Author: UkhiyaVoice24

  • উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২৩ খ্রিঃ সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: নিজাম উদ্দিন এর নির্দেশনায় অত্র উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন, আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে আমন ধানের জমিতে পোকার উপস্থিতি নিরুপণ করা হয়, এভাবে পোকার ধরন নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ এলাকার কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন, কৃষক এই প্রযুক্তি দেখে ক্ষতিকর পোকা চিনতে পারছেন এবং সঠিক পরামর্শ পেয়ে পোকা দমন করতে তাদের সহজতর হচ্ছে, এছাড়াও আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে ফসলের পোকা দমন করা যায়, কৃষকরা নিজেরাও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।

  • জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    ডেস্ক রিপোর্ট।

    আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ আন্তর্জাতিক মানের একটি দীনী শিক্ষালয়। ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষা ও ছাত্রদের উন্নত চরিত্র গঠনে জামিয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয় ও ঈর্ষণীয়।

    কুতবে যামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহ. ১৩৫৮ হিজরী সালে নিষ্ঠা ও এখলাছের উপর ভিত্তি করে ‘জমীরিয়া কাসেমুল উলূম’ নামে এটির ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনিই মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩৭৭ হিজরী সনে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে তিনি নিজেই হযরত আল্লামা আলহাজ্ব শাহ মুহাম্মদ ইউনুছ (হাজী সাহেব হুজুর) রহ.-এর নিকট মাদরাসা পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও নিজ দূরদর্শী কর্মতৎপরতার মাধ্যমে মাদরাসাটিকে পরিণত করলেন বৃহত্তর জামিয়ায়। ১৪১২ হিজরী সালে তিনি তাঁর প্রভুর দরবারে গমন করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর এ গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় হযরত আল্লামা শায়খ হারুন ইসলামাবাদী রহ. এর উপর। তাঁর জ্ঞান ও প্রতিভা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির নতুন ধারা সূচিত হয়। ১৪২৪ হিজরী সালে তাঁর ইন্তেকালের পর আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম সাহেব রহ.-এর নিকট অর্পিত হয় জামিয়া পরিচালনার মহান দায়িত্ব। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার দিকে লক্ষ্য করে ১৪২৯ হিজরী সনে তিনি নিজেই মজলিসে শোরার মাধ্যমে বিশিষ্ট ইসলামী বুদ্ধিজীবি, হাকীমুল ইসলাম আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (রহ.)-এর হাতে সোপর্দ করেন এ গুরুদায়িত্ব।

    তিনি ২০২০ সালে প্রথমতঃ মজলিসে আমেলার; অতঃপর মজলিসে শোরার মাধ্যমে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফি.)-কে নায়েবে মুহতামিম মনোনিত করেন এবং তাঁর মাধ্যমে দীর্ঘ দুই বছর যাবত জামিয়ার আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়াদির আঞ্জাম দিয়ে যান। বিগত ২২ শে জুন ২০২২ সালে আল্লামা বোখারী (রহ.) ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালের পর জামিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রথমতঃ তিনি ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হন, অতঃপর ৭ই জুলাই ২০২২ ইংরেজী তারিখের মজলিসে শোরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে তাঁর হাতে মুহতামিমের এই গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়।

    বর্তমানে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফিজাহুল্লাহ) এর সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলছে। তিনি তাঁর চিন্তা ও চেষ্টা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞা, মনোবল ও তাকওয়া দ্বারা জামিয়াকে শিক্ষা-দীক্ষায় বহুমুখী উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সুন্দর ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সুদৃঢ়করণ, আর্থিক খাতের উন্নতি সাধন ও দেশব্যাপী সুনাম অর্জনে এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।

    আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযা (হাফি.) মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তিনি জামিয়া পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যৎকে বর্ণিল করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু ও সুদক্ষ পরিচালনায় জামিয়া পটিয়ায় বহুমুখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সফলতার একটি বড় রহস্য হলো, তিনি যে কোন কাজে ‘মজলিসে এন্তেজামিয়া’ ও ‘মজলিসে ইলমির’ পরামর্শক্রমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
    তাই তাঁর হাতে সুচিত হচ্ছে জামিয়ার গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সিলসিলা। জামিয়া এখন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা জগতে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, একটি মহল জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জামিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন ধরে অনলাইন/ অফলাইনে স্বার্থপরতার বশীভূত হয়ে জামিয়ার সম্মানিত মুহতামিম সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অবাস্তাব ও ভিত্তিহীন লিফলেট প্রকাশ করছে।
    তাতে জামিয়ার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং হিতাকাঙ্খীদের মাঝে জামিয়া সম্পর্কে সন্দেহ ও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি পরিচয় গোপন করে ফেকআইডি ব্যবহার করে জামিয়া সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। এসবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোন যৌক্তিক ও নৈতিক ভিত্তি নেই।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন এমন অপপ্রচার দ্বারা আমরা মজলিসে ইলমির সকল সদস্য চরমভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। তাই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জামিয়া প্রধানের নিকট সুপারিশ করছি।
    প্রয়োজনে দেশীয় আইনে এসব নোংরামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি।

    মজলিসে ইলমির সদস্যগণের নাম ও স্বাক্ষর

    ১.আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ দা.বা.
    মহাপরিচালক- অত্র জামিয়া
    ২. হযরতুল আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদুল্লাহ দা.বা.
    শাইখুল হাদিস – অত্র জামিয়া
    ৩. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আমীনুল হক দা.বা.
    সদরে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৪. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আবু তাহের নদভী দা.বা.
    নায়েবে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৫. হযরতুল আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দিন সাহেব দা.বা.
    নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া
    ৬. হযরতুল আল্লামা মাওলানা যাকারিয়া আজহারী দা.বা.
    সহকারি নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া

  • উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ উপলক্ষে অদ্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজন করা হয়।

    উক্ত জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমরুল কায়েস চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব মৃনাল বড়ুয়া, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, রাজাপালং ইউপি উদ্যোক্তা ওসমান সরওয়ার, ইউপি দফদার আব্দুল হক, ইউপি সচিব সহকারী জনাব আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ হোছাইন, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মনজুর আলম, ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলীসহ উপজেলার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীরা দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকারের পতন হওয়া উচিত। আগামীতে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরো ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পরবে। কাজেই দেশের জন্যই সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে গেছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। প্রশাসনের সর্বত্র একচ্ছত্র দলীয়করণ চলছে।

    আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব, রাষ্ট্রের সকল স্তর দুর্নীতিমুক্ত করন, দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অশ্লীলতা বেহায়াপনামুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী গড়ে তোলা, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত কক্সবাজার শহর বিনির্মাণ, কক্সবাজারকে মাদক, সন্ত্রাসী, চুরাকারবারী ও ইয়াবা মুক্তকরণের দাবীতে এ বিশাল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব আল মুহাম্মাদ ইকবাল, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আল্লামা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক। জেলা উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ আমিন, মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আলজাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টর, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, মুহাম্মদ জুনাইদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
    কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম ও জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রভাষক রাশেদ আনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি, স্বস্তি ও নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের দাবি হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। তাই অনতিবিলম্বে জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে মজলুম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।

  • জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গুনেধরা রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজন মহানবীর সীরাতের বাস্তবায়ন। সমাজে বিদ্যমান, অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুনসহ সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ জুলুমের শিকার হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না, সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের পকেট কাটা হবে না। রাতারাতি কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনবে না।

    তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। দেশ-বিদেশের কোথাও তাদের ঠাই হয়নি।

    অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সীরাত সম্মেলনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, সীরাত ক্যাম্পেইন, বিশ্বজয়ী হাফেজ কারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত একথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গণমানুষের উপচেপড়া ভীর ও সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করি। অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারের অধীনেই আগামি নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে এদেশের মানুষ দেবে না। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি আসবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করতে বদ্ধপরিকর।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা কারী মাসউদুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, হাফেজ মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ, মাওলানা আল আমীন সোহাগ, মুফতী আমির হোসাইন, মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াস প্রমুখ।

  • রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হলেন মর্জিয়া বেগম।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হলেন মর্জিয়া বেগম।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মর্জিয়া বেগম রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। কৃতি শিক্ষক মর্জিয়া বেগমের সার্বিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে বিচারকমন্ডলী তাকে মহিলা ক্যাটাগরিতে জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৩ এর জন্য শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসাবে মনোনীত হলেন।

    মেধাবী ও কর্মপাগল মর্জিয়া বেগম হচ্ছেন-আবুল হোসেন ও রশিদা বেগম এর কন্যা। তিনি বিবিএস (অনার্স) সহ প্রথম শ্রেণিতে এমবিএস পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ডিপিএড, বিএড, এমএড করেছেন কৃতিত্বের সাথে।

    সফল শিক্ষক মর্জিয়া বেগম উপজেলা পর্যায়ে মহিলা ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসাবে মনোনীত হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে এজন্য তিনি রামু’র উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু শামীম, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আজিজুল হক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু নছর মোঃ হাছান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জুরি বোর্ডের সকল সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। যাঁরা তাঁকে সবসময় সাহস যুগিয়েছেন, সঠিক ও যথার্থ নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর দায়িত্বশীলতা, নিষ্ঠা ও শ্রমকে মূল্যায়ন করেছেন। মর্জিয়া বেগম তার সহকর্মীদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। যাঁরা সবসময় তাঁর পথ চলায় পাশে থেকেছেন, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

    অদম্য ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন মর্জিয়া বেগম বলেন, এ অর্জন আমাকে প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ করেছে। আরো এগিয়ে যেতে পথ দেখিয়েছে।

    ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ে আরো বৃহত্তর পরিসরে সফলতা অর্জনে মর্জিয়া বেগম মহান আল্লাহর অসীম রহমত, সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া, আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

  • ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জনগন ভোট ডাকাতদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। তিনি বলেন,এ অবস্থা সরকার সৃষ্টি করে প্রশাসনকে দলীয়কাজে ব্যবহার করছে। সাংবিধানিক বিভাগগুলোকে সরকার নিজেদের স্বার্থে যা ইচ্ছে ব্যবহার করছে। সর্বত্র দলীয়করণে সরকার সকল ইতিহাস ব্রেক করছে। কাজেই সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সরে দাড়ালেই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।

    আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শরীয়তপুর সদর থানা শাখা আয়োজিত থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    থানা সভাপতি, মাওলানা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি, তানভীর আহমেদ বেলাল মোল্লার সঞ্চালনায় শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়াম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষকে মারা হলো। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

    আজ ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশীরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।

    আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্িরতষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন র্ঊধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রেীয় উপদষ্টো প্রফসের ড. আফম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরফিুল ইসলাম রিয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

    লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ :

    ১. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন দিতে হবে।

    ২. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।

    ৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রর্বতন করতে হবে।

    ৪. দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জডি়তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। লোডশেডিং-এর অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

    ৫. অবিলম্বে বিনা বিচারে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

    ৬. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    ৭. চট্টগ্রাম সিটির ভিতরে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

    ৮. ডেঙ্গু দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এই মহামারী থেকে জনগনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত ৯ আগস্ট রাতে লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হয়েছে। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় নিহতদের প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং লিবিয়ান সরকার ও নাগরিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা শিগগিরই যেন আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করেন। লিবিয়ান সরকার ও জনগণ এ শোক ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।