে বসেছি। সত্যি বলতে কি জানো, এমন অনেক কথা থাকে যেগুলো মেসেজে কিংবা ফোনে বলা যায় না। যদিও মানুষটা ফোনের অপরপাশে থাকে, তাকে দেখা যায় না তবুও অনেক সংকোচ লাগে। আবার সেই কথাগুলোই অনাসয়ে বলা যায় চিঠিতে। তার থেকেও বড় কথা চিঠির পাতায় সেই মানুষটার গন্ধ, ছোঁয়া লেগে থাকে। শুনেছি চিঠির গন্ধ আর প্রিয় মানুষটার ছোঁয়া ভালবাসা বাড়িয়ে দেয়।

    যাই হোক, তোমাকে আজ একটা গল্প শোনাই। পূর্ণিমার রাত সেদিন ছিলনা। কিন্তু ছিল আকাশ ভরা তারা। সেদিন আকাশ যেন আর তারাদের জায়গা দিতে পারছে না। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, একটি তারা আর একটি তারার সাথে লেপ্টে আছে। হ্যাঁ, আকাশ সেদিন সব তারাকে জায়গা দিতে পারেনি। একটি তারা খসে পরেছিল পৃথিবীর বুকে। আর সেই তারাটা থেকেই আমার জন্ম। নিতান্তই অবহেলায় ঈশ্বর আমাকে সৃষ্টি করেছেন। শুধু অবহেলিতদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই আমার জন্ম।

    আমি খুব সুন্দর করে লিখতে পারিনা।মিলিয়ে মিলিয়ে দুরূহ ছন্দও লিখতে পারি না।খুব সাধারণ মেয়ে আমি।আমি বোধ হয় পুকুরপাড়ে ভেসে যাওয়া কলমিশাক কিংবা নদীতে ভেসে যাওয়া কচুরিপানা। সকালে ভোরের শিশির ঘাসের উপর যে সৌন্দর্য রাখে আমার তাও নেই।আমার সম্বল কেবল আমার দুঃখ। আর আমার দুঃখের সবচেয়ে বড় অধ্যায় তুমি।আমার এ সম্বলহীন, শিকড়হীন জীবনে তোমাকে পেয়েছি,আর এই তোমাকে নিয়েই হাজার বছর বাঁচার আকুতি আমার।

    এবার বলি,তোমাকে কেন দুঃখ বললাম……

    যে তারাটি আকাশ থেকে খসে পরেছিল।সেই তারাটি আমাকে জন্ম দিল ঠিকিই কিন্তু ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়।সে পৃথিবী ত্যাগ করল আর আমাকে দিয়ে গেল এক পৃথিবী দুঃখ।তাই আমি জানি,আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত যদি কিছুই না থাকে তবুও শুধু দুঃখই থাকবে।তাই তো আমার দেওয়া তোমার নাম দুঃখ। তোমাকে সুখ হিসাবে না পেলেও দুঃখ হয়েই আজন্ম তোমাকে চাই।

    জানো আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী ছিলাম না।কিন্তু এখন কারণে-অকারণে ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।এই যে,আমার জীবনে এলে,আমার সারাটা দিনের ভাবনা হলে,আমার দু-চোখের স্বপ্ন হলে,আমার ভবিষ্যৎ হলে— এটাকে আমি ভাগ্য হিসাবে নিয়েছি।আমি গত জন্মের বিশ্বাসীও নই।কিন্তু গত জন্মের কোন এক পূর্ণতার ফলে তোমাকে যে পেয়েছি সেটা অস্বীকার করার উপায়ও আমার নাই।

    কিছু দিন আগেও তোমাকে চিনতাম না।তোমার প্রতি অধিকার বোধ ও ছিল না।তখন আমার বদ্ধ জীবন।আর আমার বদ্ধ জীবনে তুমি এলে আলোর ঝিলিক হয়ে।গভীর জলে ডুব দিয়ে থাকতে আমি তখন অনেকটা অভ্যস্থ।আমার বাধ্য জীবনে অবাধ্য হয়ে এলে তুমি।আর আমার নিরুপায় জীবনের মুক্তির অন্বেষণে দীর্ঘশ্বাসের শূন্যস্থান পূরণ করে সর্তক প্রহরীর দায়িত্ব নিলে তুমি।

    এরপর তোমাকে ভালবাসা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।তোমার ভালোবাসার পাগলামী,আমার প্রতি তোমার প্রেম, আমাকে অস্থির করে তুলতো।সেদিন তোমাকে ভালবাসি না বল্লে হয়ত দম আটকে আমি মরেই যেতাম।

    তুমি আমাকে উড়তে শিখেছো।বাতাসে যে গন্ধ আছে,মুক্ত গন্ধ…….আমি তাও জানতাম না,তুমি পরিচয় করে দিয়েছিলে।নীল খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দু’হাত উজার করে বুক ভরে শ্বাস নিতে তুমি শিখিয়েছিলে।নদীর তীরে কাশবনের পাশে হাতে হাত ধরে হেঁটে চলা কিংবা মাঝনদীতে পাল তোলা নৌকায় তোমার কোলে মাথা রেখে আকাশকে দেখে আকাশকে ছোঁয়ার স্বপ্ন তুমিই দেখিয়েছিলে।তখন আমার চোখ দু’টোকে পাখির চোখ মনে হয়েছিল।যেন আমি দেখেছি,পাখির চোখে বিশ্ব।

    আমরা একে অপরকে ভালোবেসেছি ঠিকই কিন্তু এই সমাজ আমাদের কতটা মেনে নিবে, আদৌও মেনে নিবে কিনা আমরা সেটা ভুলেই গেছি।আমরা সমাজের মানুষ। আমাদেরকেই নিয়ে নাকি সমাজ।আবার ভালোবাসলেই আমরাই সমাজে বয়কট।

    আচ্ছা ভালোবাসা কি জাত-ধর্ম বিবেচনা করে হয়?ভালোবাসা কি সেজেগুজে, পরিপাটিরূপে আসে?নাকি নোটিশ দিয়ে আসে?আমার ভালোবাসা ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র পিটিয়ে আসেনি তো…আমার ভালোবাসা হয়ে গিয়িছিল।তোমার দৈহিক সৌন্দর্য আমাকে টানেনি এটা যেমন সত্য তেমনি এটাই সত্য তোমার সুন্দর মন-ই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

    কিন্তু সমাজের নির্মম নিয়ম,আমাদেরকে স্বীকৃতি দেয়নি তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে,ভালোবেসে আমরা কতটা অসহায়।

    গত পরশু,দিনের প্রথম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারলাম সকাল দশটায় আমাকে দূরে পাঠানো হচ্ছে, তোমার থেকে দূরে-বহুদূরে।একদম বিনা নোটিশে এ যাত্রা আমার।তোমাকে শেষবার দেখতে চেয়েছি,তারজন্য আমার হাতে থাকে সময়ের একটা মিনিটও আমি চেষ্টার ত্রুটি করিনি।তোমার সেল নম্বরটি বন্ধ ছিল।চার দেওয়ালে আটকে থেকে যতটুকু চেষ্টা করা যায়,বিশ্বাস কর তার এতটুকু কমতি রাখিনি আমি।

    কিন্তু ঈশ্বর জিতিয়ে দিলেন-এ সমাজ, এ সমাজের ধর্ম,দাম্ভিকতাকে।আজ পথের দূরত্ব অনেকটা কিন্তু আমার অনুভবে আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছে তোমার অবস্থান।

    সব খারাপের মাঝে এটাই ভালো হয়েছে-তোমাকে না পাওয়াটাই হয়ত ভালো হয়েছে।শুনেছি ভালোবাসার পর ভালোবাসাকে পেলে নাকি ভালোবাসা কমে যায়।আর না পেলে কাছের মানুষটা নাকি বহুগুন বেশি ভালোবাসে।সেদিক থেকে খারাপ কি বল…………..

    আমার জীবনের সুখের সীমা-পরিসীমা তুমি জানো।তাই জন্যেই তোমার নাম দিয়েছিলাম দুঃখ। ভালোবাসার সংজ্ঞা না জেনেই, দুইবার না ভেবেই তোমাকে ভালোবাসা, এতটা আপন করে নেওয়া আমার কাছে অহেতুক নয়।বলেছিলাম গতজন্মের অবিশ্বাসী নই।গতজন্মের পূর্ণতায় এজন্মে তোমায় ক্ষণিকের জন্য পেয়ে আমি লোভী হয়ে গেছি।তোমার প্রতি আমার ভীষণ লোভ।তাই পরের জন্মে এ জন্মের দূরত্বের প্রাচীর টপকাতেই ঈশ্বরের কাছে দরখাস্ত লিখতে একটু আগেই চলে যাচ্ছি। পরের জন্মে একই ধর্মে,একই গোত্রে,সু-সমাজ ব্যবস্থায় ঈশ্বর যেন আমাদের পাঠান। দরখাস্ত মঞ্জুর হলে আবার আমরা ফিরে আসবো।

    আমি সমাজের কাছে হেরে গেলাম তবে ভালোবাসার কাছে নিশ্চয়ই নয়।

    আজ আর নয়, জানিনা চিঠিটা পাবে কিনা। পেলে আকাশে একটা পাখি উড়িয়ে দিও। সেই পাখির চোখেই আমি তোমাকে দেখব।

    ভালো থেকো…এই সমাজে…

    ইতি,

    তোমার আমি

    লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী,
    ওমর ফারুক
    কক্সবাজার (উখিয়া)

  • বিরামপুরে হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে ওসির মতবিনিময়

    বিরামপুরে হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে ওসির মতবিনিময়

    এস এম মাসুদ রানাঃবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে হিজরা সম্প্রদায়ের হাত থেকে জনসাধারণের হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে আলোচনা সভা করেছে ওসি সুমন কুমার মহন্ত।

    উল্লেখ্যে যে, উপজেলার বিভিন্ন মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, গ্রামগঞ্জের বাসাবাড়িতে সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেয়ে জোরপূর্বক অধিক পরিমাণে টাকা আদায়সহ দীর্ঘদিন ধরে পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কৌশল হিসাবে হয়রানী করে আসছে হিজরা সম্প্রদায়।অনেক ক্ষেত্রে এই সব হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় নিজেরা নানা অঙ্গভঙ্গিসহ নিজেদের পরিধানের কাপড় চোপর খুলে পথচারী, যাত্রী ও বাসাবাড়িতে মারাত্বকভাবে অপমান অপদস্থ করে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

    পথচারী, যাত্রী ও ভুক্তভোগীদের মতে, হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে বেশি টাকা দাবি করে। সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেলে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে পুরুষদের সামানে মা, বোন, স্ত্রী-কন্যা কিংবা ছেলে থাকলে এই চক্রটি তাদেরকে বেশি অপদস্থ করে। তাদের মতে, পুরুষরা উপায়ান্তর না পেয়ে সম্মান বাচাতে হিজরাদের চাহিদা পুরণে বাধ্য হন।

    আলোচনা সভায় হিজরা নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, আমাদের কর্মের কোন সন্ধান নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তর আমাদেরকে নানাভাবে আশ্বাস দেই। তবে আজো কোন আশ্বাস পুরণ হয়নি। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে আর জোর জবরদস্তি চাঁদা তুলবে না এবং জন বিরক্তিকর কাজ করবে না বলে জানায়।

    থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, হিজরাদের অত্যাচার, হয়রানী, অপদস্থের বিষয়টি নানাভাবে জেনে বুধবার রাতে হিজরাদের সাথে থানায় আলোচনা সভা করা হয়েছে। এ সময় হিজরাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে হয়রানী এবং তাদেরকে অপদস্থ করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তোমরা বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে মানুষদেরকে এভাবে হয়রানী করবে না। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তোমাদের জন্য একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • বাঁশখালীতে কিশোর গ্যাং দ্বারা খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে

    বাঁশখালীতে কিশোর গ্যাং দ্বারা খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে অবস্থিত খাদিজাতুল কুবরা(রাখা.) মহিলা মাদ্রাসায়,স্থানিও জনপ্রতিনিধির মদদে আহমদ কবিরের পুত্র জাহাঙ্গীর(৩৫) এর নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে এলাকার বকাটে কিশোর গ্যাং কতৃক প্রতিনিয়ত মাদ্রাসায় হামলা চালায় বলে জানা যায়।

    এবিষয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন আমাদেরকে পড়ালেখা না করে বাসায় চলে যেতে বলে জহাংঙ্গীর এবং আমরা ঘুমালে তারা ৫/৭জন ছেলে পেলে এসে ইট,এবং লাঠিসোটা দিয়ে বারী মারে তারা জুরেসুরে চিল্লাই যাতে আমরা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতে না পারি।গতকাল পুলিশ এসে বলে যাওয়ার পর আবারও একই অবস্থা বিরাজমান রয়েছে বলে জানান ছাত্রীরা তারা।

    বলেন আমরা সুন্দরভাবে আমাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সাংবাদিক,পুলিশ,এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির আই সি আবু জাফর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং সকলের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছি পড়ালেখায় ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য, তারপর ও যদি করে থাকে আমরা আনগত ব্যবস্থা নিব।

  • বাঁশখালীতে এবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে ইউএনও’র গাড়ী

    বাঁশখালীতে এবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে ইউএনও’র গাড়ী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইদুজ্জামান চৌধুরী পুকুরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একটি সড়কের কাজ দেখে সদরে ফেরার পথে,
    আজ ০৯ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় পুকুরিয়ার ঝিঝি ফকির মাজার এলাকায় গাড়িসহ দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন । তবে তিনি অক্ষত আছেন। গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    জানা যায়, ইটবাহী একটি ড্রাম ট্রাক প্রথমে সিএনজি অটোরিকশাকে পরে ইউএনও’র গাড়িটিতে আঘাত করে। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। গাড়ির চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশার ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীতে ঘনঘন সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক , পরিবহন নৈরাজ্য, অদক্ষ ও বেপরোয়া চালকদের দৌরাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাঁশখালীর মানুষ প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। তারা এর প্রতিকারে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে।