Author: UkhiyaVoice24

  • মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে অবশ্যই জ্ঞান চর্চা করতে হবেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে অবশ্যই জ্ঞান চর্চা করতে হবেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ, লিখতে, বলতে জ্ঞান চর্চা করতে হবে।

    আজ ২১ ফেব্রুয়ারি”২০২২ইং সোমবার বিকেলের দিকে বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: আব্দুর রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো: ইসলাম বেবী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক উজ্জল কান্তি দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমুখ।

    এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরাও শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলায় স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলা ভাষাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃভাষার শিক্ষার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫টি সম্প্রদায়ের ভাষার বই ছাপিয়ে দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভাষার বই ছাপিয়ে দেওয়া হবে। নিজের মাতৃভাষাকে ধারণ করতে হবে, মনে রাখতে হবে। নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষারও চর্চা করতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মাতৃভাষা।

    মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। ভাষা রক্ষায় সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। আমাদের সঠিক ইতিহাস পড়তে হবে, জানতে হবে এবং বলতে হবে। মায়ের ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে। শুদ্ধ উচ্চারণ জানতে হবে।

    এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনে। ভাঙা ও তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে আজ মধ্যবিত্তের দেশ বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বন্দুক দিয়ে নয়, আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়। পাহাড়ে কেউ শান্তিতে ও নিরাপত্তায় ছিলনা।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই যুগের বেশি সময় ধরে বয়ে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাধান করেছেন বৈঠকের মাধ্যমে। বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা বান্দরবানের থানচির মত পশ্চাৎপদ এলাকা আজ উন্নয়নের মূলধারায় সংযুক্ত হয়েছে। উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা। ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা চেয়ে যোগ্য কোন নেতা নাই’।

    রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং সকাল ১১টায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে এইসব কথা বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বেলা সাড়ে ১১ থেকে হারাগাজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। পার্বত্য মন্ত্রীর আগমনে লামা ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা হতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মতবিনিময় সভায়।

    বীর বাহাদুর বলেন, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৩৫ বছর যাবৎ বিএনপির চেয়ারম্যান ছিল। তাই এই ইউনিয়নে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। এমপি একা নয় চেয়ারম্যানরাও কাজ করতে হবে। সবাইকে একসাথে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। চেয়ারম্যান মেম্বাররা কাজ করলে অভিনন্দন না করলে সালাম। যারা উন্নয়ন করে জনগণ তাদের পক্ষে। বর্তমানে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজ চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে। সামান্য একটি ভবনে হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয় চলবেনা। আমি স্কুলটি পুর্নাঙ্গ ভবন করে দিব। আওয়ামী লীগের মত কোন রাজনীতি দল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবেনি।

    আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তফাৎ আমরা উন্নয়ন করি, তারা করেনা। এই ইউনিয়নের এলজিইডি’র তত্ত¡াবধানে আরো ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা উন্নয়ন কাঝ চলমান। শীঘ্রই ৪টি সড়কের কাজ শুরু হবে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে ১০৯ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা কাজ শুরু হবে। উন্নয়ন করতে না পারলে বীর বাহাদুর আর এই এলাকায় আসবেনা। আমরা সবাই মিলে বান্দরবানকে ৬৪ জেলার মধ্যেএক নম্বর জেলা করবো।

    তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের এখন ১৪টি কলেজ রয়েছে। বান্দরবানে প্রতিটি করে বিদ্যুৎ যাবে। যেখানে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব না সেখানে সোলার দেয়া হবে। আপনারা (বিএনপি) কি করেছেন মানুষ খুন করেছেন, শেখ হাসিনাকেও অসংখ্যবার খুন করতে চেয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে খাদ্য, বিদ্যুৎতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। আমরা উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ধানের জমি থাকলে সেচ ড্রেন, ধানের মেশিন, পাওয়ার টিলার ও কৃষি সরঞ্জাম দেয়া হবে। প্রতিটি মানুষকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। সবাইকে পরিশ্রমী হয়ে কাজ করতে হবে।

    শিক্ষকদের উপর আমাদের দেশের ভবিষ্যত। আপনারা যতœবান না হলে আমাদের জাতি অন্ধকারে। এলাকায় কোন ভূমিদস্যুতা মেনে নিবনা। কাউকে ছাড় দিবনা। আওয়ামী লীগ নেতারা ভূমিদস্যুর পক্ষে কথা বলবেন না, তাহলে ছাড় দেয়া হবেনা। থানা গুলোতে কোন দালাল থাকবেনা। ইউএনও ওসিকে ক্ষমতাধররা প্রবাহিত করবেন না। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন। সবাই টিকা নিবেন।

    মতবিনিময় সভায় ও উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, এলজিইডি বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, ছাচিংপ্রæ মার্মা, মোঃ জসিম উদ্দিন সহ আরও অনেকেই।

  • উখিয়ায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন,ও দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়ায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন,ও দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়া প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার,পক্ষ থেকে, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু দোয়া মাহফিল।

    মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২২ পালন কমিটির আহ্বায়ক তারেক হাসানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ সাদেক। সভার সভাপতি তারেখ হোচাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাঙালি জাতিসত্তার অনুপ্রেরণা ১৯৫২-এর একুশ ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ- সবকিছুই একুশের অনুপ্রেরণায় পাওয়া। আমাদের এই শক্তিকে ভুলে গেলে চলবে না। একুশের চেতনা আমাদের চলার পথের পাথেয়। নতুন প্রজন্মকেই এই চেতনা বুকের মাঝে লালন ও পালন করতে হবে’। তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
    আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফারুক (যুগ্ন আহবায়ক) মোঃ জালাল উদ্দিন ( যুগ্ন সদস্য সচিব)
    মনজুর আলম( যুগ্ম সদস্য সচিব)মোঃ নুরুল আমিন মো আব্দুল গফুর লোমান শফিকুল ইসলাম মহান ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ও মুনাজাত দোয়া পরিচালিত হয়।

  • বিরামপুর থানা পুলিশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ

    বিরামপুর থানা পুলিশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    অমর ২১ শে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিরামপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি পুষ্প মাল্য ও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে৷ একুশের প্রথম প্রহরে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, এ কে এম ওহিদুন্নবী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল ও সুমন কুমার মহন্ত অফিসার্স ইনচার্জ ৷এসময় থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন |

  • ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ইসলামে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশপ্রেম যেমন ঈমানের অংশ। ঠিক তেমনই মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকাও ঈমানের অপরিহার্য বিষয়। মহাজগতে যা কিছু আছে তা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কুদরত। তেমনি ভাষাও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম সব ভাষাকে সম্মান করতে শেখায়।

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন: ‘আর আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই ওহিসহ পাঠিয়েছি যাতে করে সে স্পষ্টভাবে আমার কথা তাদের বুঝিয়ে দিতে পারে।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪) হাদিসে উল্লেখ রয়েছে হজরত আবু যর (রা.) থকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক নবিকে তার স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)। হজরত মূসা (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি তাই সে ভাষায় তাওরাত কিতাব নাজিল করা হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইউনানি তাই যাবুর সে ভাষায় নাজিল করা হয়েছে।

    হজরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের ভাষা ছিল সুরিয়ানি তাই এ ভাষায় ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করা হয়েছে। বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর উম্মতের মাতৃভাষা ছিল আরবি তাই কোরআন তার মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল করা হয়েছে। ইসলাম মাতৃভাষা নিয়ে গর্ব অবৈধ মনে করে না। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের ভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত। তোমাদের চাইতেও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুফলিত। (ইবনুল ‘আরাবী, আল-মু’জাম, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ৩৫৫, হাদিস নম্বর-২৩৪৫)। আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি শহীদদের অবদান এবং মহানবীর (সা.) মাতৃভাষা প্রীতির অজস্র দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে।

    তাই ভাষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সচতেন হতে হবে আর নিজ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

  • আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গুনে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়।

    রূপে লাবন্যে মাধুরী ও শ্রীতে হুরী পরী লাজ পায়।।

    নর নহে, নারী ইসলাম পরে প্রথম আনে ঈমান,

    আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব-প্রথম মুসলমান,

    পুরুষের সব গৌরবস্নান এক এই মহিমায়।।

    নবী নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী নারীদের রাণী,

    যাঁর ত্যাগ সেবা স্নেহ ছিল মরূভুমে কওসর পানি,

    যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।

    রহিমার মত মহিমা কাহার, তাঁর সম সতী কেবা,

    নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি সেবা

    মোদের খাওয়ালা জগতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।

    রাজ্য শাসনের রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়,

    শৌর্যে সাহসে চাঁদ সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়।

    জেবুন্নেসার তুলনায় কোথায় জ্ঞানের তাপস্যার।।

    বারো বছরের বালিকা লায়লা ওহাবীব দলপতি

    মোদের সাকিনা জাহানারা যেন ধৈর্য মূর্তিমতী,

    সে গৌরবের গোর হয়ে গেছে আঁধারের বোরকায়।।

    আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে,

    সেই দিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে

    লক্ষ খালিদা আসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।

  • বিরামপুরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত

    বিরামপুরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে মহান একুশে ফের্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা

    বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় এ উপলক্ষে চিত্রাংকন
    প্রতিযোগিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা ও পুরস্কার
    বিতরণী করাহয়। ইউনও পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য
    রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী,
    সহকারী পুলিশ সুপার এস এম অহিদুন নবী ও বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি
    আকরাম হোসেন।

  • বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গতকাল সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুৃষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    বিরামপুর পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় ও
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এর সঞ্চলনায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু ও পৌর মেয়র আককাস আলী, বিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বিরামপুর সার্কেল একেএম ওহিদুন্নবী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, সহকারী কমিশনার ভূমি মুহসিয়া তাবাসসুম, থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনতিয়াজ আহমেদ কামাল প্রমুখ।

    এসময় যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা জামিলুন ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন স্কুলের প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী শেষে অতিথিবৃন্দদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী অমর একুশে বই মেলার ৩০টি স্টলে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের গৃহ নির্মানের জায়গা পরিদর্শন করেন ইউএনও

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের গৃহ নির্মানের জায়গা পরিদর্শন করেন ইউএনও

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্ধারিত জায়গার পাশাপাশি হচ্ছে মুজিববর্ষের ঘর।
    পরিদর্শন শেষে চুড়ান্ত পর্যায়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি মো: তাজ উদ্দিন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার বিকাল ৩ টায় কক্সবজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী টিএন্ডটি লম্বাঘোনা গ্রামে মুজিববর্ষের গৃহ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করতে আসেন। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ি কন্ট্রাকটর মুফিজ উদ্দিন ও ইঞ্জিনিয়ার সহ ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন …..

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করে ইউনএনও মহোদয় বলেন, দেশের একজন মানুষও মুজিববর্ষে গৃহহীন থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাপালং ইউনিয়নের মুজিববর্ষ গৃহ নির্মানের জন্য এ জায়গাটি পরিদর্শনে এসে দেখতে পাই ঘরের জন্য এই জায়গাটি খুবেই সুন্দর হবে। আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ আবেগের জায়গা হলো আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো। ঘরের কাজের
    গুণগতমান ও টেকসইয়ের জন্য গুরুত্ব দিতে কাজে নিয়োজিতদের নির্দেশনা দেন তিনি।

    এবং ঘরের কাজে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য সবসময় কাজগুলো তদারকি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে জানান।

  • রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    আজ থেকে ৭০ বছর আগে মাতৃভাষার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙ্গালী জাতির সূর্যসন্তানেরা অঙ্গীকারে জীবন উৎসর্গঃ করেছিলেন।এদেশের দামাল ছেলেরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসের পথ ধরে আজ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।অপমানে সারাদেশ জ্বলে উঠেছিলো সেদিন।বর্নমালা সেইদিন থেকে শুরু সেইসাথে শুরু হয়েছে দিন বদলের পালা।

    বাংলাদেশের মানুষ প্রথম ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মাতৃভাষার রক্ষার আন্দোলনে।১৯৫২ সালের ঐক্যের ভিত্তিমূল ছিল অধিকার রক্ষা। ঐ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে আত্মত্যাগের নজির সৃষ্টি করেছিলো বাংলাদেশ।মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল নামে ছাত্র জনতার।সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন সালাম জব্বার, রফিক,বরকত, শফিউল্লাসহ বীর সন্তানেরা।এ অমর বীরত্বগাধা শুধু এ ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভায়ায় অভিবিক্ত।তাইতো এই গৌরবময় ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের অহংকার। একুশের আত্মত্যাগের মাধ্যমে উম্মেষ ঘটে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের।সেই জাতীয়তাবাদী চেতনার পথ ধরে ১৯৭১ সালের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।সারাদেশের ন্যায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।২১/০২/ ২১ ইং সকালে শ্রদ্ধা জানায় বাংলেদশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা ও মহানগর,মানবতায় মানুষ রংপুর,রংপুর মেট্রোপলিট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রংপুর জেলা, রংপুর পদাতিক নাট্য সংসদ,রংপুর রিপোটার্স ইউনিটি,রংপুর সিটি প্রেসক্লাব,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর,লায়ন্স ক্লাব রংপুর মহানগর।