Author: UkhiyaVoice24

  • কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২৪ টি চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারসহ ১ আসামী গ্রেফতার

    কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২৪ টি চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারসহ ১ আসামী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    ১৬ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ তারিখে সকাল অনুমান ১১ ঘটিকার দিকে সেবা টেলিকমের এক বিক্রিয় কর্মীর সরল বিশ্বাসের সুযোগে সিএনজি গাড়ীর পিছনে রাখা ২৪ টি মোবাইল নিয়ে সিএনজি চালক পালিয়ে যায়।
    উক্ত বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা রুজু হলে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকষ টিম সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষন করে সিএনজি গাড়ী শনাক্ত করে সিএনজি গাড়ীটি জব্দ করে ড্রাইভারকে চিহ্নিত করে।

    পরবর্তীতে গত ১৯ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ২০/১০/২১ খ্রিঃ অনুমান ১.৩০ ঘটিকার দিকে চকরিয়া থানা এলাকা থেকে উক্ত পলাতক আসামী (সিএনজি চালক) আমান উল্লাহ ছোটন (৩৫), পিতা- মৃত সাচী মিয়া, সাং- বদরখালী, (২ নং ওয়ার্ড), থানা- চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার
    গ্রেফতারসহ আসামীর হেফাজত হতে চোরাইকৃত ২৪ (চব্বিশ) টি মোবাইল উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ছাত্রলীগ নেতার!

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু নামে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জের ধরে থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাসেল ইকবাল। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী থানার মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। বিষপানকালে রাসেলকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন বাঁশখালী থানার মূল ফটকে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

    জানা গেছে, গত বুধবার (২০ অক্টোবর২১) বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায় বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আবদুল খালেক (৩০) ও সুলতান মাহমুদ টিপু (২৫) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হন। একই ঘটনায় দুই পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- এক পক্ষের মঞ্জুর আলম (৪০) ও বাহাদূর (৩২) এবং অপর পক্ষের কামাল হোসেন (৫০)। নিহত আবদুল খালেক ও টিপু সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত কামালের পক্ষের লোক। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-বাহাদুর (৩২), মনজুর আলম (৪০), রাসেল (২৯), ছিদ্দিক আহমদ (৫২) ও জাকের হোসেন (৩৮)। এর ছিদ্দিক আহমদ হচ্ছেন থানায় ঢুকে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ইকবালের পিতা।

    বাবাকে আটকের পরপরই সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে থানার উদ্দেশ্যে রওয়া হন রাসেল ইকবাল। গাড়িতে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে আসেন রাসেল। থানায় বিষপানের আগ-মুহুর্ত পর্যন্ত লাইভে যুক্ত ছিলেন তিনি।

    এসময় তাকে লাইভে বলতে শোনা যায়, ‘আমার নাম হচ্ছে রাসেল ইকবাল। আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক। আমার বাড়ি বাঁশখালী। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায়। আমি এর আগে থেকেও অনেকবার, তিনবার আমাকে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার বাবা নিরপরাধ একজন মানুষ। আমিও কোন অপরাধ করি নাই। আমাদের এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে আজকে। ওখানে একজন মানুষ নাকি মারা গেছে। ওই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, কোন প্রমাণ ছাড়া কালা শুক্কুর ও ডাকাত পাগলা শাহ্ আলমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, ওরা বিভিন্নভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে মামলায়। আজকে আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসছে। এসআই হাবিব। এসআই হাবিব সাহেবের উচিত ছিল ওখানে গিয়ে তদন্ত করা, এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার তথ্য প্রমাণ নেওয়া। কে ঘটনার সাথে ছিল, কে ছিল না সেটা তদন্ত করা। এবং এই ওসি কামাল সাহেব। উনার সাথে কালা শুক্কুরের ভালো সম্পর্ক। কালা শুক্কুর বলছে, সে জন্য এখন আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমাকেও নাকি পুলিশ খুঁজছে।’

    ‘এখন আমি ভাই, একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে যদি আমার এ অবস্থা হয়, আমার পরিবারের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভালো থাকবে বলেন? এর আগেও আমার বন্ধুর সাথে একটা মেয়ের সম্পর্ক ছিল, এখন আমার বন্ধু আর ঐ মেয়েটা ওরা পালিয়ে বিয়ে করছে। ওই মামলায় কালা শুক্কুর আমাকে ফাঁসায় দিয়েছে। তারপর আমার বন্ধু একজনের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে, এখন আমি যখন রাজনীতি করি, আমাকে ডাকছে। ঐ ছেলেটাকে ডাকছে। আমি কথা বলছি। এখন আমি নাকি তাকে অপহরণ করেছি বলে, তখন ওসি সালাউদ্দিন হীরা ছিল, তারপর এসআই রফিক ছিল, তদন্ত ওসি শরীফ ছিল। উনারা গিয়ে আমার বাবাকে মারতেছে। তারপর সে বাবদ আমার বাবার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিছে। আজকে আমি বেঁচে থাকার মত কোন ইয়া…..দেখছিনা।’

    ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে রাসেল ইকবাল বিষের বোতল হাতে নিয়ে বলেন, আজকে আমি থানার সামনে এগুলা (বিষ) খাবো৷ আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে, পুলিশ প্রশাসন। যারা আমার বাবাকে ধরে আনছে ওরা আর এলাকার থানার দালালগুলো। আমার জীবনে আমার বাবাকে কখনো কোন মানুষের সাথে অন্যায় করতে দেখি নাই, খারাপ করতে দেখি নাই। আজকে আমি আসছি থানায়।’

    সিএনজি অটোরিকশা থেকে বাঁশখালী থানার সামনে নেমে ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে থানার মূল ফটকে গিয়ে তিনি বলেন,’এখন আমি থানায় আসলাম। আজকে আমি মরবো, না হয় আমার বাবাকে…..।’

    ততক্ষণে বিষ মুখে নিয়ে নেন রাসেল ইকবাল। এসময় থানার মূল ফটকে থাকা মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামানোর জন্য চেষ্টা করেন।

    বিষ পান করার পরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার নাথ বলেন, ‘বিষপান করা রাসেলকে বিকেল ৪টার দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

    রাসেল ইকবালের সাথে চমেকে অবস্থান করা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামনুর রহমান চৌধুরী জানান, ‘রাসেল ইকবাল ছাত্রলীগের একজন ত্যাগী কর্মী। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সে অনেকবার মামলার শিকার হয়েছে। তার ভাষ্য, তার কারণে মা-বাবা অপমানিত হবে কেন? এই বলে সে বিষপান করে। এখন সে চমেকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আছে। তার শরীর ওয়াস করা হচ্ছে।’

    বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন জানান, ‘শীলকূপে বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন মারা যাওয়ার ঘটনায় আটক দুজনের মধ্যে একজনকে নির্দোষ দাবি করে থানা ফটকে বিষপান করেছেন তার ছেলে রাসেল ইকবাল। রাসেল দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি আমরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    ছবি ক্যাপশন, (১), বাঁশখালীতে জায়গা জমির বিরোধে সংঘর্ষে নিহত আবদুল খালেকের লাশ। ইনসেটে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু।

  • ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পেশাজীবি সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পেশাজীবি সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে দেশব্যাপী নানা আয়োজিত কর্মসূচীর অংশবিশেষ হিসেবে ভোলার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ(১৯অক্টোবর)মজ্ঞলবার বেলা ১২টায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
    ভোলা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন টুলু। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব,জেলা মুক্তিযুদ্ধ ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস,শিক্ষক সমিতির নেতা মনিরুল ইসলাম,এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটতে কুমিল্লায় হিন্দুদের দূর্গাপুজার মূর্তি পায়ের কাছে পবিত্র আল কুরআন রেখে যারা দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্যে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি আহবান জানান।

    এসময় অন্যন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন,পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাত হোসেন রিপন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম,জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক আবু সায়েম,সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবিদুল আলম, মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন,সাবেক সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ফাহাদ, মাকসুদ রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমেল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

  • ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।

    জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।

    আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

    আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।

    নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

  • ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি):

    মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।

    জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।

    আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

    আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।

    নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

  • ফেনীর মধ্যম রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনীতে মন্দিরে নাশকতাকারীর মূলহোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প

    ফেনীর মধ্যম রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনীতে মন্দিরে নাশকতাকারীর মূলহোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    কালী মন্দিরের পুরোহিতকে মারধর ভয়ভীতি দেখানোসহ মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং জোরপূর্বক কালিমা পড়ানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

    এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ফেনীর ট্রাংক রোড বড় মসজিদের সামনে ধর্মীয় উস্কানিদাতা,পরিকল্পনাকারী ও নাশকতাকারীর মূল হোতা আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব, পিতা-সাইফুদ্দিন মাহমুদ,মাতা-নিলুফার ইয়াসমিন, গ্রাম-মধ্যম রামপুর, ১৭ নং ওয়ার্ড থানা ও জেলা-ফেনীকে ১৭ অক্টোবর রাত ০২.০০ ঘটিকায় রামপুর তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে গতকাল সন্ধায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে সে তার দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে হাতে এক বোতল পেট্রোল সহ কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে ব্যাপক মারধর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে,বলে লুঙ্গি পর,না হয় ধুতিকে লুঙ্গির মত করে ঝুলিয়ে পর,এরপর তাকে পড়তে বলে ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিমএবং ল্ াইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’’ বলে একটি কালিমা পড়ায়। যার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।ফলশ্রæতিতে র‌্যাব-৭,ফেনী ক্যাম্প তাদের তৎপরতা বৃদ্দি করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।আটককৃত আসামীর বিরুদ্বে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে নৌকার প্রতিক প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র মনোনয়ন জমা দেয়ার সাথে সাবেক সংসদ বদি

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে নৌকার প্রতিক প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র মনোনয়ন জমা দেয়ার সাথে সাবেক সংসদ বদি

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা মতো
    অদ্য ১৭ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আসন্ন ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর রবিবার, উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উখিয়া স্টেশন জেম ছিলেন।

    সারা দেশের ন্যায় দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বর্তমান সফল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান দলীয় নমিনেশন নৌকার মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন
    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি, নৌকা মার্কার প্রার্থী জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জনাব অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতা কর্মী ও স্হানীয় গণ্যমান্য ভোটারগণ মিছিলে মিছিলে যোগদান করেন।

    নৌকার প্রতিক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বক্তব্যে বলেন জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এক একজন ভোটার নিজ নিজ জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী হয়ে পাড়ায় মহল্লায় গিয়ে মা-বোনদেরকে দোয়া ও ভোট দেয়ার জন্য আহবান করবেন।

    আগামী ১১ নভেম্বর শেখ হাসিনার নৌকা, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পুনরায় রাজাপালং ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ দিন।

  • জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় নির্বাচিতের লক্ষ্য সুরাতুল আন আম শেষে মনোনয়ন জমা

    জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় নির্বাচিতের লক্ষ্য সুরাতুল আন আম শেষে মনোনয়ন জমা

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৬ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা মতো কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আসন্ন ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের (বর্তমান জনপ্রতিনিধি) জনগণের মনোনীত মেম্বার এর পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী দলীয় নমিনেশন নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় শুকরিয়া ও জনগণের মনোনীত মেম্বার পদপ্রার্থী গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ন্যায় বিচারক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্বকারী জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় জনগনের বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার উদ্দেশ্যে
    পবিত্র কুরআন থেকে ফজিলতের সুরা, সুরাতুল আন আম পড়া হয় এবং মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষ করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তার সহযোগী ছোটভাই মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন জয়।

    সুরাতুল আন আমের শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন পূর্ব ডিগলিয়া পালং নতুন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা হাফেজ আব্দুল কাদের সাহেব।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম রওজান মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুফতি এমদাদুল্লাহ শামসী সাহেব, সাবেক সভাপতি এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ,
    করইবনিয়া নতুন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা শামশুল আলম সাহেব, করইবনিয়া পুরাতন জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম হাফেজ আবু সাঈদ সাহেব, ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সৈয়দ নূর সাহেব, ডেইলপাড়া পুরাতন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা এরশাদ উল্লাহ সাহেব, পশ্চিম ডেইলপাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা আবু বকর সাহেব, তুলাতলী পাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব ও তুলাতলী পাড়া সৈয়দ আলী ফকিরের মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম ও ভেত বনিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ রহিম উল্লাহ সাহেব, ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দু শুক্কুর সাহেব, টাইপালং মাদ্রাসার জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা হাফেজ ফরিদ আহমদ সাহেব, টাইপালং উত্তর পাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা নুরুল কবির, টাইপালং শিশু ফকিরের জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুনজুর আলম, হাফেজ কলিম উল্লাহ, হাফেজ রিদওয়ানুল কবির, বেলাল উদ্দিন মুসা, হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ সহ
    স্হানীয় আলেম হাফেজে কুরআন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১৫ টি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবগণ দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করেন।
    মোনাজাত পরিচালনা শেষে হাফেজ আলেম ওলামাদের সম্মানের শহিদ হাদীয়া আব্দুর রহিম মেম্বার নিজ হাতে প্রদান করেন।
    এসময় ওলামায়েকেমগণের পক্ষে মাওলানা হাফেজ ফরিদুল আলম সাহেব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে আব্দুর রহিম মেম্বার এর প্রসংশা করেন, আমরা ৫টি বছরে মেম্বার এর অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন বলে শুকরিয়া করেন এবং অতিথের মেম্বার থেকে এই সহযোগিতা পাইনি বলেন, শুধু তাই নয় আগামীতে আব্দুর রহিম মেম্বার ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন, আগামী আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় মেম্বার হিসেবে দেখতে চাই একথা বলেন।

  • ইসলামী আন্দোলন বাহারচরা ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামী আন্দোলন বাহারচরা ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা আওতাধীন বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগ
    আজ ১লা অক্টোবর-২১ জুমাবার বাদে মাগরিব বাহারছড়া সোলতানীয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলমী আন্দোলন এর অঙ্গ ও সহযোগী সকল সংগঠন এর সাথে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
    যৌথ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন আইএবি বাহারছড়া ইউনিয়ন সভাপতি, মাওলানা তৈযব বিন মোখতার। মুরুব্বি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাহাছড়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ নুরুল কবির সাহেব।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ; মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সেক্রেটারী, মাওলানা জসিম উদ্দিন মিছবাহ, যুব আন্দোলন অর্থ সম্পাদক ; হাঃ মাওঃ তাওহীদুল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক ; মুহাম্মদ সরওয়ার হোসাইন তামিম।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা আওতাধীন বৈলছড়ি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে যৌথ মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাদে মাগরিব
    উক্ত সভায় সভাপতিত্বে করেন জোন জিম্মাদার মাওলানা ফয়জুল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা সভাপতি ; মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহ-সভাপতি ; মাওলানা মোজ্জাম্মেলুল হক সাহেব, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি, মাস্টার মিছবাহ উদ্দীন আরেফী, সাধারণ সম্পাদক ; মোবারক হোসাইন আসিফ, আমানুল্লাহ হাসান, উপজেলা সহ-অর্থ সম্পাদক, মাওলানা আব্দুল কাদের, যুব আন্দোলন উপজেলা সভাপতি ; মাওলানা হাসেম বিন কাদের, ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি প্রমুখ

    আন্দোলন বাহারছড়া ইউনিয়ন কমিটি

    সভাপতি ;- মাওলানা হারুন আল মসরুর
    সহ-সভাপতি ;- মাওঃ তৈয়ব বিন মোখতার
    সেক্রেটারী ;- মাওলানা গোলাম কিবরিয়া

    আন্দোলন বৈলছড়ী ইউনিয়ন কমিটি

    সভাপতি ; মাওলানা আব্দুল্লাহ
    সহ-সভাপতি ; মাওলানা হানিফ সাহেব
    সেক্রেটারী ; মাওলানা ইব্রাহীম সাহেব।

  • শিবির ক্যাডার ও সাবেক জামায়াত এমপি’র দেহরক্ষী রায়হান মাতারবাড়ী প্রকল্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

    শিবির ক্যাডার ও সাবেক জামায়াত এমপি’র দেহরক্ষী রায়হান মাতারবাড়ী প্রকল্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

    মহেশখালী প্রতিনিধি::

    বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মেগা প্রকল্পের অন্যতম মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প। সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে জামায়াত – শিবিরের নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রকল্পের অভ্যান্তরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে সরকার বিরোধী নীল নকশা বাস্তবায়নে চেষ্টা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

    মহেশখালীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প সমূহে সুকৌশলে দেশ বিরোধী অপশক্তি জামায়েতের নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প সমূহে বড় বড় পদ দখলে নিচ্ছে। এমন একজন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান পস্কোর চিফ সেফটি সিকিউরিটি পদে কর্মরত রাইহান উল হক চৌধুরী।

    বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, রায়হান চট্টগ্রামের আলোচিত বেশ কয়েকটি সংঘটিত খুনের সহযোগী ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের সাবেক প্রভাবশালী ক্যাডার এবং মহেশখালী – কুতুবদিয়া আসনের সাবেক সংসদ জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদের দেহরক্ষীও ছিলেন।

    মহেশখালীর মাতারবাড়ী প্রকল্পে সংঘবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে কাজ দেওয়ার বিনিমেয় কমিশন বাণিজ্যসহ চাকরী দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রকল্পকে ঘিরে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ও জামায়াত শিবিরের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

    এমনকি অভিযুক্ত রাইহান অভিনব কায়দায় শিক্ষাযোগ্যতা সনদপত্র জালিয়াতি করে চাকরী নিয়েছে। এবং প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পস্কোর এডমিন সুমনের সাথে আঁতাত করে স্থানীয় পর্যায়ের লোকদের টাকা বিনিময়ে চাকরি দেয়।

    বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পে বিভিন্ন কোম্পানিতে পদ দখল করে বসে আছেন এদিকে স্থানীয় ত্যাগী দলীয় নেতাকর্মীরা আজ কোনঠাসা বলে জানান তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

    মাতারবাড়ীর চাকরি বঞ্চিত যুবকরা জানান, বাপদাদার জায়গাজমি দিয়েও একটা চাকরি পাচ্ছি না। ৪০/৫০ হাজার টাকা দিলে অনায়াসে মিলে চাকরি। অনার্স – মাস্টার্স সম্পন্ন করা মাতারবাড়ীর প্রতিটি ঘরে ঘরে অনেক যুবকরা বেকার অবস্থায় পড়ে আছেন। রাইহানের সাথে স্থানীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে মোটা অংকেট টাকার বিনিময়ে দেয় চাকরি। স্থানীয় চক্রের মূলহোতাদের তৈরি করে সাপ্লায়ার হিসাবে।

    মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে যত্রতত্র এমন অসংখ্য সিন্ডিকেটের কারণেই মাতারবাড়ীর স্থানীয় চাকরি বঞ্চিতরা দূর্দশায় পতিত হয়েছেন।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339