Author: UkhiyaVoice24

  • উখিয়া উপজেলা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়

    উখিয়া উপজেলা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, কক্সবাজার।

    অদ্য ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ শনিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিনের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উক্ত শুভ উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জনাব নুরুল হক খানসহ এছাড়াও ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিস কম্পিউটার এডিটর ও কর্মচারি বৃন্দ।

  • সাবরাংয়ে ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা

    সাবরাংয়ে ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা

    বিশেষ প্রতিবেদক ::

    কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ২নং ওয়ার্ড কোয়াইছড়ি পাড়া এলাকায় সাবরাং মৌজার ৩১১নং খতিয়ানের দীর্ঘ ৫০বছরের ভোগ দখলীয় জমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল কাগজপত্র নিয়ে জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে
    একই ইউনিয়নের মৃত্যু আব্দুস সালামের পুত্র
    নুরুল ইসলাম কালু,হোছাইন আহমদ,
    লাইলা বেগম,শাহা জাহান বেগমের বিরুদ্ধে।
    উক্ত জমির ওয়ারিশ শামশুল আলম সাবেক ইউপি সদস্য জানান,আমার মরহুম আব্বা ১একর ৭৩ শতক জমি আমার বড় ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রিকৃত করে দেয়।সে ১৯৭৩ সাল থেকে আজ অবদী দীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আমরা ভোগ দখল করে আসছি,
    আমাদের সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
    কিন্তু একটি কুচক্রী মহল ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে আমাদের এই পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান,সাবরাং মৌজার ৩১১
    নং খতিয়ানের
    ২৩৪১৫/২৩৪১৬/২৩৪১৭/২৩৪১৮/২৩৪৮১
    নং দাগের ১একর ৭৩ শতক জমি রয়েছে।
    এতে নাল জমি,বসত ভিটা,পানের বরজ ও ঘরবাড়ি রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ জমি পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ভোগ দখল করে আসছি।বিগত কয়েক বছর থেকে একটি দালাল চক্র অন‍্য মৌজার লোকের নাম মিল আছে বলে প্রভাব খাটিয়ে
    জাল কাগজপত্র সৃজন করে আমাদের এই জমি অবৈধভাবে বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
    তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরও কি কারণে এই জমি দখল করতে আসে আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী,ডিসি,স্থানীয় সকল প্রশাসন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,এসি ল‍্যান্ড
    সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে ন‍্যায় বিচার দাবী জানান এই অসহায় সকল ওয়ারিশগণ।

  • রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    নিউজ ডেস্ক

    কক্সবাজার জেলার রামুর সর্ববৃহৎ বালিকা বিদ্যালয় রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক( এডিবি) প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন।
    বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই পরিদর্শক দল রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
    পরিদর্শক টিম বিদ্যালয়ে পৌঁছালে স্কুলের ছাত্রীগণ গানের তালে তালে পরিদর্শক টিমদের বরণ করে নেন।
    স্কুলের ছাত্রীরা এসময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
    পরে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেন ও বিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন। এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজনীন সরওয়ার কাবেরি বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পাওয়ার অনুরোধ জানান।
    পরিদর্শনকালে মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন।
    প্রধান শিক্ষক এম জয়নাল আবেদীন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজনীন স্যারের কাবেরী বিগত অর্থ বছরের এডিবি বরাদ্দকৃত বাজেটের তদারকি করেন।

    মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিদ্যালয়ে এসে, বিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে বেশ ভাল লেগেছে। স্কুলের যেসব সমস্যা রয়েছে তা ক্রমান্নয়ে সমাধান করা হবে।
    এবং এই স্কুল থেকে যে সকল শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

    এসময় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের মিশন লিডার শামসুল আরেফিন,মাউশি অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক ডঃ শামসুন নাহার উপপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপ পরিচালক ডঃ মোঃ আতাউর রহমান, মাধ্যমিক স্কুলের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক গোলাম গাজী মওলা, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী সদস্য তানভির সরওয়ার রানা, দাতা সদস্য ইউনুস রানা, সাংবাদিক মোঃ নেজাম উদ্দিন,ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।

  • জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

    জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার হইতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ দিন দিন ব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুরুল হুদা, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব মৃনাল বড়ুয়া, ইউপি সদস্য জনাব ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, রাজাপালং ইউপি উদ্যোক্তা ওসমান সরওয়ার, গ্রাম পুলিশ জনাব নুর মোহাম্মদ, ইউপি দফদার আব্দুল হক আকাশ, ইউপি সচিব সহকারী জনাব আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ হোছাইন, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মনজুর আলম, ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলম খাঁন, ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব ছৈয়দুল্লাহ, ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সদস্যা বৃন্দসহ উপজেলার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার উন্নয়নে উদ্ভাবনে জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস ” উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ১ম স্থানের পুরুষ্কার পেলেন এলজিইডি, ২য় স্থান পুরুষ্কার পেলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল উপজেলা, ৩য় স্থান অধিকার লাভ ও পুরুষ্কার পেলেন উখিয়া সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ।

  • উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২৩ খ্রিঃ সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: নিজাম উদ্দিন এর নির্দেশনায় অত্র উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন, আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে আমন ধানের জমিতে পোকার উপস্থিতি নিরুপণ করা হয়, এভাবে পোকার ধরন নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ এলাকার কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন, কৃষক এই প্রযুক্তি দেখে ক্ষতিকর পোকা চিনতে পারছেন এবং সঠিক পরামর্শ পেয়ে পোকা দমন করতে তাদের সহজতর হচ্ছে, এছাড়াও আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে ফসলের পোকা দমন করা যায়, কৃষকরা নিজেরাও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।

  • জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    ডেস্ক রিপোর্ট।

    আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ আন্তর্জাতিক মানের একটি দীনী শিক্ষালয়। ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষা ও ছাত্রদের উন্নত চরিত্র গঠনে জামিয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয় ও ঈর্ষণীয়।

    কুতবে যামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহ. ১৩৫৮ হিজরী সালে নিষ্ঠা ও এখলাছের উপর ভিত্তি করে ‘জমীরিয়া কাসেমুল উলূম’ নামে এটির ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনিই মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩৭৭ হিজরী সনে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে তিনি নিজেই হযরত আল্লামা আলহাজ্ব শাহ মুহাম্মদ ইউনুছ (হাজী সাহেব হুজুর) রহ.-এর নিকট মাদরাসা পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও নিজ দূরদর্শী কর্মতৎপরতার মাধ্যমে মাদরাসাটিকে পরিণত করলেন বৃহত্তর জামিয়ায়। ১৪১২ হিজরী সালে তিনি তাঁর প্রভুর দরবারে গমন করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর এ গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় হযরত আল্লামা শায়খ হারুন ইসলামাবাদী রহ. এর উপর। তাঁর জ্ঞান ও প্রতিভা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির নতুন ধারা সূচিত হয়। ১৪২৪ হিজরী সালে তাঁর ইন্তেকালের পর আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম সাহেব রহ.-এর নিকট অর্পিত হয় জামিয়া পরিচালনার মহান দায়িত্ব। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার দিকে লক্ষ্য করে ১৪২৯ হিজরী সনে তিনি নিজেই মজলিসে শোরার মাধ্যমে বিশিষ্ট ইসলামী বুদ্ধিজীবি, হাকীমুল ইসলাম আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (রহ.)-এর হাতে সোপর্দ করেন এ গুরুদায়িত্ব।

    তিনি ২০২০ সালে প্রথমতঃ মজলিসে আমেলার; অতঃপর মজলিসে শোরার মাধ্যমে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফি.)-কে নায়েবে মুহতামিম মনোনিত করেন এবং তাঁর মাধ্যমে দীর্ঘ দুই বছর যাবত জামিয়ার আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়াদির আঞ্জাম দিয়ে যান। বিগত ২২ শে জুন ২০২২ সালে আল্লামা বোখারী (রহ.) ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালের পর জামিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রথমতঃ তিনি ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হন, অতঃপর ৭ই জুলাই ২০২২ ইংরেজী তারিখের মজলিসে শোরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে তাঁর হাতে মুহতামিমের এই গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়।

    বর্তমানে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফিজাহুল্লাহ) এর সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলছে। তিনি তাঁর চিন্তা ও চেষ্টা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞা, মনোবল ও তাকওয়া দ্বারা জামিয়াকে শিক্ষা-দীক্ষায় বহুমুখী উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সুন্দর ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সুদৃঢ়করণ, আর্থিক খাতের উন্নতি সাধন ও দেশব্যাপী সুনাম অর্জনে এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।

    আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযা (হাফি.) মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তিনি জামিয়া পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যৎকে বর্ণিল করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু ও সুদক্ষ পরিচালনায় জামিয়া পটিয়ায় বহুমুখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সফলতার একটি বড় রহস্য হলো, তিনি যে কোন কাজে ‘মজলিসে এন্তেজামিয়া’ ও ‘মজলিসে ইলমির’ পরামর্শক্রমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
    তাই তাঁর হাতে সুচিত হচ্ছে জামিয়ার গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সিলসিলা। জামিয়া এখন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা জগতে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, একটি মহল জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জামিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন ধরে অনলাইন/ অফলাইনে স্বার্থপরতার বশীভূত হয়ে জামিয়ার সম্মানিত মুহতামিম সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অবাস্তাব ও ভিত্তিহীন লিফলেট প্রকাশ করছে।
    তাতে জামিয়ার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং হিতাকাঙ্খীদের মাঝে জামিয়া সম্পর্কে সন্দেহ ও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি পরিচয় গোপন করে ফেকআইডি ব্যবহার করে জামিয়া সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। এসবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোন যৌক্তিক ও নৈতিক ভিত্তি নেই।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন এমন অপপ্রচার দ্বারা আমরা মজলিসে ইলমির সকল সদস্য চরমভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। তাই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জামিয়া প্রধানের নিকট সুপারিশ করছি।
    প্রয়োজনে দেশীয় আইনে এসব নোংরামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি।

    মজলিসে ইলমির সদস্যগণের নাম ও স্বাক্ষর

    ১.আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ দা.বা.
    মহাপরিচালক- অত্র জামিয়া
    ২. হযরতুল আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদুল্লাহ দা.বা.
    শাইখুল হাদিস – অত্র জামিয়া
    ৩. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আমীনুল হক দা.বা.
    সদরে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৪. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আবু তাহের নদভী দা.বা.
    নায়েবে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৫. হযরতুল আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দিন সাহেব দা.বা.
    নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া
    ৬. হযরতুল আল্লামা মাওলানা যাকারিয়া আজহারী দা.বা.
    সহকারি নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া

  • উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ উপলক্ষে অদ্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজন করা হয়।

    উক্ত জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমরুল কায়েস চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব মৃনাল বড়ুয়া, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, রাজাপালং ইউপি উদ্যোক্তা ওসমান সরওয়ার, ইউপি দফদার আব্দুল হক, ইউপি সচিব সহকারী জনাব আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ হোছাইন, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মনজুর আলম, ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলীসহ উপজেলার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীরা দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকারের পতন হওয়া উচিত। আগামীতে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরো ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পরবে। কাজেই দেশের জন্যই সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে গেছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। প্রশাসনের সর্বত্র একচ্ছত্র দলীয়করণ চলছে।

    আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব, রাষ্ট্রের সকল স্তর দুর্নীতিমুক্ত করন, দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অশ্লীলতা বেহায়াপনামুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী গড়ে তোলা, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত কক্সবাজার শহর বিনির্মাণ, কক্সবাজারকে মাদক, সন্ত্রাসী, চুরাকারবারী ও ইয়াবা মুক্তকরণের দাবীতে এ বিশাল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব আল মুহাম্মাদ ইকবাল, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আল্লামা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক। জেলা উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ আমিন, মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আলজাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টর, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, মুহাম্মদ জুনাইদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
    কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম ও জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রভাষক রাশেদ আনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি, স্বস্তি ও নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের দাবি হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। তাই অনতিবিলম্বে জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে মজলুম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।

  • জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গুনেধরা রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজন মহানবীর সীরাতের বাস্তবায়ন। সমাজে বিদ্যমান, অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুনসহ সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ জুলুমের শিকার হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না, সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের পকেট কাটা হবে না। রাতারাতি কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনবে না।

    তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। দেশ-বিদেশের কোথাও তাদের ঠাই হয়নি।

    অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সীরাত সম্মেলনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, সীরাত ক্যাম্পেইন, বিশ্বজয়ী হাফেজ কারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত একথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গণমানুষের উপচেপড়া ভীর ও সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করি। অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারের অধীনেই আগামি নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে এদেশের মানুষ দেবে না। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি আসবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করতে বদ্ধপরিকর।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা কারী মাসউদুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, হাফেজ মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ, মাওলানা আল আমীন সোহাগ, মুফতী আমির হোসাইন, মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াস প্রমুখ।

  • রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হলেন মর্জিয়া বেগম।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হলেন মর্জিয়া বেগম।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মর্জিয়া বেগম রামু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। কৃতি শিক্ষক মর্জিয়া বেগমের সার্বিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে বিচারকমন্ডলী তাকে মহিলা ক্যাটাগরিতে জাতীয় শিক্ষা পদক ২০২৩ এর জন্য শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসাবে মনোনীত হলেন।

    মেধাবী ও কর্মপাগল মর্জিয়া বেগম হচ্ছেন-আবুল হোসেন ও রশিদা বেগম এর কন্যা। তিনি বিবিএস (অনার্স) সহ প্রথম শ্রেণিতে এমবিএস পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ডিপিএড, বিএড, এমএড করেছেন কৃতিত্বের সাথে।

    সফল শিক্ষক মর্জিয়া বেগম উপজেলা পর্যায়ে মহিলা ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসাবে মনোনীত হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে এজন্য তিনি রামু’র উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু শামীম, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আজিজুল হক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু নছর মোঃ হাছান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জুরি বোর্ডের সকল সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। যাঁরা তাঁকে সবসময় সাহস যুগিয়েছেন, সঠিক ও যথার্থ নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর দায়িত্বশীলতা, নিষ্ঠা ও শ্রমকে মূল্যায়ন করেছেন। মর্জিয়া বেগম তার সহকর্মীদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। যাঁরা সবসময় তাঁর পথ চলায় পাশে থেকেছেন, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

    অদম্য ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন মর্জিয়া বেগম বলেন, এ অর্জন আমাকে প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ করেছে। আরো এগিয়ে যেতে পথ দেখিয়েছে।

    ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ে আরো বৃহত্তর পরিসরে সফলতা অর্জনে মর্জিয়া বেগম মহান আল্লাহর অসীম রহমত, সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া, আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেন।