Author: UkhiyaVoice24

  • বিরামপুর প্রেসক্লাবের ব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে. এমপি শিবলী সাদিক

    বিরামপুর প্রেসক্লাবের ব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে. এমপি শিবলী সাদিক

    বিরামপুর প্রতিনিধি,

    বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গতকাল দুপুরে বিরামপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এই অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।

    এ উপলক্ষ্যে বিরামপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের বিদায়ী সভাপতি অধ্যক্ষ ডক্টর নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আজকের পত্রিকা বিরামপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হক মানিক এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি)। বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার,উপজেলা ভাইস মেসবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু,থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সুমন কুমার মহন্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামল কুমার রায়, বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেসবাউল হক, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি আকরাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান প্রমূখ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যগণের শপথ বাক্য পাঠ শেষ শেষে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও অতিথিবৃন্দসহ প্রেসক্লাবের নতুন ভবন নির্মানের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

  • উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বদলে যাচ্ছে অবহেলিত গ্রমীণ জনপদ!

    উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বদলে যাচ্ছে অবহেলিত গ্রমীণ জনপদ!

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের খালকাঁচা পাড়া, হারাশিয়া,দোছরী খালের উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

    অদ্য ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের খালকাঁচা পাড়া, হারাশিয়া,দোছরী খালের উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পরিদর্শক মন্ডলিরা। পরে উখিয়া উপজেলা কোয়াটার হতে বটতলি সড়কের চলামান কাজের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। সাথে ছিলেন উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা কাজী আকতার উদ্দিন টুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজামিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলতান আহমেদ ,বিশিষ্ট টিকাদার মুফিজ উদ্দিন সহ অসংখ্য স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর থেকে এই অবহেলিত জনপদের মানুষদের উন্নয়ন বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলো,
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
    ভিশন গ্রামকে শহর করা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় উখিয়ার গণমানুষের প্রিয়নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর আন্তরিকতা ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে রাজাপালং ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামীণ জনপদ।

  • বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে সৈয়দপুরের ফাইজুল

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে সৈয়দপুরের ফাইজুল

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- নিজস্ব প্রতিবেদক,

    সৈয়দপুরের ছেলে ফাইজুল ইসলাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটির উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন।গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    ফাইজুল ইসলাম সৈয়দপুরের ওয়াপদায় ১ নং ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।নীলফামারী জেলার বাংলাদেশ রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্যবসায়ী রুহুল আমীন কোরানী এর এই সন্তান ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। এছাড়াও সে উল্লাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সহ অসংখ্য সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ।

    ফাইজুল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি-ইন-ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।সদ্য নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে ফাইজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা। তিনি বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তিনি বাঙালির প্রাণের স্পন্দন ।বঙ্গবন্ধু সবসময়ই আমদের অন্তরের অন্তঃস্থলে আছেন ।বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । পিতা মুজিবের মতো দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই ।

    ফাইজুল ইসলামের পিতা রুহুল আমীন কোরানী জানায়, সে তার পরিশ্রম এবং মেধার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই সাথে তাকে অভিনন্দন জানাই। তার জীবনের সুন্দর সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করি।

    উল্লেখ্য, ফাইজুল স্কুল জীবন থেকেই পিতা মুজিবের আদর্শে এগিয়ে চলেছে ।ছোটথেকেই মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।করোনা কালীন অসংখ্য মানুষের ত্রান সামগ্রী পৌছে দিতে গিয়ে সেও নিজেও অনেকবার অসুস্হ হয়েছিল ।গত ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

  • বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে সৈয়দপুরের ফাইজুল

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে সৈয়দপুরের ফাইজুল

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- নিজস্ব প্রতিবেদক,

    সৈয়দপুরের ছেলে ফাইজুল ইসলাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটির উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন।গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    ফাইজুল ইসলাম সৈয়দপুরের ওয়াপদায় ১ নং ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।নীলফামারী জেলার বাংলাদেশ রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্যবসায়ী রুহুল আমীন কোরানী এর এই সন্তান ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। এছাড়াও সে উল্লাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সহ অসংখ্য সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ।

    ফাইজুল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি-ইন-ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।সদ্য নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে ফাইজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা। তিনি বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তিনি বাঙালির প্রাণের স্পন্দন ।বঙ্গবন্ধু সবসময়ই আমদের অন্তরের অন্তঃস্থলে আছেন ।বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । পিতা মুজিবের মতো দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই ।

    ফাইজুল ইসলামের পিতা রুহুল আমীন কোরানী জানায়, সে তার পরিশ্রম এবং মেধার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই সাথে তাকে অভিনন্দন জানাই। তার জীবনের সুন্দর সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করি।

    উল্লেখ্য, ফাইজুল স্কুল জীবন থেকেই পিতা মুজিবের আদর্শে এগিয়ে চলেছে ।ছোটথেকেই মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।করোনা কালীন অসংখ্য মানুষের ত্রান সামগ্রী পৌছে দিতে গিয়ে সেও নিজেও অনেকবার অসুস্হ হয়েছিল ।গত ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

  • বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২২ ইং অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২২ ইং অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় এবং বিরামপুরউপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরেনারী হাসপাতালের আয়োজনে

    বুধবার (১৬ ফেব্র:) পাইলট হাইস্কুল মাঠে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীকরা হয়েছে।
    এ উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারেরসভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
    খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাছ আলী, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু ও মেসবাউল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা
    প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এআরএম আল মামুন, মহিলা কলেজেরউপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম
    হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান প্রমূখ।

  • কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কে সিএনজি ও কভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১ আহত ৫

    কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কে সিএনজি ও কভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১ আহত ৫

    এইচ এম শাহাব উদ্দিন তাওহীদ,

    কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ এটিএম জাফর আলম সড়কে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ড্রাইভারসহ অটোরিকশার আরও ৫ জন।

    অদ্য ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ বুধবার মরিচ্যা চেকপোস্ট সংলগ্ন দক্ষিণে হীরার দ্বীপ এলাকায় সকাল ১০.৩০ ঘটিকার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ও আহতের নাম পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান চালককে আটক করেন হাইওয়ে থানার পুলিশ।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , মরিচ্যামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান এবং কক্সবাজারমুখী যাত্রীবোঝাই সিএনজি অটোরিকশা মরিচ্যা চেকপোস্টের দক্ষিণে হীরার দ্বীপ এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

    এতে অটোরিকশায় থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এবং ড্রাইভার ও চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান রামু হাইওয়ে পুলিশের এসআই জয়নাল আবেদীন।

    তিনি বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং বাকীদের অবস্থাও আশংকাজনক। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় দুমড়ে মুছড়ে গেছে সিএনজিটি। গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে এবং কাভার্ড ভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে। হতাহতদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

  • পটিয়া ৪২ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর প্রথম পুরস্কার অর্জন

    পটিয়া ৪২ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর প্রথম পুরস্কার অর্জন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ১৩-১৪- তারিখ রবি-সোমবার পরিক্ষা শেষ হয়ে ১৫ ফেবু্রুয়ারি২২-মঙ্গলবার বিকাল ০৩.৩০মিনিটের সময় আল -জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার শিক্ষা ভবনের ৩য় তলার হল রুমে, জামিয়া পটিয়ার সম্মানিত মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম (বোখারী) সাহেব দাঃবাঃ হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন,
    দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম এর মেধাবী ছাত্র ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি,আজকের দেশ বাংলা,আমার জমিন,দেশ বাংলা বার্তা,আওয়ার কক্সবাজার২৪.কম ও উখিয়া ভয়েস২৪.কম এর চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীর বড় ছেলে মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থা, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার ব্যবস্তাপনায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় ২য় গ্রুপে ১ম বিভাগে উত্তির্ন হয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সনদ অর্জন করেছেন।

    রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর এই সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়ার সব চাইতে যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, পিতাঃ আলমগীর ইসলামাবাদী, মাতাঃ মোছাম্মৎ উম্মে সালমা (রুমী) দাদা-দাদি, নানী,নানাঃ পীরে কামেল আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ ওমর ফারুকী (রহ.) এর রুহানি ফয়জিয়ত ও নিকট আত্মীয় সজনের দোয়া,প্রাতিষ্টানিকভাবে যাদের মেহেনত, দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ক্বারি আবুল হাসান সাহেব,স্বেনহের ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা শাকের উল্লাহ,হাফেজ মাওলানা জোনায়েদ ও হাফেজ মাওলানা হোসাইনসহ সকল শিক্ষক বৃন্দ।

    সকল উস্তাদ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে বাবা হিসেবে আলমগীর ইসলামাবাদী ছেলের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য দোয়া চাই,
    আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ভালো বা-আমল হাফেজ, আলেম, মুফতি, মুহাদ্দিস ও জগত বিক্ষাত ইসলামের দায়ী হয়ে দ্বীনের ক্ষেদমত করতে পারে।

  • সুভা দি আর বিকাশ দার প্রেমের কাহিনীর সূত্রপাত হয় আমাদের হাত ধরে

    সুভা দি আর বিকাশ দার প্রেমের কাহিনীর সূত্রপাত হয় আমাদের হাত ধরে

    ওমর ফারুকঃ- উখিয়া,

    আমাদের বলতে আমি, টুকু,পদ্মা আর লতা।আমাদেরকে বিকাশদা পড়াতেন।আর গ্রামে সবথেকে বড় ঘর প্রভা দিদিদের।যার কারণে আমরা চারজন প্রভাদীর বাড়িতে গিয়ে পড়তাম আর বিকাশ দা ও সেখানে আসতেন।
    আর তাদের প্রেমে ডাকপিয়নও ছিলাম আমরা চারজন।প্রভা দি আমাদের স্কুলে পড়তো।স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রভার দিকে টুক করে বিকাশ দার দেয়া চিঠি হাতে গুঁজে দিতাম আর দৌড় দিতাম। রক্ত শপথ করে আমরা বিকাশ দা আর প্রভাদি দিকে প্রমিস করেছি,এই কথা আমাদের চারজনের বাইরে কেউ জানবেনা।

    রক্ত শপথ ছিলো এরকম,সুই দিয়ে কুট করে একটু ফুটো করতে হয় আঙুল।সেখান থেকে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে একটা পেরেক বসানো কাঠে লাগাতে হয়।লাগিয়ে তা মাটিতে পুঁতে দিতে হয়।আমরা কথা ভাঙ্গলে কাঠের পেরেক বড় হতে থাকবে।সেই পেরেক নড়তে পারে।যে কথা ভাঙ্গবে তার পেট ফুটো করে দিবে পেরেকটা।আমরা চারজনে তাই নিজেদের সাথেও বিকাশ দার প্রেম কাহিনী আলাপ করিনা।

    বিকাশ দার চিঠির সাথে চারটে চকলেটও দিতেন।চকলেট গুলো আমাদের জন্য।আর চিঠি প্রভাদিদির জন্য ।কিন্তু আমাদের সুখের দিন শেষ হয়ে গেলো একদিন।বিকাশদা কলেজে পড়ার জন্য শহরে পাড়ি জমায়।সেদিন প্রভাদির সাথে আমরাও কেঁদেছিলাম জামতলায় বসে বসে।প্রভাদি কেঁদেছে বিকাশদা দূরে চলে যাচ্ছে তাই। আর আমরা কেঁদেছি চকলেট পাবো না আর,তাই!
    কয়দিন পর সত্যিকারের ডাকপিয়ন আসে।আমরা তখন স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম।ভাগ্য ভালো বলতে হবে!পথেই চিঠি নিয়ে নিলাম আমরা।বাড়িতে গেলে কেলেঙ্কারি হয়ে যেতো।তারপর থেকে আমরা চিঠি আসার দিনে স্কুল থেকে ফেরার পথে জামতলায় দাঁড়াতাম।

    পিয়ন এসে চিঠি বাড়িতে দিতে পারতো না আর।আমরা পথেই নিয়ে নিতাম।
    এরকম করতে করতে ফাইনাল পরীক্ষা চলে এলো।এবং আমরা পড়লাম বিপদে।বিপদের সূচনা এভাবে,
    চিঠি যেদিন আসবে সেদিন টুকু জামতলায় দাঁড়ানোর কথা ছিলো।কিন্তু টুকুর বাবা বাজার থেকে আসার সময় তাকে জামতলায় দেখে কান ধরে বাড়িতে নিয়ে এসে পড়তে বসিয়ে দিলো।আর চিঠি নিয়ে পিয়ন সোজা আমাদের বাড়িতে চলে এলো।চিঠিটা পড়লো মায়ের হাতে।বাবার হাতে পড়লে রক্ষে ছিলো।

    কিন্তু আমার মা সাক্ষাত দারোগা।মাকে সবাই ভয় পায়।আর মা যখন চিঠি পড়লো তখন মহা বিপদের ঘন্টি বাজলো কোথায় যেনো।তারপর দেখলাম ঘন্টি না।আসলে আমার কানে মায়ের হাতের থাবড় লেগেছে।
    মা ভেবেছে কোন ছেলে আমাকে চিঠি লিখেছে।মাত্র সিক্সে পড়ুয়া মেয়ের কাছে কারো চিঠি!এরকম ভাবাটা আসলে অন্যায় না।কারণ চিঠিতে প্রভা দিকে বিকাশদা ময়না পাখি বলে সম্বোধন করেছে আর বিকাশদা নিজের নামের জায়গায় লিখে,”তোমার প্রাণপ্রিয় স্বামী!”
    আমাকে বেধড়ক পেটানোর পর চিঠিটা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়।তবে আমার পেট থেকে কথা বের করতে পারেনি মা।
    তারপরের বিপদটা হয় সাংঘাতিক!পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমরা সবাই নানীবাড়ি যাই।টুকু গ্রামে ছিলো আমাদের চারজনের মধ্যে।টুকুর বাবার হাতে পড়ে চিঠি।টুকুকে পিটিয়ে কথা বের করে নেয় তার বাবা।আর তারপরের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।

    প্রভা দিকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় এক সপ্তাহের মধ্যে।বিকাশদা খবর পায় বিয়ের পরেরদিন।ছুটে আসে গ্রামে কিন্তু প্রভাদি তখন শ্বশুরবাড়িতে।এবার বিকাশদার সাথে আমরা চারজন খুব কাঁদি।বিকাশদা প্রভাদির জন্য আর আমরা দুজনের জন্য কাঁদতে থাকি।
    এরপর বিকাশদা শহরে চলে যায়।আর সবাই প্রভাদির কথা বেমালুম ভুলে যাই।প্রভাদি যখন গ্রামে আসে তখন প্রতিবারই তার চোখ মুখ শুকনা লাগে।মুখে আগের মতো হাসি নেই।শুধু আমাদেরকে দেখলে একটু হাসে।
    একদিন আমরা স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার সময় প্রভাদির বাড়িতে খুব চিৎকার শুনতে পাই।প্রভাদির বর চিৎকার করে কি কি যেন বলছে।পরে শুনলাম প্রভাদি নাকি পালিয়েছে।গ্রামের সবাই বিকাশদাকে খবর দেয়।বিকাশদা অবাক হয়।

    কারণ প্রভা দি তার কাছে যায়নি।বিকাশ কে প্রভাদির বর হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।তার পরদিন হিজিলিয়া খালে প্রভাদির লাশ ভেসে উঠে।আর বিকাশদা একটা দা নিয়ে প্রভা দির বরের গলা কেটে দিলো।বিকাশদাকে পুলিশে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা চারজন আবার কাঁদলাম।
    প্রভাদির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসে,অনেক অত্যাচার করে মেরে গঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছিলো তাকে।প্রভাদির শ্বশুরবাড়ির লোক পরে স্বীকার করে পুরোটা।প্রভাদি নাকি খুব চুপচাপ চলতো।বারবার তার বর তাকে বিকাশদার কথা বলে বলে মারতো।প্রভাদি চুপ করে থাকতো।কখনো টুঁ শব্দ করেনি।শেষদিন মারের চোটে মরেই যায় প্রভাদি।

    তারপর কেটে যায় ১৪ বছর।বিকাশদা যাবতজীবন কারাদন্ড থেকে মুক্তি পায়।আর গ্রামে সবাই বিকাশ পাগলা বলে চিনতে থাকে।ছোট বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে বাবা মা ভয় দেখায়,”বিকাশ পাগলার কাছে দিয়ে আসবো একদম!”
    বাচ্চারা ভয় পেয়ে সিঁটিয়ে যায়।আর আমরা চারজন এখনো মাঝে মাঝে জামতলায় বিকাশদার সাথে বসে বসে কাঁদি।

    লেখক
    ওমর ফারুক
    শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
    আলোকিত ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব কক্সবাজার( উখিয়া)
    মোবাইলঃ- 01857-621831

  • সাতকানিয়ায় নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক ব্যক্তির উপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    সাতকানিয়ায় নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক ব্যক্তির উপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    (বিশেষ প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে কাজ করায় মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দাইমারখীল পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যু সুলতান আহমদের পুত্র।

    এ ব্যাপারে মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাদুরো বাড়ী একালার বাসিন্দা মোঃ কামালের পুত্র মোঃ হিরু (২৫), মোঃ জামালের পুত্র মোঃ রকি (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে ১০ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং তারিখে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ই ফেব্রুয়ারী”২২ইং ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই ইউপি নির্বাচনে মোঃ কামাল হোসেন ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ছিলেন। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ রিদুওয়ান ছিলেন। ৯ ফেব্রুয়ারী তারিখে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান ডেকেছে বলে মোঃ কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিবাদীদ্বয় মোটরসাইকেল যোগে কামাল হোসেনকে বোর্ড অফিস সংলগ্ন মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে মোঃ জাহাঙ্গীর (৪৫) এর CNG গাড়িতে তোলে ঢেমশা ইউনিয়ন সংলগ্ন থ্রি.এস.বি ব্রিকফিল্ডের ভিতর হইতে রেলের রাস্তায় নিয়ে যায়। বাদী নিয়ে আসার কারণ জিজ্ঞেসা করলে বিবাদীরা উত্তরে বলে নৌকার পক্ষে কেন ভোট চাইলি,? নৌকার পক্ষে কেন কাজ করছিস বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ১ ও ২নং বিবাদী শরীরর বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি লাথি, খিল, ঘুষি দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ব্রিকফিল্ডের পাশে একটা পানির গর্তে ফেলে দেয়। দীর্ঘ সময় কামাল হোসেন বাড়িতে না ফেরার কারণে তার মা, স্ত্রী ও সন্তান খোঁজা খোজি করে। পরে এক পর্যায়ে একটি পানির গর্তে দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার সময় বিবাদীগণ উক্ত ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এমনকি বিভিন্ন ধরনের মামলায় জড়ানো হবেও বলেন বিবাদীরা।

    বর্তমানে মোঃ কামাল হোসেন ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগদেছে। যেকোন সময় তার ওপর হামলা করতে পারে বলেও জানান তিনি।

    এ ব্যাপারে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রিদুওয়ান জানান, মোঃ কামাল হোসেন একজন সহজ-সরল ব্যক্তি। তিনি গত ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় তার উপর এ হামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

    এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার এস.আই মাহবুব জানান, মোঃ কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

  • “নদীর পাড়ে একা একা দাড়িয়ে সূর্যের কিনারা দেখি”

    “নদীর পাড়ে একা একা দাড়িয়ে সূর্যের কিনারা দেখি”

    ওমর ফারুকঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    গেল সন্ধ্যায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছিল। আমাদের বাড়ির পাশের শীতলক্ষ্যা নদ, বৃষ্টি মেয়ের প্রেমে উচ্ছল, ক্ষণে ক্ষণে ঢলে পড়ছে! আমার খুব মন খারাপ, মরে যাওয়ার মতন। আমি নদীর পাড়ে একা বসে আছি। আম্মা থাপড় দিয়ে আমার মুখ ভোঁতা করে দিয়েছে। কিন্তু আমার তো কোনো দোষ ছিল না! রিপনের দাদি, ধবধবে ফরসা বলে যাকে সবাই পরি দাদি ডাকে, আমাকে বলে কি, ‘এই ছুড়ি, তোর তো জীবনে বিয়ে হবে না।

    তুই দেখতে কেমন ময়লা। ময়লা মেয়েদের বিয়ে হয় জাওলাদের (জেলে) সঙ্গে, কিন্তু তোর তাও হবে না, তুই বেশি কালা, নাক বোঁচা।
    এর দিন পাঁচেক আগে সিংহশ্রী ইউনিয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমি ক্লাস ফাইভ এ ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তি পাই। আশপাশের দশ গাঁয়ের মধ্যে আমিই একমাত্র মেয়ে যে এমন একটা পাশ দিয়েছি। চাচা, ফুফুরা খুশিই হয়েছেন। তবে আমার অন্য চাচাতো বোনেরা যাদের সঙ্গে আমি জড়াজড়ি করে বড় হচ্ছি তারা সবাই ভীষণ সুন্দরী। পাড়ার ছেলে-বুড়ো সবাই বলে ওদের খুব ভালো বর হবে, বড় ঘর হবে। আমি যতই দুপাতা বিদ্যা কপচাই না কেন আমাকে শেষমেশ আইবুড়ো হয়ে বাপের ঘরের খুঁটি হয়ে থাকতে হবে।

    কিন্তু আমারতো খুব বিয়ের শখ! বিয়ের কন্যাকে কি সুন্দর করে সাজায়, আমার যদিও সোনা গয়না পছন্দ না, কেমন ছ্যারাব্যারা জবরজং লাগে! তবে পলা দি’র বিয়েতে যেমন মালাবদল হয়েছিল, কি স্নিগ্ধ বেলি ফুলের এত বড় মালা, আমার তেমনি মালা পরে কনে সাজতে কি ভালো লাগে। কিন্তু পরি দাদি যেহেতু বলেছেন, সেদিন কালামের মাও বলেছে আমার বিয়ে হবে না, আমি কালো, অসুন্দর। আমার কি যে টেনশন! কী করতে পারি আমি! বিয়ের চিন্তায় অঙ্ক ভুল হয়, লুকিয়ে লুকিয়ে আম্মার বেগম পত্রিকার গল্প পড়তেও আর আগের মতো আগ্রহ পাই না।
    মিলি-ঝিলি-পলিদের দেখে দীর্ঘশ্বাস আরও বাড়ে! কি যে করি! তখন রেডিওতে হেনলাক্স রং ফরসা করার ক্রিমের বিজ্ঞাপন হয়, তেরো টাকা দাম। টাকা কই পাই? আমাদের তখন নুন আনতে পান্তা ফুরায়, প্রায়ই কাগজ কেনার টাকা থাকে না, কলাপাতায় বল পয়েন্ট কলম দিয়ে রাফ অঙ্ক করি। তেরো টাকা অনেক টাকা! এগারো বছর বয়সী আমি মনমরা হয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াই। জানি সব মানুষ মাটির তৈরি, তবে ভালো মাটি মানেই গায়ের রং ফরসা। আমি ভেবে পাই না কেন আমাকে গোয়াল ঘরের মেঝের মাটি দিয়ে বানাল! বিল্লাল, রাজীব ওরা আমার থেকেও কালো। কিন্তু বুঝতে হবে, ওরা তো ছেলে। আর ছেলে হলো খাঁটি সোনা। ব্যাকা হলেও লাখ টাকা দাম।

    নাহ, এভাবে আর চলে না, বিয়ে না করে আমি থাকতে পারব না। আমার বেলি ফুলের মালা চাই, গন্ধরাজ তেল চাই, পা রাঙানো আলতা চাই, বেণি করার লাল ফিতে চাই ই চাই। বর ছাড়া কে দেয় এত! তা ছাড়া বিয়ে করা ফরজ, আইবুড়ো থাকলে বাপ মায়ের অমঙ্গল। আমার ফরসা হতেই হবে। শিং মাছ, শিমের বিচি, পাকা টমেটোর টক আর শুকনা বরই এর খাট্টা দিয়ে ভরপেট ভাত খেয়ে তিনটা চারটা নাগাদ বাড়ির সবাই ঘুমায়। এই সুযোগ! আম্মা আলমের ১ নম্বর পচা সাবান দিয়ে কাপর কাচে, খুব নাকি সাফ হয়। যাক বাবা, হাতের কাছে এত সুন্দর সমাধান! আর আমি কিনা ভেবে মরি। মনের সুখে সাবান গায়ে মাখি (এমনি গোসল এর সময় লাক্স সাবান মাখি, এখন আরও সাফ হওয়ার জন্য।

    একটু পর আমার বুদ্ধি আরও বাড়ে। আমি ম্যারা পিঠার মতো এক কামড় দিয়ে পচা সাবানের অর্ধেকটা খেয়ে ফেলি। হুহ! ফরসা আমি হবই। তারপর বমি টমিই করে করে যাতা অবস্থা। মরেই যাই আরকি। তার ওপর আম্মার দুম্মুর দুম্মুর কিল। আমি কালো হওয়ার অপরাধে নদীর পাড়ে বসে একা একা কাঁদতেই থাকি।

    লেখক,
    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার
    যোগাযোগঃ- ০১৮৫৭-৬২১৮৩১