Author: UkhiyaVoice24

  • ৩ নভেম্বর জেলহত্যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে, সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও কলঙ্ক জনক হত্যাকান্ড- জাফর বিএ এমপি

    ৩ নভেম্বর জেলহত্যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে, সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও কলঙ্ক জনক হত্যাকান্ড- জাফর বিএ এমপি

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    এখনও রক্তদানের ইতিহাস বন্ধক রাখি তোমাদের কাছে,
    এখনও তেসরা নভেম্বর মানে অনাপোষী সূর্যেরা বুলেটেই বাঁচে।

    আজ জেলহত্যা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়।

    ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

    মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান এই জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিলো।

    ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিলো সমগ্র বিশ্ব। কারাগারে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

    জেলহত্যার পর ২১ বছর পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তৎকালীন শাসকগণ নির্লজ্জের মত বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জেলহত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে। হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়৷ ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এ মামলার রায়ে আসামী তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন৷ ২০০৮ সালে হাইকোর্ট রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেন৷ এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকেও খালাস দেয়া হয়৷ কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ রায়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া তিন জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে৷

    প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থ’নি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনায় জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

    পরিকল্পনাটি এমন ভাবে নেয়া হয়েছিলো পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনী কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন।

    এ কাজের জন্য তারা আগে ভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন।
    ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিলো লন্ডনে।

    এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।

    তবে সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। সে সময়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

    বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এদেশে যেন কোনদিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই ষড়যন্ত্র থেকেই নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে এই হত্যাকাণ্ড তারা সংগঠিত করে।

    ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিলো বাঙালিকে নেতৃত্ব শূন্য করে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানের পদানত করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া।

    এ কারণে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে আটক করে রাখার পর যে চার নেতা বঙ্গবন্ধুর হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন সেই চার নেতাকেও বঙ্গবন্ধুর মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে জেলহত্যা দিবস। এই লজ্জা, এই গ্লানি, এই বেদনা মোছার নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও শহীদ চার জাতীয় নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

  • পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার

    পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১ কেজি ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার পেকুয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১ কেজি ৬০ (ষাট) গ্রাম গাঁজাসহ একজন মাদক কারবারী গ্রেফতার।

    অদ্য ২ নভেম্বর ২০২১খ্রিঃ মঙ্গলবার রাত অনুমান ১২.১০ ঘটিকার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশের একটি চৌকষ টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে পেকুয়া থানাধীন টৈইটং এলাকা হতে গ্রেফতারকৃত আসামী

    ০১। আব্দুল খালেক (৩৪), পিতা-সিদ্দিক আহমদ, সাং- নতুনপাড়া, থানা- পেকুয়া, জেলা- কক্সবাজার এর হেফাজত হতে ১ (এক) কেজি ৬০ (ষাট) গ্রাম গাঁজা উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • বিরামপুরে ২০২১সালের এসএসসিপরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

    বিরামপুরে ২০২১সালের এসএসসিপরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    আজ ১লা নভেম্বর (সোমবর) অত্র বিদ্যালয়ে দুপুর ১টাই ২০২১সালের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনঅত্র বিদ্যালয়ে সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজু,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান ও উপজেলাস্বেচ্ছাসেব লীগের আহবায়ক মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম বানু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি নাডু গোপাল কুন্ডু আওয়ামীলীগযুগ্ম সম্পাদক গোলজার হোসেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সা;গঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরআলম, প্রধান শিক্ষক মোঃ আরমান হোসেন বলেন এই বিদ্যালয়ে মোট সাধারণ, বিজ্ঞান ,মানবিক বিভাগে , ২০১জন শিক্ষার্থী । উপস্থিত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন ।

  • বিরামপুরে নারী কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

    বিরামপুরে নারী কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করার দাবিতে সুইস হেলভেটাস ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং ডেমক্রেসিওয়াচ অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিরামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম মানববন্ধন করেছে।

    বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১০টায় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি উম্মে কুলছুম বানু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন, একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক এহছানুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম নূরা, ডেমক্রেসিওয়াচ এর বিরামপুর উপজেলা সমন্বয়কারী আরিফা খাতুন ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত ও নির্বাচনে আগ্রহী নারী প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

  • বিরামপুরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় যুব দিবস পালিত

    বিরামপুরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় যুব দিবস পালিত

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে “দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে সোমবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে।

    দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম বানু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ‍্যামল কুমার রায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, সফল আত্মকর্মী মনোহর বাদশা, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম প্রমূখ।

    আলোচনা সভা শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১০জনকে যুব ঋণের চেক বিতরণ ও একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

  • চট্টগ্রাম নগরির বেহাল সড়কগুলোে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই-সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

    চট্টগ্রাম নগরির বেহাল সড়কগুলোে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই-সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    নগরীর বেহাল সড়কগুলোকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই।

    এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত ও সক্রিয় রাখা হয়েছে।
    শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাইকার অর্থায়নে অ্যাসপল্ট প্লান্টের মাধ্যমে মাঝির ঘাট রোড, স্ট্রান্ড রোড এবং পিসি রোডের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে।

    আইস ফ্যাক্টরি রোডে নালার রিটেনিং ওয়ালের কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। তবে এখন আর সেখানে সমস্যা নাই। রোডটিতেও কার্পেটিং কাজ চলছে। এই কাজগুলো ডিসেম্বরে শেষ হবে।

    মেহেদীবাগ রোড, হালিশহর আনন্দ বাজার রোড, আবদুল লতিফ রোড, কে বি আমান আলী রোডের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যান্য সড়কেও প্যাঁচওয়ার্ক কাজ চলামান রয়েছে।

    এসব কাজ তদারকী ও মান যাচাইয়ের জন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নষ্ট হয়েছে।

    এসব সড়ক যান ও সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপযোগিতা হারিয়েছে। সড়কগুলোতে আপাতত খানা-খন্দক ভরাট করে কিছুটা যান চলাচল উপযোগী করা হলেও বর্ষার কারণে এতদিন স্থায়ী সমাধানে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

    শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই সুযোগ এসেছে বর্ষণসহ নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার। তাই আমরা আমাদের প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে নিয়োজিত রেখেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কের কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। সেটা অস্বীকার করার উপায় নাই। সড়কের বেহাল দশার জন্য মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় ও স্বাভাবিক নাগরিক জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে।

    পরিস্থিতি উত্তোরণে সাময়িক সংস্কার করা হলেও অতি বর্ষণের কারণে স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না। তবে নানা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেহাল সড়ক সংস্কার, মেরামত ও স্বাভাবিক স্তরে উন্নীতকরণে স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবং সেই ভাবেই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। যার সুফল আগামী ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।

  • Untitled post 3762

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে এখন নড়াচড়া করছেন।

    রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকিবের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান। তিনি বলেন, শক্ত কিছুর আঘাতে আকিবের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল।

    অস্ত্রোপচার করে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনও তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকিবের বাবা গোলাম ফারুক বলেন, আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

    মেডিকেলের ছাত্রদের আমি বলবো, তারা যেন রাজনীতির নামে নিজেরা মারামারি না করে। এর আগে চিকিৎসাধীন আকিবের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    ওই ছবিতে আকিবের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায় এবং ওই ব্যান্ডেজের ওপর লেখা- ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’

  • চট্টগ্রাম তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্সে নবনির্মিত জামে মসজিদ পরিদর্শনে-দুদক পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন

    চট্টগ্রাম তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্সে নবনির্মিত জামে মসজিদ পরিদর্শনে-দুদক পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গতকাল 30 -10- 2021 ইং নগরীর তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খুলশী থানায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসায় নবনির্মিত তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স জামে মসজিদ পরিদর্শনে এসেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন ।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান।

    অতিথিদ্বয় তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেব এর সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে নবনির্মিত জামে মসজিদ এবং মাদরাসার পড়ালেখার পরিবেশ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে শত শত হাফেজে কুরআন শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁরা পবিত্র এশার নামাজ আদায় করেন।

    এশার নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লিগণ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে সংক্ষিপ্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্থতা ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করে দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয় ।

    বিশেষত; দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্যারের আম্মার মৃত্যুতে কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাঁর মরহুমা আম্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সূরা ফাতিহা পাঠ, সুরা ইখলাছ পাঠ করে বিশেষ দোয়া-মুনাজাত করা হয়।

    মুনাজাতের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অতিথিদ্বয় বলেন, বহুমুখী দ্বীনি খেদমতে নিরলস অবদান রেখে চলেছেন ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম।

    তাঁরা কমপ্লেক্সের দ্বীনি খেদমত সমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মহোদয় কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান । ভবিষ্যতে ও কমপ্লেক্সের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকার অভিপ্রায় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    পরিশেষে, তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ও সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।

  • বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর), 

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বেলখুরিয়া গ্রামের রমজান আলী ও হোসনে আরার মেয়ে রোমানা খাতুন (১৩) থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। মিতা-মাতা অর্থভাবে তার অপারেশন করাতে না
    পারায় ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে রোমানা।

    বিরামপুর হাসপাতালের বেডে অসুস্থ্য রোমানা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চায়; সে জানিয়েছে বাঁচার আকুতি।রোমানার পিতা-মাতা জানান, জন্মের কয়েক বছর পর থেকে সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। এতে তাদির সংসারের সব অর্থ কড়ি খরচ করে ফেলেছেন। সর্বশান্ত পরিবার নরুপায় হয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিকট ধার-দেনা করেও চিকিৎসা করিয়েছেন।

    তাতেও সুফল মিলেনি। অবশেষে চিকিৎসকরা রোমানার বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের বাইরে এই অপারেশন করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

    বিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আলী হোসেন বলেন, বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া রোমানার সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। যতদিন অপারেশন করা হবেনা ততদিন প্রতিমাসে বাহির থেকে
    রোমানার শরীরে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আবার বেশিদিন ধরের্ ক্ত দিতে পেলে তার লিভারের সমস্যা হতে পারে।এই বহুমূখী সমস্যায় সর্বশান্ত রোমানার পিতা-মাতা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেয়ের জীবন বাঁচাতে তাঁরা সর্বস্তরের
    মানুষের নিকট অর্থ সাহায্য চেয়ে মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : বিকাশ-
    ০১৭৮১৮১৫৯৩৩, সঞ্চয়ী হিসাব নং
    ৩৫২৬৩১,রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ডাঙ্গাপাড়া শাখা, দিনাজপুর।

  • চবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত পত্র ও পরীক্ষা উপকরণ বিতরণ

    চবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত পত্র ও পরীক্ষা উপকরণ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক ১ম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষা উপকরণ ও দাওয়াত পত্র বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়।

    এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ মিছবাহ প্রমূখ।