Author: UkhiyaVoice24

  • সাংবাদিক ইমাম খাইরকে নি:শর্ত মুক্তির ও মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবীতে লোহাগাড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

    সাংবাদিক ইমাম খাইরকে নি:শর্ত মুক্তির ও মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবীতে লোহাগাড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ


    সাংবাদিক আবদুর রশিদঃ- নাইক্ষ্যংছড়ি, উপদেষ্টা,

    কক্সবাজারের সাংবাদিক ইমাম খাইরের মুক্তির দাবী ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে লোহাগাড়ায় মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লোহাগাড়া বটতলি মোটর স্টেশনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

    উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও পাঠাগার সম্পাদক আব্দুর রশিদ, লোহাগাড়া প্রেসক্লবের যু্গ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক পুষ্পেন চৌধুবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক খোকন সুশীল, সিপ্লাস টিভি প্রতিনিধি এরশাদ হোসাইন, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রায়হান সিকদার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মিনহাজ উদ্দন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লোহাগাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক রকসী সিকদার, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, ডা: কামাল, লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক মো. মারুফ, সাংবাদিক তুষার আহমদ চৌধুরী কাইছার, লোহাগাড়া সাংববাদিক ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরশাদ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমএএইচ রাব্বী, দপ্তর সম্পাদক মো. জমির উদ্দিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, এসএ টিভি প্রতিনিধি শাহজাদা মিনহাজ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লোহাগাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দেশপ্রিয় বড়ুয়া প্রমূখ।

    বক্তারা বলেন, গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদারকে গুলি করে হত্যা মামলায় মোবাইলের কল লিস্টকে কেন্দ্র করে সন্দেহজনক ভাবে কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ইমাম খাইরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।

    অনতিবিলম্বে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনারও আহবার জানান। একটি মানবন্ধনই আজ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত ৫ নভেম্বর গুলিবৃদ্ধ হন জহিরুল ইসলাম সিকদার ও কুদরত আলী। ৭ নভেম্বর চমেকে মারা যান জহিরুল ইসলাম সিকদার।

    কুদরত আলী বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে ৯ নভেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার মডেল থানায়। ওই মামলায় ১১ নভেম্বর সাংবাদিক ইমাম খাইরকে আটক দেখিয়য়েছেন একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

    বক্তারা আরো বলেন, একজন পেশাদার সাংবাদিক পেশাদারিত্বের কারণে সবার সাথে ফোনালাপ হতে পারে সেটা স্বাভাবিক। তবে পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা আটক করতে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বা জানানো দরকার।

    সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, একটি কল লিস্টকে কেন্দ্র করে আটক করার বিষয়টি সাংবাদিক সমাজ কখনো মেনে নিবে না। অবিলম্বে সাংবাদিক ইমাম খাইরের কল রেকর্ড বের করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে প্রত্যাহার ও মুক্তি দিতে হবে। যদি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিচারও হতে হবে।

    সাংবাদিক ইমাম খাইর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত কক্সবাজার৭১ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

  • করিতাস বাংলাদেশ BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে করইবনিয়া রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন

    করিতাস বাংলাদেশ BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে করইবনিয়া রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, 

    অদ্য ২৩ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে শুরু হয়
    কারিতাস বাংলাদেশের BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের করইবনিয়া আলী আকবর এর বাড়ি হইতে শুরু করে করইবনিয়া পুরাতন জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উক্ত রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধনকালে
    উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ডের দুই দুইবারের জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক, নবনির্বাচিত জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, কারিতাস বাংলাদেশ ইন্জিনিয়ার সুমন আহমেদ, মনেটরিং অফিসার শেমল আশাম, ফিল্ড সুপারভাইজার নুরুল আমিন, এছাড়া কারিতাস বাংলাদেশ ফিন্ড ভলান্টিয়ার সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কাজের সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এ রাস্তার চলমান কাজের প্রজেক্ট পেয়ে
    মেম্বার মহোদয় এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কারিতাস বাংলাদেশ এবং সকল দায়িত্বশীলদের কে আন্তরিক মোবারক জানান।

  • করিতাস বাংলাদেশ BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে করইবনিয়া রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন

    করিতাস বাংলাদেশ BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে করইবনিয়া রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন

    এইচ  এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, এডমিন।

    অদ্য ২৩ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে শুরু হয়। কারিতাস বাংলাদেশের BMZ Project (DRR) এর উদ্যোগে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের করইবনিয়া আলী আকবর এর বাড়ি হইতে শুরু করে করইবনিয়া পুরাতন জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উক্ত রাস্তার কাজ শুভ উদ্বোধনকালে
    উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ডের দুই দুইবারের জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক, নবনির্বাচিত জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, কারিতাস বাংলাদেশ ইন্জিনিয়ার সুমন আহমেদ, মনেটরিং অফিসার শেমল আশাম, ফিল্ড সুপারভাইজার নুরুল আমিন, এছাড়া কারিতাস বাংলাদেশ ফিন্ড ভলান্টিয়ার সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কাজের সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

    এ রাস্তার চলমান কাজের প্রজেক্ট পেয়ে
    মেম্বার মহোদয় এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কারিতাস বাংলাদেশ এবং সকল দায়িত্বশীলদের কে আন্তরিক মোবারক জানান।

  • দিনাজপুরের বিরামপুর মহিলা কলেজের ৩ সহকারী অধ্যাপক ১ অফিস সহকারীর বিদায়ী সংবর্ধনা

    দিনাজপুরের বিরামপুর মহিলা কলেজের ৩ সহকারী অধ্যাপক ১ অফিস সহকারীর বিদায়ী সংবর্ধনা

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর মহিলা কলেজের
    তিন জন সহকারী অধ্যাপক ও একজন অফিস সহকারী অবসর জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

    (২২ নভেম্বর) সোমবার বৈকাল ৩ ঘটিকায় বিরামপুর মহিলা কলেজের সভাকক্ষে শিক্ষক ও কর্মচারীদের আয়োজনে এ বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক মোকলেছুর রহমান (রসায়ন),আব্দুর রহিম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ও রফিকুল ইসলাম (ইসলামের ইতিহাস) এবং অফিস সহকারি মিজানুর রহমানকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়কালে সহকারি অধ্যাপকগণ তাদের বেদনা দায়ক স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেন ও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার,উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক,সহকারি অধ্যাপক দবিরুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক মসিহুর রহমান সহকারি অধ্যাপক ইকবালুর রহমান সহ অত্র কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

  • বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সাংবাদিকদের এগিয়ে যেতে হবে- টুঙ্গীপাড়ায় বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ

    বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সাংবাদিকদের এগিয়ে যেতে হবে- টুঙ্গীপাড়ায় বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ

    শরিফা বেগম শিউলীঃ-  রংপুর,

    টুঙ্গীপাড়ায় সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজি্বুর রহমানের আদর্শে উজ্জ্বীবিত হতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের অগ্রণী ভুমিকায় কাজ করতে হবে।

    দেশ ও গণমানুষের স্বার্থে সকল সাংবাদিককে কাজ করতে হবে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএমএমএফ দেশ ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে আসছে।

    সোমবার দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, জিয়ারত শেষে স্থানীয় বিএমএমএফ’র শাখা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। বিকেলে শেখ রাসেল পার্কে অনুষ্ঠিত জেলা/উপজেলার সাথে মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।

    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আলহাজ্জ্ব শহীদুল ইসলাম পাইলট উদ্বোধক হিসেবে সংগঠনের শাখা কার্যালয়ের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।

    এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচিব আহমেদ আবু জাফর।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: খায়ের হোসেন, শিবলী সাদিক খান, কাজী নোমান, মোনালিসা মৌ, বাগেরহাট জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান, পাবনা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় সদস্য খোকন আহম্মেদ হীরা, ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নেতা ফয়সাল আজম অপু, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ খায়রুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান মুরাদ, শরীয়তপুর জেলা সভাপতি ফারুক হোসেন মোল্লা, সম্পাদক বেলাল আহমেদ, টুঙ্গীপাড়া সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, পিরোজপুরের মো: নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ময়মনসিংহ সভাপতি সাইদুর রহমান বাবুল,পিরোজপুর ইন্দুরকানী শাখার সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। এতে ৬৪ জেলার প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৩ সালে মফস্বল সাংবাদিকদের কল্যাণে গড়ে ওঠা বিএমএসএফ আজ সারাদেশের সাংবাদিকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে। বিএমএসএফ’র আহবান সাংবাদিকদের কল্যাণে ১৪ দফা দাবি আদায়ে কাজ করতে চাইলে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে।

    আসন্ন ৫ম বিজয় শোভাযাত্রা পালন উপলক্ষে পহেলা ডিসেম্বর সকল জেলা/উপজেলায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুস্পস্তবক অর্পণের আহবান জানানো হয়।

  • বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে উখিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

    বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে উখিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

    ওমর ফারুকঃ- উখিয়া, 

    বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে উখিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পরে উখিয়া সদর স্টেশনে মিছিল করে উখিয়া উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

    এসময় উখিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম মোক্তার আহমদ, উখিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরী, সিঃসহ-সভাপতি জুহুর আহমদ চৌধুরীসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সম্প্রীতির সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি” এই স্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শেড এর আয়োজনে এবং কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় অদ্য ২২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে শুরু হয়ে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা শেডের সিনিয়র অফিসার মোঃ নাজিমুজ্জামান এর সঞ্চালনায় ও শেডের এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায় গঠিত রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব নুরুল কবির মেম্বারের সভাপতিত্বে শুরু হয়।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা পরিদর্শন ও উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বারের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মুহাম্মদ উমরাহ, শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব আব্দুল মান্নান, এজিডিআরআর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব আব্দুল মান্নান, কেয়ার বাংলাদেশের অফিস ম্যানেজার জনাব আব্দুস সালাম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা মিল্টন কুমার সাহা, উখিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইমদাদুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ।
    উল্লেখ্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মেলার স্টলে সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ শেড ও কেয়ার বাংলাদেশকে এ ধরণের আয়োজনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শেডের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ উমরাহ বলেন, “সমাজের সকল স্তরে আমরা যদি সম্প্রীতির বন্ধনকে জোড়ালো করতে পারি তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের দিকে আমরা অনেকাংশেই এগিয়ে যাব।”
    মেলায় প্রদর্শনী স্টলের পাশাপাশি এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
    রাজাপালং ইউনিয়নের সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় এর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

  • বাঁশখালী দারুল কারীম মাদরাসার এতিম ছাত্রদের জামা প্রদান করলেন-ফয়েজ বিন হাকিম

    বাঁশখালী দারুল কারীম মাদরাসার এতিম ছাত্রদের জামা প্রদান করলেন-ফয়েজ বিন হাকিম

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাঁশখালী জলদি দারুল কারীম মাদরাসার ০৫ জন এতিম ছাত্রকে ড্রেস উপহার দিলেন ব্যবসায়ী ফয়েজ বিন হাকিম ও মাহমুদা খানম দম্পতি।

    আজ (২২ নভেম্বর-২১) সোমবার সন্ধ্যায় তারা মাদরাসায় এসে মাদরাসার এতিম ছাত্র অলিমিয়ার দোকান এলাকার মৃত সৈয়দুল আলমের পুত্র রেজাউল করিম বাদশা, পুর্ব চাম্বল এলাকার মৃত ফোরকানের পুত্র মোহাম্মদ শাকিল, পুর্ব বড়ঘোনার মৃত শাহনেওয়াজের পুত্র ওয়াহিদুল ইসলাম তাসিম, পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত জহিরুল ইসলামের পুত্র নুরুল ইসলাম মানিক ও পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার এলাকার মৃত শামসুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ রোমানসহ ৫ ছাত্রকে নতুন ড্রেস (জুব্বা) উপহার দেন।

    এসময় তারা মাদরাসার পরিবেশ ও ছাত্রদের পড়ালেখা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। জনাব ফয়েজ বিন হাকিম ও তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মাদরাসার পুরুষ ও মহিলা শাখা পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী ফয়েজ বিন হাকিমের স্ত্রী মাহমুদা খানম মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সিরাজ ভেন্ডারের মেয়ে।

    সিরাজ ভেন্ডারের পুত্র মোহাম্মদ ফারুক সাহেবও দারুল কারীম মাদরাসার অন্যতম সহযোগী। আল্লাহ তাদের এই দান কবুল করার পাশাপাশি এই পরিবারকে সব সময় মসজিদ মাদরাসা, আলেম ওলামা দ্বীনের পক্ষে থাকার তৌফিক দান করুন, আমিন।

    #নোট:
    মাদরাসার সমস্যা সম্ভাবনা, সুখ দুঃখ এসব আপডেট দেয়ার কারণ হচ্ছে প্রথমতঃ যারা পাশে দাড়ান তাদের এবং অন্যদের উৎসাহিত করা। দ্বীতিয়তঃ যারা মাদরাসাকে ভাল বাসে তারা খুশি হতে আর যারা মাদরাসার উন্নতি অগ্রগতি সহ্য করতে পারেনা তাদের আরো খারাপ লাগতে তথা তাদের কষ্ট আরো বাড়াতে।

    কারণ হচ্ছে, মুমিনের প্রতিটি কাজ হচ্ছে আল্লাহকে খুশি করার পাশাপাশি শয়তান যাতে নারাজ হয় তার টার্গেট রাখা। আমি সেই কাজটিই করি।
    পরিচালকঃ
    সাংবাদিক,মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী,

  • ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

    কালের সুন্দর, স্নিগ্ধ ও মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি ইয়েমেন এখন ধ্বংসপুরী। বাতাসে বারুদের গন্ধ। জনগণের মাথার ওপরে ছাদ নেই। পেটে আহার নেই। পরনে ছিন্নবসন। রোগবালাই নিরাময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ইতালীয় ভাষায় ‘ইয়েমেন’ শব্দের অর্থ সুখী অথচ বর্তমানে দেশটি অসুখী দেশের তালিকার শীর্ষে। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাধীন আরব দেশ ইয়েমেন। এটি রিপাবলিক অব ইয়েমেন নামে পরিচিত। ক্ষমতার লড়াই, শিয়া-সুন্নি দ্ব›দ্ব, তেল বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নির্মম বলি ইয়েমেনের তিন কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের প্রয়োজন মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ। দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ২০ লাখ শিশু খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। সেভ দ্য চিলড্রেন প্রদত্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    বিংশ শতাব্দীর শেষে খনিজ তেল আবিষ্কার হলে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রতি মাসে ইয়েমেন থেকে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল নিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এমন অভিযোগ করেছে ইয়েমেনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্মার আল-আজরায়ি। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেন থেকে তেল ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক বক্তৃতায় জাতিসঙ্ঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেন, ইয়েমেনে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে মানবিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। কয়েক মাস আগে নতুন করে আরো ৩০ লাখ মানুষ মানবিক সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ নেই। ফলে ৪০ লাখ লোককে খাদ্য সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছর শেষে এ সংখ্যা গিয়ে ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে। চলমান যুদ্ধ, ব্যাপক দরিদ্রতা, কর্মসংস্থানের অভাব ও আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় ২০২২ সালে ইয়েমেনের সঙ্কট বৃদ্ধি পেতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনকে ২০২১ সালে চরম মানবিক বিপর্যয়ের দেশের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।

    ইয়েমেনের তিন হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের পরিসংখ্যান মতে, বিগত ছয় বছরে এক লাখের বেশি মানুষ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি ২০২১ সালে ১০টি মানবিকভাবে বিপর্যস্ত দেশের তালিকা করেছে। তাতে শীর্ষে আছে ইয়েমেন। অপরাপর দেশগুলো হলো যথাক্রমে – আফগানিস্তান, সিরিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও মোজাম্বিক।

    ‘আরব বসন্ত’ দিয়ে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাব্বুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হলো। যেমন – আলকায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সালেহর প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্যসঙ্কট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইদি শিয়া সম্প্রদায় নেতৃত্বের হাছি আন্দোলনের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিও তাদের সমর্থন জোগায়। এরপর ২০১৪ সালে বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। হাউছি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে আবার ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ এক জোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব (বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০১৮)। আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি আরব ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনকে জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ করে দেশটির ওপর ভয়াবহ সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

    ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হাউছি বিদ্রোহীরা (বাংলা ট্রিবিউন, ২৯ অক্টোবর ২০২১)। ইয়েমেন থেকে হাউছি বিদ্রোহীদের ছুড়ে মারা মর্টার, ড্রোন ও মিসাইল রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে প্রতিনিয়ত। গত মার্চ মাসে সৌদি রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি ‘আরামকো’র বৃহৎ একটি শোধনাগারে ছয়টি ড্রোন দিয়ে আবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকায় ইয়েমেনে আলকায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বেশ সক্রিয়। এখানে ঘাঁটি বানিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইয়েমেনের এ সঙ্কটকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কৌশলগতভাবে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এডেন উপসাগর দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে। জাতিসঙ্ঘের তিনটি সংস্থা একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ছয় বছরের যুদ্ধে উভয় পক্ষ ব্যাপক বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক স্পট রয়েছে ইয়েমেনে। এর মধ্যে এর রাজধানী সানা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সানা বিশ্বের অন্যতম প্রচীন শহরগুলোর একটি। ইউনেস্কো এটিকে World Heritage of Mankind বলে ঘোষণা করেছে। এখানে প্রাচীনকালে ইটের তৈরি বহুতল ভবন সর্বত্র দৃষ্টিগোচর হয়। ইয়েমেনিরা শহর, সড়ক, দুর্গ ও বাঁধ নির্মাণে ছিলেন বেশ পারঙ্গম। রাব আল খালি মরুভ‚মির প্রান্তে অবস্থিত মারিব শহর ছিল শেবার রানী বিলকিসের সাম্রাজ্যের রাজধানী। এখানে ৩০০০ বছর আগে নির্মিত বাঁধ অবশিষ্ট আছে। ইয়েমেন আগে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এদের রাজধানীগুলো দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটিতেই সেই আমলের বিশেষ নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে লোহিত সাগরের সৈকত সন্নিহিত আল-মুখা শহর কফির জন্য ছিল বিখ্যাত। বস্ত্রশিল্প, ধুনো ও বৃক্ষগন্ধরস দেশটির জনগণ ও ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মুহাম্মদ সা: ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে হজরত আলী রা:-কে ইয়েমেন প্রেরণ করেন এবং মহানবী সা:-এর জীবদ্দশায় তাইজের নিকটবর্তী জানাদে ও সানাতে মসজিদ নির্মিত হয়। ইসলামী যুগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো অনেক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানে ইয়েমেন পূর্ণ ও ঋদ্ধ। প্রমিত আরবি উচ্চারণের জন্য ইয়েমেনের প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত। ইয়েমেনে ৬৫ শতাংশ মানুষ সুন্নি ও ৩৫ শতাংশ শিয়া। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রা: ও খ্যাতনামা তাবেঈ হজরত ওয়ায়েস করনি রহ: ছিলেন ইয়েমেনের বাসিন্দা। মহানবী সা: ইয়েমেনকে ভালোবাসতেন; কারণ তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ইয়েমেনি। মহানবী সা: বলেন, ঈমান ইয়েমেনিদের মধ্যে আর আমিও ইয়েমেনি। দাওয়াত ও জিহাদে ইয়েমেনবাসীরা মহানবী সা:-কে সব সময় সহায়তা করেন। হজরত মুয়াজ ইবন জাবাল রা:কে মহানবী সা: ইয়েমেনের গর্ভনর নিয়োগ করেছিলেন। তিনি জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসে অমর কীর্তি রেখে গেছেন। সম্পদের সুষম বণ্টনের কারণে সে সময় ইয়েমেনে জাকাতগ্রহীতা পাওয়া যায়নি। ফলে হজরত উমর রা:-এর শাসনামলে উদ্বৃত্ত রাজস্ব মদিনার কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। ইয়েমেনে আসওয়াদ আনসি নামে এক ভণ্ডনবীর আবির্ভাব হলে ইয়েমেনিরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ফাইরোজ নামে এক ব্যক্তির হাতে ভণ্ডনবী নিহত হন।

    দায়িত্ব গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দেন, ছয় বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি আরব যে লড়াই চালাচ্ছে, আমেরিকা সেই লড়াইয়ে সৌদিকে আর সাহায্য করবে না; বরং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে কিভাবে মীমাংসাসূত্র তৈরি করা যায়, আমেরিকা সে চেষ্টাই চালাবে। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই আর সৌদি রাষ্ট্রকে যুদ্ধে মদদ দেয়া হবে না। বরং ইয়েমেনে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে। তবে এর ফলে সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ৯ মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়। বিগত চার নভেম্বর এক চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের কাছে মধ্যপাল্লার এআইএম-১২০সি-৭/সি-৮ মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। বিশেষ এসব ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর বলছে, ‘গত বেশ কয়েক বছরে সৌদি আরবে আন্তঃসীমান্ত হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। ফলে দেশটিতে থাকা মার্কিন বাহিনী ও ৭০ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক ঝুঁকিতে পড়েছেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র আন্তঃসীমান্ত হামলা থেকে সৌদিকে নিরাপদে রাখতে সহায়তা করবে’ (ডয়েচে ভেলে, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২১; আরটিভি নিউজ, ৫ নভেম্বর, ২০২১)। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিমালা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই অস্ত্র বিক্রি গুরুত্বপূর্ণ। অস্ত্রবাণিজ্য, তেললুণ্ঠন, ভ‚রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে ইয়েমেন-সৌদি সঙ্ঘাত টিকিয়ে রাখতে চায় ক্ষমতাধর দেশগুলো। এসব ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে।

    এ দিকে ইরান তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মুহাম্মদ আল-দাইলামির সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী আসগর খাজি ১৭ অক্টোবর তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উল্লেখ করেন, চলমান সঙ্ঘাত যুদ্ধবিরতি ও সঙ্কটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করবে। যেকোনো রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই বিদেশী হস্তক্ষেপমুক্ত এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। সৌদি আরব ও ইরান দুটি বৈরী দেশ। সিরিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত একাধিক আঞ্চলিক ইস্যুতে প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে আছে দেশ দুটি। ২০১৬ সাল থেকে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সৌদি আরবে এক শিয়া ধর্মগুরুর ফাঁসি কার্যকর করার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর প্রতিবাদে ইরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরই মধ্যে বাদশাহ সালমান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ইঙ্গিতে কয়েক দফা গোপন বৈঠক হয়েছে তৃতীয় দেশে। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘ইরান নিয়ে জটিল পরিস্থিতি আমরা চাই না। আমরা ইরানের উন্নতি চাই, যা এ অঞ্চল ও বিশ্বকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।’ তেহরানের ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সমাধান খুঁজতে রিয়াদ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে কাজ করছে’ (বিবিসি, ২৯ এপ্রিল, ২০২১)। শান্তি ও সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ অনেক সময় অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ মানে বিপর্যয়। যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর ক্রন্দনরোল। সৌদি আরব, ইরান ও ইয়েমেনের নীতিনির্ধারকরা উদার মন নিয়ে এগিয়ে এলে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। যেকোনো প্রস্তাব, আলোচনা ও পদক্ষেপে ইয়েমেনের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। নইলে আগামী দিনে সৌদি আরব ও ইয়েমেন ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতার দাবানল ছড়াবে।

    লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
    drkhalid09@gmail.com

  • পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে দুইজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে দুইজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি,

    ২১ নভেম্বর ২০২১খ্রিঃ রাত অনুমান ৮ ঘটিকার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশের একটি চৌকষ টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী মোড়, মসজিদ মার্কেট এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী ০১ মোঃ মিজানুর রহমান (২১), পিতা-জয়নাল আবেদিন, সাং -পাহাড়ীয়াখালী, (২ নং ওয়ার্ড), বারবাকিয়া, ২ মোঃ মোর্শেদ (২০), পিতা-আবুল বশর, সাং-কাচারিমোড়া, (১নং ওয়ার্ড), শিলখালী, উভয় থানা- পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার দ্বয়ের হেফাজত হতে ১ টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।