Author: UkhiyaVoice24

  • দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী’র দাওরায়ে হাদীস (আরবী-মাস্টার্স) সমাপনী বর্ষের তরুণ আলেমদের ‘নাসায়ী শরীফ”-এর আখেরী দরস আজ (৩০ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দরস পরিচালনা করেছেন জামিয়ার মুহাদ্দিস ও মুঈনে মুহতামিম মুবাল্লিগে ইসলাম হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.)। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন কানায় কানায় ভরপুর ছিল।

    নাসায়ী শরীফের সিলেবাসের শেষ হাদীসের দরস শেষে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনা ও উপদেশমূলক প্রায় ঘন্টাব্যাপী বয়ান করেন। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন জুড়ে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছিল এবং আড়াই হাজার তারুণ আলেম আবেগঘন পরিবেশে গভীর মনোযোগের সাথে বয়ান শুনছিলেন।

    দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, আপনারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উম্মুল মাদারিসের হাবিবী কাননে এসেছেন ইলমে নববীর জ্ঞান আহরণের মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। জ্ঞান আহরণের ধারাবাহিকতায় বিদায় লগ্ন প্রায় সমুপস্থিত। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা-সমাপনের পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা নিজ নিজ অবস্থানে কর্মমুখর জীবনে ফিরে যাবেন। জীবন চলার পথ বড়ই কঠিন ও সংকটপূর্ণ। আমাদের সন্তানদের মতোই আপনারাও আমাদের অত্যন্ত স্নেহ ও ভালবাসার পাত্র। তাই জীবন চলার পথে উপদেশ মূলক কিছু কথা বলছি, মনোযোগের সাথে শুনুন।

    হিদায়াতী বয়ানে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবন চলার পথে আপনারা সর্বক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাতের পূর্ণ অনুসরণ করে চলবেন। গুরুত্বের সাথে জামাআতের সাথে নামায আদায় করবেন। দৈনিক কুরআন তিলাওয়াত করবেন। সকল উম্মতে মুহাম্মদীর ইহ-পরকালীন কল্যাণে নিজেদেরকে সদা নিয়োজিত রাখবেন। ইলমে ওহী এবং হুযূর (সা.)এর তরীক্বার প্রচার-প্রসারকে আল্লাহ তাআলার বিরাট এক নিয়ামত হিসাবে ধারণ করবেন, যে নিয়ামতের বিপরীতে জগতের সব কিছু নগন্য ও তুচ্ছ। সাধ্যমতো দেশ, জাতি ও উম্মাহর কল্যাণে কাজ করে যাবেন। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সমাজের কল্যাণে সজাগ থাকবেন। যেখানেই থাকুন না কেন, দ্বীনি ইলমের প্রচার-প্রসারে কাজ করে যাবেন এবং দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগাবেন। সুস্থির ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দিবেন।

    এ পর্যায়ে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন তরুণ আলেমদের উদ্দেশে রাসূল (সা.)এর অন্তিম অসিয়তের উল্লেখ করে বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাহাবায়ে কেরামের প্রতি শেষ অসিয়ত ছিল তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করার এবং (তোমাদের আমিরের কথা) শোনার ও তাঁর অনুগত থাকার উপদেশ দিচ্ছি, হোক না সে ইমাম একজন হাবশী গোলাম। আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তাদের মধ্যে অল্প দিন পরই মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার হিদায়াত প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে রাখবে। অর্থাৎ- সুন্নাতের উপর খুব অটল ও অবিচল থাকবে। নবাবিষ্কৃত বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নবাবিষ্কৃত কাজই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী”।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন রাসূল (সা.)এর আরেকটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাহাবী আবু যর (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার হুযূর (সা.)এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমাকে কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহ্কে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তাঁর ভয়ই সকল কাজের সৌন্দর্য। আমি বললাম, আরও কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, “কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহর যিকরকে তোমার জন্য আবশ্যক করে নাও। কেননা, এর দ্বারাই আকাশে তোমার ব্যাপারে আলোচনা হবে এবং পৃথিবীতে হবে তোমার জন্য নূর”। প্রিয় নবী (সা.)এর এই নসীহতই আপনাদের জীবন পরিচালনার জন্য পথনির্দেশিকা হিসেবে যথেষ্ট মনে করি।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা কর্মমুখর জীবনের দিকে পা বাড়াবেন। মনে রাখবেন, আপনারা যে পথের পথিক, সে পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কণ্টকাকীর্ণ ও অতি পিচ্ছিল। তাই অত্যন্ত সাবধানে এই পথ অতিক্রম করে পদে পদে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। কারণ, আজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দেশে-বিদেশে সর্বত্রই ইসলাম ও মুসলমানগণ নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ছেন। অন্যদিকে পাশ্চাত্য অপসাংস্কৃতিতে যেন সমাজ ডুবে আছে। বাতিল নানা রূপে, নানা ছদ্মবেশে, নানা পন্থায় ইসলামের প্রজ্বলিত প্রদীপকে নির্বাপিত করার নিমিত্তে প্রতিনিয়ত হীন অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এহেন দুর্দিনে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় আপনাদের মতো সুযোগ্য একদল আলেমের বৃহৎ একটি জামাত মুসলিম সমাজকে উপহার দিতে পেরে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করছি। আপনারাই জাতির ধারক-বাহক ও কর্ণধার।

    তিনি বলেন, আপনারা সাহাবা, তাবেয়ী, তবে-তাবেয়ী, মুহাদ্দেসীন, মুজতাহিদীন, আউলিয়ায়ে কেরাম, আকাবিরে দেওবন্দ ও আকাবিরে হাটহাজারী’র মাসলাকের সাথে গভীরভাবে জড়িত হওয়ায় আপনাদের কাঁধেও দাওয়াতের মহান দায়িত্ব এসে পড়েছে। এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে এ ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শকে আক্বীদা ও আমল, তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে শক্ত হাতে ধারণ করে চলতে হবে। আপনারা এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে শিক্ষা সমাপন করে কর্মক্ষেত্রের দিকে এগিয় যাচ্ছেন, যে যুগের মানুষ কি বৈষয়িক কি আধ্যাত্মিক; সর্বোপরি অস্থিরতার শিকার। তাই জাতি ছাতক পাখির ন্যায় আপনাদের জন্য অপেক্ষমান। আপনারা ইলমী দক্ষতা, খোদাভীতি, একনিষ্ঠতা, আল্লাহর উপর ভরসা ও সুন্নাত অনুসরণের মজবুত হাতিয়ার নিয়ে দেশ ও জাতির পথপ্রদর্শনে আত্মনিয়োগ করবেন। এবং তালিম, তাবলীগ, দাওয়াতি-জিহাদ, ইমামত, বক্তৃতা-বিবৃতি, ওয়াজ-নসীহত ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে পথহারা এই জাতিকে পথে

  • চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ না মানা,টিকা সনদ না দেখে গ্রাহকদের খাবার পরিবেশন করায় চট্টগ্রামে ছয় রেস্টোরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
    শনিবার (২৯ জানুয়ারি২২) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। একই অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এক ক্রেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
    চসিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিৎজা হাটকে ৩ হাজার, দিগামবিয়া ফুডকে ২ হাজার, জামান মেজবানি রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার, হোটেল জামান অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩ হাজার ও লবিয়ত রেস্টুরেন্টকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় গ্রাহকদের টিকা সনদ ও মাস্ক পরার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য রেস্টুরেন্ট মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    অভিযানে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহায়তা করে।

  • দরগাহ বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদ শুভ উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    দরগাহ বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদ শুভ উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    দরগাহ বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দরগাহ বিল জামে মসজিদ ও রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় পবিত্র জুমা উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা আলহাজ্ব হাফেজ নুরুল আমিন মাহমুদ, হযরত মাওলানা আব্দুর রহিম, হযরত মাওলানা আলহাজ্ব আব্দুর রহমান মহোদয়,
    হযরত মাওলানা আলহাজ্ব আহমদ হোছাইন সাহেব, হযরত মাওলানা জাফর আলম বদরী সাহেব,
    হযরত মাওলানা সুলতান আহমদ,
    হযরত মাওলানা নুরুল আলম ফকির,

    আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক গফুর মিয়া চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও অত্র জামে মসজিদ রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ইকবাল বাহার, উখিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একরামুল হক, হাজী নাজির হোছাইন, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার, অত্র জামে মসজিদ ও রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,হামিদুল হক, হাজী আবু চৌধুরী, পশ্চিম দরগাহ বিল আই এফ এমসি কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি ছৈয়দ মিয়া, ছৈয়দ আলম সওদাগর সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ৯২ ব্যাচের ৩০বছর বর্ষপূর্তি উৎসব মিলন মেলা ২০২২, মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ৯২ ব্যাচের ৩০বছর বর্ষপূর্তি উৎসব মিলন মেলা ২০২২, মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার।

    কক্সবাজারের উখিয়ায় এস.এস.সি ৯২ কক্সবাজার জেলা ভিত্তিক আয়োজিত আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং শনিবার সারাদিন মোটেল উপল জারা কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩০ বছর বর্ষপূর্তি উৎসব মিলন মেলা ২০২২।

    ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়া বাসমতি রেষ্টুরেন্টে বসে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অনুষ্ঠিত সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে আগত অতিথি বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মুর্শেদ, ৯২ ব্যাচের কক্সবাজার জেলা এডমিন ইফতিয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, এড.একরামুল হক,আব্দুল্লাহ আল হাকিম বাবুল,মুহাম্মদ ছুরত আলম শিক্ষক, উখিয়া উপজেলা এডমিন মাস্টার রুপন দেওয়ানজী, নাছির উদ্দীন শিক্ষক, আশিষ কুমার বড়ুয়া শিক্ষক, সাংবাদিক এম আয়াজ রবি, এড. রবিন্দ্র দাশ রবি,সিজাজুল ইসলাম এনজিও কর্মকর্তা, মোঃ আবু সাইম এনজিও কর্মকর্তা,মোঃ কামাল উদ্দিন, মনোজ বড়ুয়া শিক্ষক সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    বন্ধুত্ব হলো মানুষের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক। আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হল বন্ধুত্ব। সমাজবিদ্যা, সামাজিক মনোবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, এবং দর্শনে বন্ধুত্বের শিক্ষা দেয়া হয়। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে মানুষ সুখী ও সুন্দর হয়।

    আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এস.এস.সি ৯২ কক্সবাজার জেলা ভিত্তিক আয়োজিত অনুষ্ঠানের আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং শনিবার সারাদিন মোটেল উপল জারা কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৩০বছর বর্ষপূর্তি উৎসব মিলন মেলা ২০২২ অনুষ্ঠানের সফলতার লক্ষ্যে উখিয়া উপজেলা ৯২ ব্যাচের বন্ধুরা স্বতঃষ্ফূর্ত ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • চকরিয়া থেকে কাঠ পাচারকালে জব্দ

    চকরিয়া থেকে কাঠ পাচারকালে জব্দ

    চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের স্পেশাল টিমের অভিযানে প্রায় ৬০০ ঘনফুট জ্বালানি কাঠসহ পরিবহনে থাকা ট্রাক আটক করা হয়েছে ।

    ২৭ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ দিবাগত রাত ২ ঘটিকার দিকে চকরিয়া মানিকপুর সড়কে অবৈধভাবে জ্বালানি কাঠ পাচারের সময় এসব কাঠ জব্দ করা হয়েছে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

    স্পেশাল টিমের ওসি ও শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়া- মানিকপুর সড়কে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬০০ ঘনফুট অবৈধ জ্বালানি কাঠ জব্দ করে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
    বন ও পরিবেশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, বনবিভাগ বনভূমি জবরদখল, অবৈধ কাঠ পাচার এবং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছেন। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে স্পেশাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৬০০ ঘনফুট, জ্বালানি কাঠ জব্দ করে। যারা এসব কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

  • উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন “ভুট্রো”

    উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন “ভুট্রো”

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
    বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব আব্দুল হকের পরিচালনায় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল কাদের চৌধুরী ভুট্রোর নেতৃত্বে একটি প্যানেল এবং ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হকের নেতৃত্বে একটি প্যানেল সরাসরি প্রতিদন্ধিতা করেন। এতে চেয়ারম্যান, ৯ পুরুষ সদস্য ও ৩ মহিলা সদস্যসহ ১৩ জন প্রত্যেক্ষ জনপ্রতিনিধি গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

    ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া রাজাপলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে পাংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী ভূট্রো অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টানা তৃতীয় বারের মতো নবনির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয়ের সাথে পুষ্পিত অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্যানেল চেয়ারম্যান ভুট্রো।

    কাস্টিং ভোটের ফলাফলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ পদে সর্বোচ্চ ৯ ভোট পেয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরী ভুট্টো প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদন্ধি নুরুল হক পেয়েছেন ৪ ভোট।
    প্যানেল চেয়ারম্যান-২ পদে ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় ৫ নং ওয়ার্ডের মুফিদুল আলম শিকদার। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদন্ধি খুরশিদা বেগম পান মাত্র ৪ ভোট। প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ পদে ৯নং ওয়ার্ডের জাফরুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জাহেদা বেগম প্রার্থী হলেও জাফরুল ইসলাম প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জাহেদা বেগম বিনা প্রতিদন্ধিতায় প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নির্বাচিত হয়।এতে ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পূর্ণ প্যানেল জয়লাভ করে।

    ভোট গ্রহণ পরবর্তী ফলাফল ঘোষণা কালে ইউপি সদস্য নুরুল আলম,ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টো,আলতাজ আহমদ,মিজবাহ উদ্দিন সেলিম,মুফিদুল আলম শিকদার,কামাল উদ্দিন,নুরুল হক,ফয়েজুল ইসলাম, জাফরুল ইসলাম বাবুল,নুর বানু,খুরশিদা বেগম, জাহেদা বেগম,আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজুল হক,সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ শিকদার, শ.ম.গফুর,শহীদুল ইসলাম,বালুখালী কাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এসএমসি’র সদস্য আকবর আহমদ,উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবু তাহের আজাদ,উখিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রিদুয়ান সিদ্দিক,যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন,বালুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এসএমসি’র সহসভাপতি শওকত হোসেন সৈকত সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ফজল কাদের ভুট্টো নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ছাড়াও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য,পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলাবাসীর অধিকার আদায়ের সংগঠন আমরা কক্সবাজার বাসীর উখিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক,ধর্মীয় ও সংস্কৃতি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের উখিয়া কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আহবায়ক,জেলা যুবলীগের সদস্য, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি, বালুখালী শিশু বান্ধব কেন্দ্রের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীনা আক্তার চৌধুরী এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত ফজলুল কাদের চৌধুরী ভুট্রো।

  • হাইকোর্টে জামিন পেলেন হেফাজত নেতা আল্লামা মুফতি হারুন ইজহার

    হাইকোর্টে জামিন পেলেন হেফাজত নেতা আল্লামা মুফতি হারুন ইজহার

    উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকমঃ ডেস্ক।

    চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজত নেতা মুফতি হারুন ইজাহারকে (৪৭) এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৫ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি ফৌজদারি বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।

    এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা মুফতি হারুন ইজাহারকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    ২৮ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে আল্লামা মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৭। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মাদরাসায় হ্যান্ডগ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যান এবং পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতল অ্যাসিড এবং গ্রেনেড তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ঐ ঘটনায় একজন আলেম আল্লাহ ওয়ালা হারুন ইজহার গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।

    সূত্র,,, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

  • উখিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব এম ফজলুল করিমের অবসর গ্রহণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

    উখিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব এম ফজলুল করিমের অবসর গ্রহণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার, উখিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব এম ফজলুল করিম মহোদয়ের অবসর গ্রহণ উপলক্ষ্যে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় উখিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত দাশ এর সভাপতিত্বে শুরু হয়ে অবসর গ্রহণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অদ্য ২৪ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার দিকে উখিয়া কলেজ প্রাঙ্গণে উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া কলেজ গভর্ণিংবডির সভাপতি, জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

    অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অত্র কলেজ পরিবারের গভর্ণিংবডির সদস্য জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, উখিয়া কলেজ গভর্ণিংবডির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্রো, উখিয়া শিক্ষা একাডেমির সুপারভাইজার বদরুল আলম, উখিয়া টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়ুয়া, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ফরিদুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক শাহআলম, অধ্যাপক সবুজ শাহরিয়ার, প্রভাসক আমানত উল্লাহ সাকিব, সাবেক উপ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার, উখিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদুল আমিন টিপু, বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছেন উখিয়া কলেজের অধ্যাপক তহিদুল আলম তৌহিদ,

    এছাড়াও উখিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব এম ফজলুল করিম মহোদয়ের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠানের অতিথি মহোদয়ের সাথে পুষ্পিত অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কলেজ পরিচালনা কমিটি ও অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারি বৃন্দরা।

  • উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সু পরিচিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক বৃহত্তর সংগঠন, হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ এর উদ্যোগে সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়নের তিন তিন বারের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জনাব ইকবাল মেম্বার, মাওলানা সৈয়দ আকবর সাবেক মেম্বার, জনাব মাষ্টার ফজলুল করিম।

    প্রধান আলোচক
    মাওলানা আবুল বশার হেলালী, ঢাকা।
    মাওলানা আবুল ফজল সাহেব, সিনিয়র আরবী প্রভাষক রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা উখিয়া।

    সম্মানিত ধর্মপ্রাণ তৌহীদি জনতা- আসসালামু আলাইকুম।
    ২৩ শে জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ রবিবার হাজারো মানুষের প্রিয় সংগঠন হাতিমোরা ইসলামী শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ কতৃক আয়োজিত প্রতি বছরের ন্যয় এই বছরও ঐতিহাসিক সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল হাজার হাজার মুসলিম তৌহীদি জনতার উপস্থিতিতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে সফল হয়েছে।

    আমাদের সংগঠনকে দেশ বিদেশ থেকে যারা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন,যারা মাহফিলকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ, যারা দূর দূরান্ত থেকে কনে কনে শীতের মধ্যে আমাদের মাহফিলে এসে সুশৃঙ্খল ভাবে বয়ান শুনেছেন তাদেরকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই, সকলের সহযোগিতা দোয়া এবং ভালবাসায় ১০ তম সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল সম্পন্ন করতে পেরে আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের রহমে করম না থাকলে আমাদের এত দূর আসা সম্ভব হতনা, তাই আগামীতেও আমাদের সংগঠনকে সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি, যদি মাহফিলে এসে কোন প্রকার অসুবিধা বা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী, আগামীতে আপনাদের আরও মনের মত কোরআন সুন্নাহর আলোচনা উপহার দেওয়ার জন্য আমাদেরকে মতামত পেশ করতে পারেন, আপনাদের মতামত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    কৃতজ্ঞতা, মাওলানা আবুল বাশার হেলালী সাহেব, জনপ্রিয় নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ও
    ইকবাল বাহার মেম্বার, এবং যারা আমাদের সব ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা আপনাদের কে আমাদের সংগঠনের পক্ষে থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ, এবং আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য ও উপদেষ্টাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সফল হয়ে ধন্য মনে করি
    মহান রাব্বেকারীমের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি,,, আলহামদুলিল্লাহ।

  • বইমেলায় আসছে সাংবাদিক নুরুল আমিনের কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে

    বইমেলায় আসছে সাংবাদিক নুরুল আমিনের কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে

    সাহিদুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধিঃ

    ২০২০ সালের অমর একুশে বইমেলায় আসছে প্রথিতযশা লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি ও প্রাবন্ধিক মো. নুরুল আমিনের লেখা কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে’। বইটি প্রকাশ করছে বাডস প্রকাশনা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুহাম্মদ ইউছুফ। ‘পঁচিশ বসন্ত পরে’ নামে লেখকের আরেকটি কবিতার বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
    মো. নুরুল আমিন প্রথিতযশা একজন সাহিত্যিক। তিনি একাধারে লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি অসাধারণ প্রতিভার একজন আলোকিত মানুষ ও নিবেদিত প্রাণের একজন কলম সৈনিক। তার রয়েছে বহুমুখী প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার হাত রয়েছে।
    তিনি ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল লালমোহন পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড, বালুরচর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত তোফায়েল আহাম্মদ ও মাতা মৃত আম্বিয়া খাতুন অত্যন্ত ধার্মিক ও ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে মানবিক শাখায় লালমোহন হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে সরকারি শাহবাজপুর কলেজ থেকে এইচএসসিতে এক বিষয়ে লেটার পেয়ে প্রথম বিভাগে পাস করেন।
    ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি করেন। আবৃত্তি ও অভিনয় করতেন। তার প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন অঙ্গীকার নাট্যমীর পরিবেশনায় তার রচিত অনেক নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে। সাহিত্য চর্চায় তার দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পরিপক্বতা প্রশংসনীয়। তিনি জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও প্রতিকূলতার মধ্যেও লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন। তিনি নিবিড় মনে সাহিত্যচর্চা করেন। ‘কোনো এক বিকেলে’ কাব্যগ্রন্থ তার পঞ্চম প্রকাশনা। এর আগে তার লেখা প্রবন্ধ ও গল্পের বই ‘জেগে উঠি জাগিয়ে তুলি’, ‘জীবন জেগে থাকে’ কবিতার বই ‘ভালবাসা মরে না’ ও ‘প্রেয়সী’ প্রকাশিত হয়েছে।
    তিনি সমাজ হিতৈষী ও মানবতাবাদী একজন লেখক। তিনি তার লেখায় প্রাণময় তুলির টানে প্রেম-প্রকৃতি, বিরহ-যন্ত্রনা, জীবন-জীবিকা, সমাজ-সংস্কৃতি, অনিয়ম-অসঙ্গতি, পরিবেশ, দর্শন, শিক্ষা, সভ্যতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সমাজে বিরাজমান নানা রকম সমস্যা, সম্ভাবনা, অনিয়ম ও অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এবং এসবের প্রতিকার কামনা করেছেন।
    সাহিত্য জগতে দিগন্ত জয়ের চিরস্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি নিবেদিত প্রাণে কাজ করছেন। তিনি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।